একটি কথা প্রচলিত আছে, 'দিনে একটা আপেল খেলে নাকি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার হয় না।' এই একটি বাক্য থেকেই আসলে আপেলের গুণাগুণ বা উপকারিতা কি তা অাঁচ করা যায়। তবে অনেকেরই হয়তো প্রশ্ন থাকতে পারে, আপেল কুঁচি কুঁচি করে কেটে চিবিয়ে খাওয়ার মতো এর জুসও কি সমান উপকারি? আসলেও তাই। অাপেল সব সময় উপকারি। আর বিশেষ করে তীব্র গরমের এই রমযানে এর উপকারিতা আরো বেশি। সারা দিনের রোজা শেষে ইফতারে আপেলের জুস শরীরে নিঃসন্দেহে অতিরিক্ত শক্তি যোগাবে। নিচে আপেল জুসের কয়েকটি উপকারি দিক নিয়ে আলোচনা করা হলো :
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় আপেল জুস। নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে সুগারের মাত্রা। ফলে কমে যায় হৃদরোগের ঝুঁকিও।
খাদ্য পরিপাক সহজ করে : আপেল জুস লিভার ও কিডনি থেকে ক্ষতিকর বর্জ্য দূর করে লিভার ও কিডনিকে রাখে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এছাড়া কিডনি ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে পরিপাকের কাজকে আরো স্বচ্ছ ও সহজ করে দেয়। বিশেষ করে ইফতারের সময় একবারে সাধারণত বেশি করে খাবার খাওয়া হয়। ফলে ইফতারের পর খাদ্য পরিপাকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আপেলের জুস বেশ উপকারি ভূমি পালন করে।
ওজন কমায় : আপনি যদি অনিয়ন্ত্রিতভাবে মোটা হয়ে যান, শরীরে যদি অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকে বা উচ্চতানুযায়ী আপনার ওজন বেড়ে যায় তবে নিয়মিত আপেল জুস খেলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে। কারণ এটি সম্পুর্ণভাবে ফ্যাটমুক্ত বলে মনে করেন চিকিৎসাবিদরা।
দেহে শক্তি বৃদ্ধি করে : আপেল জুসে রয়েছে ভিটাইন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, এবং ভিটামিন কে। তাই এতসব উপাদান একই সঙ্গে আপেল জুসে থাকায় তা শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অার সারাদিনের রোযা শেষে একটু-আধটু দুর্বল লাগাটা স্বাভাবিক। তাই ইফতারে আপেলের জুস এ দুর্বলতা দূরীকরণে সহায়তা করবে।
স্মৃতিশক্তিকে প্রখর করে : নানা গবেষণায় দেখা যায়, আপেল জুস খেলে বৃদ্ধ বয়সে কোনো জিনিস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। একই সঙ্গে এই জুস স্মৃতিশক্তিকে আরো বৃদ্ধি করে দেয়। ফলে মানুষ কোনো বিষয়কে দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে: আপেল জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা মানুষের দৃষ্টিশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে ভিটামিন এ চক্ষুরোগ থেকে মুক্তি দেয়।
শুধু রমযানের সময়ই নয়, সবসময়ই আপেল বা এর জুস মানুষেকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয় এবং শরীরে বাড়তি শক্তির যোগান দেয়। তাই বিশেষ করে এই রমযানে ইফতার বা সেহরির সময় আপেল খেলে সারাদিন সচল ও কর্মক্ষম থাকতে পারবেন।
বিডি-প্রতিদিন/৬ জুলাই ২০১৫/শরীফ