'উৎকণ্ঠা' শব্দটার সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। কারণে-অকারণে উৎকণ্ঠায় ভোগেন অনেকেই। ওষুধ খেয়ে, চিকিৎসা করিয়েও অনেক সময় এ উৎকন্ঠার সমস্যা যায় না।
উৎকণ্ঠা কাটাতে অনেকেই ওষুধের সাহায্য নেন। এতে উৎকণ্ঠার স্থায়ী সমাধান তো হয়ই না, বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দেয়।
এছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে উৎকণ্ঠার ওষুধ খেলে অবসাদ, স্মৃতিশক্তি কমে আসার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা অনেক সময় উৎকণ্ঠায় ভুগলেও বুঝতে পারি না। জেনে নিন উৎকণ্ঠার কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
১। সোশ্যাল অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার:
কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজের উপস্থিতি নিয়ে অত্যধিক সচেতনতা সোশ্যাল অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডারের লক্ষণ।
২। বিশেষ কিছুর ফোবিয়া:
কোন বিশেষ পশু, বিশেষ পরিস্থিতি বা বিশেষ ঘটনা নিয়ে আতঙ্ক।
৩। জেনারেল অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার:
কোনও কারণ ছাড়াই সব সময় চাপা টেনসন, চিন্তায় থাকা।
৪। প্যানিক ডিজঅর্ডার:
কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ হঠাৎ অত্যাধিক ভয় পেয়ে যাওয়া।
এসব কারণেই আপনি উৎকন্ঠায় থাকতে পারেন। এই উৎকণ্ঠা কাটাতে সুগন্ধী তেজপাতার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে জানা গেছে। মশলা হিসেবে যেমন তেজপাতার ব্যবহার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তেমনই ওষুধ হিসেবেও এর ব্যবহার বহু কাল ধরেই চলে আসছে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন তেজপাতার মধ্যে থাকা উপাদান লিনালুল শুঁকলে তা উৎকণ্ঠা কাটাতে সাহায্য করে। অ্যারোমাথেরাপি সেশনে ব্যবহার করা হয় এই লিনালুল শোঁকার প্রক্রিয়া। দেখা গেছে, এর ফলে আগ্রাসী আচরণ কমে গিয়ে সামাজিক ব্যবহারে পরিবর্তন আসে।
বাড়িতে কী ভাবে করবেন জেনে নিন:
ঘরে একটা ছোট ফায়ার রেজিসট্যান্ট বাটিতে এক টুকরা চারকোল গরম করুন। এর মধ্যে পাঁচ থেকে ১০ টা তেজপাতা পোড়াতে থাকুন। এবার দরজা বন্ধ করে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পাঁচ থেকে ১০ মিনিট পর ঘরে ফিরে আসুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই ঘরে কাটালেই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। উৎকণ্ঠা কেটে গিয়ে রিল্যাক্সড অনুভব করবেন।
বিডি প্রতিদিন/ ২০ এপ্রিল, ২০১৬/ হিমেল-১০