ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আগামী ২৭ এপ্রিলের 'ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট' (টিকফা)-এর প্রথম বৈঠককে সামনে রেখে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য শুল্কমুক্ত কোটা, জিএসপি ইস্যু, বাংলাদেশ অ্যাকশন প্ল্যান ও অমীমাংসিত বাণিজ্য ইস্যুগুলোর সমন্বয়ে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আজ রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
গত ২৫ নভেম্বর ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুল আলোচিত টিকফা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেদিনই এর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি না থাকায় শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। পরে উভয় দেশের মতামতের ভিত্তিতে ২৭ এপ্রিল ঢাকায় টিকফার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
টিকফার প্রথম বৈঠকের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ২৭ এপ্রিল বৈঠকের তারিখ এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত। প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পর্যায়ে। টিকফা চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দু'দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করা। বৈঠকে বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ছাড়া জিএসপি পুনর্বহালের বিষয়টিও উঠানো হবে।'
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। একইসঙ্গে বালি প্যাকেজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিভিন্ন পণ্যের শুল্কমুক্ত কোটা চাইবে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে শুধু তৈরি পোশাকই নয়, বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য, চামড়া ও পাটপণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য যেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধার আওতায় আসে সে দাবিও জানানো হবে। বৈঠকে টিকফা সংক্রান্ত একাধিক কমিটিও গঠন করা হবে। এ সব কমিটি দু’দেশের বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা এবং প্রয়োজনে দর কষাকষিও করবে।
সূত্র জানায়, টিকফার প্রথম বৈঠকে জিএসপি ইস্যুটি নিয়ে আলোচনার জন্য ইতোমধ্যে মার্কিন বাণিজ্য দফতরের (ইউএসটিআর) প্রধান মাইকেল ফ্রোমেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠক চলাকালীন দু'দেশের তৈরি পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পৃথক সেশন রাখার বিষয়টিও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।