শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, পাঠদান পদ্ধতি আরো উন্নত ও সহজতর করার জন্য সরকার প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল রিডিং মেটেরিয়েল দেয়া হচ্ছে। এসব ই-লার্নিং রিসোর্স ও ই-ম্যানুয়েল প্রকাশের ফলে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পাঠ নিতে পারবে এবং শিক্ষকরাও পাঠদানের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে একটি গাইডলাইন পাবেন। আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ই-লার্নিং ও ই-ম্যানুয়েল কনটেন্ট উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়। শিক্ষার মান বাড়াতে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক প্রয়োজন। নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক ইন্টারঅ্যাকটিভ ই-বুকে রূপান্তর করা হয়েছে। পাঠদান পদ্ধতি আরো উন্নত ও সহজ করা প্রয়োজন। পাঠ্যপুস্তক সহজবোধ্য ও সুখপাঠ্য করা এবং ক্লাসরুমের পরিবেশ আনন্দময় করাও প্রয়োজন। ৪০ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার করে কম বিষয়ে পরীক্ষা নেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যেসব স্কুলে গণিত ও ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা পাশ করত না, সেসব স্কুলে সেকায়েপ প্রকল্পের মাধ্যমে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ফলে এসব স্কুলে পাশের হার বেড়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট-২ (টিকিউআই-২) প্রকল্পের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, টিকিউআই প্রকল্পের সাবেক পরিচালক বনমালী ভৌমিক, এনসিটিবি‘র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার