আমরা সবাই কমবেশি হাই তুলে থাকি। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ব্যাপারটি ঘটে থাকে। এটি খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। তবে এটি প্রায়ই ঘটলে তা অন্যের কাছে বিরক্তিকর হতে পারে। অনেকে সকালে অফিসে গিয়েও বারবার হাই তুলে থাকেন। ব্যাপারটি অন্যের কাছে বিরক্তিকর ও নিজের জন্য বিব্রতকর হতে পারে। অবাঞ্ছিত হাই থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :
নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ুন : অনেক সময় শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলে হাই ওঠে। তার জন্য নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ছেড়ে দিন। দেখবেন আস্তে আস্তে হাই ওঠা কমে যাবে। এইভাবে আপনার শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়। এবং যখন নিঃশ্বাস নেবেন তখন জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিন।
ঠান্ডা পানীয় খান : যখনই হাই উঠবে তখন ঠান্ডা জল অথবা কোল্ড ড্রিংস খান। সোডা এবং কার্বোনেটেড পানীয় হাই বন্ধ করতে সক্ষম। যখন ক্লাসে আসবেন তখন বোতলে করে ঠান্ডা জল নিয়ে যাবেন।
ঠান্ডা খাবার : ঠান্ডা খাবারও খুবই কার্যকরী। যেমন ফ্রিজ থেকে বের করা খাবার, ফল ইত্যাদি। এছাড়া আইসক্রিমও খেতেই পারেন। মিষ্টি জাতীয় খাবারও খুব ভালো। এটা আপনার শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে ক্লান্তিকে দূর করতে সক্ষম হয়।
কর্মসূচি এক রাখুন : একটি কর্মসূচি বানিয়ে নিতে পারেন। যার মাধ্যমে রোজ এক সময় খাওয়া, ঘুমানো ইত্যাদি কাজ গুলি করতে পারবেন। তাহলে দেখবেন এই কর্মসূচিকে আপনার শরীর মানিয়ে নেবে তখন আর কোনও ক্লান্তি, হাই কোনও কিছুই ছুঁতে পারবে না আপনাকে। এছাড়া ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। তাতে শরীর ঠিক থাকবে।
হাঁটুন : একভাবে বসে কাজ করার ফলে ক্লান্তি আসতে পারে। যার জেরে হাই ওঠে। তাই একইভাবে অনেক্ষণ কাজ না করে কাজের ফাঁকে কিছুটা হেঁটে নিন। দেখবেন এতে ক্লান্তি লাগবে না। বরং কাজে স্পৃহা আসবে।
যোগা : শুধু হাই তোলা বন্ধ করলেই তো আর হবে না! তার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে যোগা করা খুবই প্রয়োজন। আমাদের শরীরের বাড়তি টক্সিন এবং অতিরিক্ত ফ্যাট ক্লান্তির প্রধান কারণ। এর জন্য অন্ততপক্ষে দিনে ২০ মিনিট যোগা করা আবশ্যক। তাছাড়া হেলদি খাবার যেমন, সবুজ শাক-সবজি, ফল-মূল ইত্যাদি খান। ক্লান্তিকে আপনার সাথী হতে না দিলেই আর অবাঞ্ছিত হাইয়ের সমস্যাতেও ভুগতে হবে না আপনাকে। সূত্র: কলকাতা
বিডি-প্রতিদিন/২১ ডিসেম্বর ২০১৫/শরীফ