বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন হলেও অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হয়নি। প্রশাসন বিচার বিভাগকে এভাবেই রেখেছে। হাত-পা বেঁধে একটি মানুষকে পানিতে ফেলে দেবার মত অবস্থা। কারণ প্রত্যেক জায়গায় আমাদের প্রশাসনের মুখাপেক্ষী হতে হচ্ছে। অবশ্য, নিম্ন আদালতের ক্ষেত্রে এ ক্ষেত্রে খুবই করুণ অবস্থা।
প্রধান বিচারপতি বলেন, নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের বিভিন্ন পুরোনো মামলার জট নিস্পত্তির জন্য বিচারকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে বন সংক্রান্ত মামলাসহ বিভিন্ন মামলা নিস্পত্তি না করা হলে বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালী সার্কিট হাউস মিলনায়তনে নোয়াখালী জেলা জজ শীপের জুডিসিয়াল কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, একসময় বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিলো। আজ দু'পক্ষের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। উভয় পক্ষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে গরীব মানুষের কল্যাণ্যের স্বার্থে কাজ করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, যৌতুক ও ধর্ষণ সমাজে ব্যাধির আকার ধারণ করেছে। এ সকল মামলার বিষয়ে দ্রুত ও সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও বিচারকদের তিনি নির্দেশ দেন।
জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারেক আহমদের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আবদুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ ২য়) মো. মাহতাব হোসেন, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ এ মাওলা, জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস ও পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ প্রমুখ।
এর আগে, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর সদর উপজেলার ভাটিরটেক চৌমুহনী বাজার এলাকায় অ্যাডভোকেট ড. বশির আহমেদ কলেজের দ্বিতল ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব