আমরা যা খাই তা শরীরের মধ্যে ক্যালোরি রূপে জমা হয়। এখন অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে জমলেই বিপদ! মেদ চলে আসবে। ওজন বেড়ে যাবে। তাই কোন ভাবেই যাতে অতিরিক্ত ক্যালোরি না জমে সেই জন্য অনেকেই জিমে গিয়ে ব্যায়ম করেন। কিন্তু সত্যিই কি এসবের খুব প্রয়োজন আছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘর-গেরস্থালীর বেশ কয়েকটি কাজে এমন পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হয় যা শুনলে অবাক হতে হবে। জানুন কোন কাজে কত ক্যালোরি খরচ হয়।
১) ঘর ঝাড়ু দেয়া, তাক পরিষ্কার প্রভৃতিতে ১৮০ ক্যালোরি খরচ হয়। যা ৩০ মিনিট ট্রেডমিলে হাঁটার সমান। এক্ষেত্রে কাফ, কোমর ও ট্রাইসেপ মাসলের কাজ বেশি হয়।
২) ৪টি ঘরের মেঝে মোছায় ২০০ ক্যালোরি খরচা হয়। এক্ষেত্রে আপনার শরীরের ঊর্ধ্ববাহু, কোমর ও অ্যাবসের পেশির কাজ বেশি হয়। ৪৫ মিনিট ধরে নাচেও একই পরিমাণ শক্তি খরচ হয়।
৩) ঘরের জানলা-দরজা পরিষ্কার করা ও ধোয়ায় ১২৫ ক্যালোরি শক্তি খরচ হয়। এর ফলে শরীরের ঊর্ধ্বভাগের শক্তিবৃদ্ধি হয়, সুগঠিত হয়। ২২ মিনিট সাইকেলিং করলেও এই পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হয়।
৪) দিনে আধঘণ্টা বাগানে কাজ করলে, মাটি কোপালে আপনার ৩১৫ ক্যালোরি খরচ হবে। এক্ষেত্রে শরীরের ঊর্ধ্বভাগ, পিঠের নিম্নাংশ ও থাইয়ের পেশী কাজ করে।
৫) মেশিনের সাহায্যে বাগানে ঘাস ছাঁটার কাজে আধঘণ্টায় ১৮৫ ক্যালোরি খরচ হয়। এতে আপনার কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম ভালো থাকে।
৬) ঘরের মেঝেতে দীর্ঘদিন ধরে একই কার্পেট পেতে না রেখে, সেটা তুলে ঝেড়ে অন্য কার্পেট পাতুন। আপনার সারা শরীরের পেশী এতে কাজ করবে। আধ ঘণ্টায় ১৮০ ক্যালোরি খরচ হবে।
৭) বাড়িতে নতুন রং করবেন ভাবছেন? মিস্ত্রি না ডেকে নিজেই নেমে পড়ুন। প্রতি ৩০ মিনিটে ২১০ ক্যালোরি করে শক্তি খরচ হবে। শরীরের সম্পূর্ণ ঊর্ধ্বভাগের পেশী এক্ষেত্রে কাজ করবে।
বিডি প্রতিদিন/ ১৯ জুন ২০১৬/হিমেল-০৬