প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীর দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তির তালিকায় খালেদা জিয়া তিন নম্বর হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। খালেদা জিয়া কিন্তু প্রকাশিত এ সকল সংবাদের কোন প্রতিবাদ জানায় নাই। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই এদেশের জনগণের সম্পদ আর লুটপাট, পাচার করতে দেওয়া হবে না। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বুধবারের বৈঠকে বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদে প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। ১৫৯ পৃষ্ঠাব্যাপী মুদ্রিত জাবাবের বেশিরভাগই খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অর্থের বিবরণ। এছাড়া প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারিতে জড়িত ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিবরণ তুলে ধরা হয়।
প্রধানপ্রমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারের ধারাবাহিক দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি মায়ের প্রভাব খাটিয়ে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ২০০৬ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ বছরে জিয়া পরিবার দেশে বিদেশে অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক হয়ে ওঠে ভাঙ্গা সুটকেস থেকে বেরিয়ে আসা জিয়া পরিবার। এসময় তিনি দেশে জিয়া পরিবারের মালিকানায় থাকা ১৬টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের তালিকা তুলে ধরেন।
বিডিপ্রতিদিন/ ১০ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান