চারিদিকে এত পরিবেশ দূষণে ত্বকে ময়লা জমে ব্রণ হয়, রোদে পুড়ে কালো ছোপ পড়ে। প্রতিদিন অন্তত দুইবার ভালো কোম্পানির ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। আর বাইরে যাওয়ার সময় অথবা ঘরে রান্নার সময়ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
সারাবছরই সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থাকে। ইউ ভি-এ, ইউ ভি-বি, ইউ ভি-সি এই তিন ধরণের ক্ষতিকর রশ্মি সূর্যের আলোতে থাকে। যা ত্বকে নানান সমস্যার তৈরি করে। সানস্ক্রিন এই ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। সানস্ক্রিন কেনার সময় যেমন সঠিক এসপিএফ এবং ভালো ব্র্যান্ড দেখে কেনা উচিত। ঠিক তেমনই সানস্ক্রিন লাগানোরও বিশেষ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলো মেনে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে উপকারিতা পাবেন।
ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে ভালো করে বোতল ঝাঁকিয়ে নিতে ভুলবেন না। যদি টিউবের সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন তাহলে হাতের তালুতে আলতো ভাবে ওই সানস্ক্রিনের টিউব ঘষে নিন। তারপর হাতের তালুতে সানস্ক্রিন নিয়ে মাখতে শুরু করতে পারেন।
সানস্ক্রিন কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় দেখে নেবেন। কারণ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের মতোই ক্ষতি করে সানস্ক্রিন। তাই যারা নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না, তারা সানস্ক্রিন ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একবার মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় দেখে নেবেন।
শুধু মুখে সানস্ক্রিন লাগালেই হবে না। শরীরে যে সব অংশ সূর্যের আলোয় খোলা থাকে, অর্থাৎ রাস্তায় বের হলে আপনার স্কিন বা ত্বকের যে অংশগুলো প্রকাশ্যে থাকে, সেখানেই সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেবেন। না হলে সান ট্যানের হাত থেকে কিন্তু বাঁচা মুশকিল হবে।
সানস্ক্রিনের ব্যবহার করা নিয়ে অনেকের মনেই অনেক দ্বিধা ও প্রশ্ন রয়েছে। ত্বককে আরো সুরক্ষিত রাখার জন্য মেকআপের ওপরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
যদি সানস্ক্রিন খুব মোটা বা পুরু বেসের হয় তাহলে অবশ্যই সেই জাতীয় সানস্ক্রিনের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে ব্যবহার করবেন। এমনিতেও সানস্ক্রিনের সঙ্গে পানি মিশিয়ে লাগানোই ভালো। এর ফলে ঘাম হলেও সানস্ক্রিন গলে যাবে না। অর্থাৎ ঘামের সঙ্গে সানস্ক্রিন উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
অনেকের ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা থাকে। যেসব সানস্ক্রিন ক্রিমে অক্সিবেঞ্জোন, রেটিনাইল পালমিটেট এবং প্যারাবেন্স জাতীয় উপাদান রয়েছে, সেসব সানস্ক্রিন এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ এই ধরনের উপাদান ত্বকের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। প্রয়োজনে রূপবিশেষজ্ঞরে পরামর্শ নিন। না হলে ত্বকের ভালো করতে গিয়ে খারাপটাই হবে।
এছাড়াও ত্বক প্রাণবন্ত রাখার সব থেকে কার্যকরী প্রসাধনী হলো হাসি-খুশি থাকা। হাসতে ভুলে যাননি তো, মনে করে দেখুনতো শেষ কবে মন খুলে হেসেছেন? মনে রাখবেন, সমবয়সী হলেও যারা সারাক্ষণ গম্ভীর মুডে থাকেন তাদের চেয়ে হাসি-খুশি থাকাদের দেখতে অনেক ছোট লাগে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির