আপনার গর্ভের শিশুটি কোন প্রকার জন্মগত ত্রুটি নিয়ে পৃথিবীতে আসুক, মা হিসেবে আপনি কখনো তা প্রত্যাশা করবেন না। আর সেজন্য গর্ভবতী নারী হিসেবে আপনার প্রয়োজন প্রচুর ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া। আর এই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন জার্মানির পুষ্টি সোসাইটির আনট্যে গাল।
ফলিক অ্যাসিড বলতে যা বুঝায়-
ফলিক অ্যাসিড এক ধরণের ভিটামিন ‘বি’ যা গর্ভের শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যারা গর্ভবতী হতে চান বা মাত্র গর্ভধারণ করেছেন ডাক্তাররা তাদের ফলিক অ্যাসিড বা ফলেট ভিটামিন খেতে বলে থাকেন।
যখন থেকে এই জাতীয় খারাব শুরু করা উচিত-
সাধারণত অধিকাংশ জন্মগত ত্রুটি গর্ভধারণের প্রথম তিন চার সপ্তাহের মধ্যেই দেখা দেয়। তাই গর্ভবতী হওয়ার একেবারে শুরুতেই ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করলে অনাগত শিশুর জন্মগত ত্রুটির আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু জেনে নিন-
প্রতিটি গর্ভবতী নারীর খাবারে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের অভাব হলে অনাগত শিশুর রক্তস্বল্পতা ও হাড় গঠনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া যথেষ্ট আমিষের অভাবে শিশুর মানসিক প্রতিবন্ধিত্বও দেখা দিতে পারে। তাই হবু মায়ের যথেষ্ট ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
যে দিকে সর্বদা বিশেষ খেয়াল রাখবেন-
চিকিৎসকরা মনে করেন, সকালে খালি পেটে ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট গ্রহণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে কিছু ওষুধও কিন্তু ফলিক অ্যাসিডের গুণ খানিকটা কেড়ে নিতে পারে। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাছাড়া আলো এবং গরমের কারণেও ফলেটের গুণাগুণ কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়। তাই খাবারের পুষ্টিগুণ পুরোটা পেতে সবজি ও ফল কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ অবস্থায় খাবেন। তাছাড়া শষ্যদানা, দুধ বা দুধের তৈরি খাবার, ডাল, শিম, যে কোনো ধরণের কপি, মটরশুটি, পালংশাক, টমেটো, কমলালেবু বা শিম জাতীয় সবজিতে রয়েছে প্রচুর ফলেট। স্যামন মাছেও পাবেন ফলেট, তবে মাছ ভালোভাবে সিদ্ধ বা ভাজি করে নিতে হবে।
টমেটো কিংবা লাল ক্যাপসিকাম-
অনেকেই হয়তো জানি না যে সহজে হাতের কাছে পাওয়া ১০০ গ্রাম টমেটোতেই পাওয়া যায় ৩৩ মাইক্রোগ্রাম ফলেট। তবে ১৫০ গ্রাম ওজনের একটি লাল ক্যাপসিকামে কিন্তু রয়েছে ৮৩ মাইক্রোগ্রাম ফলেট। তাছাড়া আম বা কলাতেও যথেষ্ট ফলেট থাকে। তাই এই খাবারগুলো খেতে পারেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার