চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আগামী কমিটিতে সভাপতি পদপ্রত্যাশীদের কেউই ছাত্রলীগের দলীয় সংগীত জানেন না।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ আগামী কমিটিতে সভাপতি পদে আগ্রহীদের মঞ্চে ডাকেন। তাঁর আহ্বানে বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি পদপ্রত্যাশীরা মঞ্চে যান। এ সময় এক এক করে সবাইকে ছাত্রলীগের দলীয় সংগীত গাইতে বললে কেউই এক লাইনও গাইতে পারেননি। দুজন আবার ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটি গেয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় অনুষ্ঠানস্থলে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
এ সময় কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামানও হেসে ফেলেন। তিনি সভাপতি পদপ্রত্যাশীদের হাত তুলে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলতে বলেন, ‘আমরা সভাপতি হতে চাই না।’ পরে দলীয় সংগীত গেয়ে শোনান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এরশাদুল আলম চৌধুরী।
দলীয় সংগীত না জানা সভাপতি পদপ্রত্যাশীরা হলেন, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি মোস্তাফা সাইফুল ইসলাম, আহসানুল করিম, সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী, নাজমুল নুর ও নাজমুল আলম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান। তবে সভাপতি পদে আগ্রহী আলমগীর টিপু সম্মেলনে উপস্থিত থাকলেও মঞ্চে ওঠেননি।
সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বদিউজ্জামান সোহাগ। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে সাবেক কোনো নেতা ক্যাম্পাসে এলে তাঁকে লাঞ্ছিত করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার যে সংস্কৃতি শুরু হয়েছে, তার সঙ্গে জড়িতদের বিচার হবে। তাদের বিরুদ্ধে সংগঠন খুব দ্রুতই কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে। সবকিছু সহ্য করা হবে, বেয়াদবি সহ্য করা হবে না।’
ছাত্রলীগের সভাপতি আরও বলেন, ‘দরকার হলে ছাত্রলীগের এই ইউনিট বাতিল করে দেব। এভাবে আর চলবে না। জোর করে কাউকে ছাত্রলীগ করাতে চাই না। এ রকম নেতা-কর্মী আমাদের দরকার নেই। দলীয় নিয়মকানুন না মানলে নিজে থেকেই সরে দাঁড়ান। সব তথ্যই আমাদের কাছে আছে।’
সম্মেলন শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় সৎ, দক্ষ ও ত্যাগীদের নিয়ে খুব দ্রুত ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তাঁরা।