বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে ঢাকায় এসে বিক্ষোভের মুখে পড়া দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের জিম্মাদার মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভি তাবলিগের কাকরাইল শুরা কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। এ খবর জানার পর পরই তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা কাকরাইল মসজিদের সামনে জড়ো হওয়ার ঘোষণা দেন।
এর পরই কাকরাইল মসজিদের চারদিক ঘিরে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সেখান থেকে দুইশ গজ দূরে হেয়ার রোডের মর্ডান টিপটপ মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে অনুরোধ জানিয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কাকরাইল মসজিদের গেট পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বর্তমানে পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার, রমনা ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহেল কাফি ও রমনা থানার ওসি কাজী মইনুল ইসলাম সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন।
এদিকে বিতর্কিত ও আপত্তিকর মন্তব্যের কারণের সমালোচিত তাবলিগ জামাতের
দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের জিম্মাদার মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভিকে বিশ্ব ইজতেমায় ঢুকতে দেওয়া হলে লাগাতার অবরোধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অদূরে বায়তুস সালাম জামে মসজিদ সংলগ্ন চত্বরে বিক্ষোভরত আলেম-উলামারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, মাওলানা সাদ কোরান-সুন্নাহ বিরোধী অনেক বক্তব্য দিয়েছেন। এতো কিছুর পরও তিনি নিজ অবস্থান থেকে ফিরে আসেননি। তাই আমরা তাকে বিশ্ব ইজতেমায় যেতে দেবো না।
বিক্ষোভের আয়োজক নেতারা বলেন, আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। তারপরও যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/ ১০ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান