‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিতে চাইলেও বিএনপি তাতে বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াত সহ্য করতে পারে না।’
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের দুই বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি-জাময়াত জোট সারাদেশে যে ঘৃন্য ও পৈশাচিক সন্ত্রাস চালায়, তা কোনোদিন বিস্মৃত হওয়ার নয়। তাদের এই নৃশংসতা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হায়েনা ও তাদের দোসরদের নির্মমতার সাথেই কেবল তুলনা করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস-বোমাবাজি উপেক্ষা করে সেদিন আপনারা গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেছিলেন। কিন্তু গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্ব সহ্য করতে পারে না। মানুষ শান্তিতে থাকবে, হাসিমুখে জীবনযাপন করবে, তা ওদের সহ্য হয় না।’
২০১৫ সালে ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের এক বছর পূর্তিতে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিন মাসের ওই অবরোধে নাশকতায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি বহু যানবাহন ও স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়। উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করতেই ওই কর্মসূচি ডাকা হয়েছিল অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা এবং বিএনপি নেত্রী আদালত হাজিরায় অনুপস্থিত থাকার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামাত অনির্দিষ্টকালের অবরোধ শুরু করে সারাদেশে তাণ্ডব ও হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। এতে পেট্রোলবোমায় ২৩১ জন নিহত এবং ১ হাজার ১৮০ জন আহত হয়। এছাড়া ২ হাজার ৯০৩টি গাড়ি, ১৮টি ট্রেন ও ৮টি লঞ্চে আগুন দেওয়া হয়েছিল।
‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জনসমর্থন পায়নি বলে ব্যর্থতার বোঝা নিয়ে’ আদালতে হাজিরা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ‘নাকে খত দিয়ে’ বাড়ি ফিরেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নাশকতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/১২ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব