এতদিন ছিলেন শুধু দু’জন, এখন আপনার মাঝে এসেছে ছোট্ট সোনামণি। যাকে ঘিরে এখন আপনারদের যত আশা স্বপ্ন। ‘বাবা-মা’ আজ আপনারা। তবে নতুন বাবা-মায়েদের চিন্তার শেষ থাকে না কিভাবে দেখাশোনা করবেন তাদের ছোট্ট সোনার। তাই নতুন বাব-মায়েদের বাচ্চা দেখাশোনা সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে পরামর্শ নিচে তুলে ধরা হলো।
১. আপনার সদ্যোজাত সন্তানটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম তাই যখনই তাঁর কাছে যাবেন হাত-পা ভালো করে পরিষ্কার করুন।
২. যখন কোলে নেবেন খেলায় রাখবেন মাথা ও ঘাড় যেন ঠিকঠাক সাপোর্ট পায়।
৩. বাচ্চাকে সবসময় পিঠের উপর ভর দিয়ে ঘুম পাড়ান। এটাই বাচ্চাদের জন্য সবথেকে সুরক্ষিত ঘুমানোর ধরন।
৪. বাচ্চাকে সব সময় নরম গদি দেওয়া বিছানায়, পরিষ্কার চাদরের উপর ঘুম পাড়ান।
৫. বাচ্চার চারিপাশে সফট টয় রাখুন।
৬. সবসময় নর্মাল টেম্পারেচারের মধ্যে বাচ্চাকে রাখুন।
৭. বাচ্চাকে সব সময় তোয়ালের মধ্যে পেঁচিয়ে রাখুন।
৮. বাচ্চারা দিনে অনেক বার প্রস্রাব করে। তা প্রতিসময় যদি জামা-কাপড় পাল্টাতে ইচ্ছা না করে তাহলে ড্রাইপার ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেলায় রাখবেন বাচ্চা চার-পাঁচ ঘন্টা অন্তর যেন ড্রাইপার চেঞ্জ করা হয়।
৯. ইষদ উষ্ণ গরম জলে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে প্রতিদিন আপনার বাচ্চাকে মুছিয়ে নিন। তবে সপ্তাহে দু থেকে তিন দিন জলে স্নান করান। এক্ষেত্রে আপনার সোনার ত্বক শুষ্ক হবে না। স্নান করানোর সময় তেল, শ্যাম্পু, সাবান সব ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু দেখে নেবেন যাতে ক্ষারের পরিমান কম থাকে।
১০. দুধই বাচ্চাদের একমাত্র খাবার। তবে বাজারে কেনা দুধের প্যাকেটের থেকে মায়ের বুকের দুধই শিশুদের উপকারী। বাচ্চাদের দু-তিন ঘন্টা পর পর খিদে পায়। খিদে পেলে সাধারণত বাচ্চারা কাঁদতে থাকে। কিন্তু চার-পাঁচ ঘন্টার পরেও বাচ্চা যদি না কাঁদে এবং ঘুমাতে থাকে, তাহলে বাচ্চাকে তুলে খাওয়ান।
১১. খাওয়ানোর পর পরই বাচ্চাকে শুইয়ে দেবেন না। এতে বাচ্চার খাবার হজম হয় না। অনেক সময় মুখ দিয়ে দুধ উঠে আসে। তাই সব সময় খাওয়ানোর পর বাচ্চাকে কাঁধের উপর শুইয়ে পিঠে আস্তে আস্তে হাত চাপড়াতে থাকুন যতক্ষণ না বাচ্চা ঢেকুর তোলে।
১২. বাড়িতে কখনই চিকিৎসা করতে যাবেন না যখনই বুঝবে আপনার বাচ্চা অস্বাভাবিক আচরণ করছে তখনই নিয়ে যান ডাক্তারের কাছে। যেমন আপনার ছটপটে বাচ্চা হঠাৎ ঝিমিয়ে গিয়েছে, গায়ের বং হলদেটে হয়ে গেছে, নাভি দিয়ে রক্ত পড়ছে, শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশী, বারবার বর্ণহীন মল এ সব লক্ষ্মণ দেখলেই নিয়ে যান ডাক্তারের কাছে।
বিডি-প্রতিদিন/০২ জুন, ২০১৫/মাহবুব