চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেই ভোটে যায় বিএনপি। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মতো এতো খারাপ ফলাফল আগে কখনো হয়নি দলটির।
বৃহস্পতিবার কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে আনা হয়। আদালত থেকে হুইল চেয়ারে করে বের হয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিকরা খালেদা জিয়াকে একাদশ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন।
খালেদা জিয়া এক কথায় এই প্রশ্নের জবাব দেন। বলেন, নির্বাচন নিয়ে কিছু বলার নেই। এর বেশি তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এর আগে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের যে কক্ষে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মামলা চলছে, সেই কক্ষের বিষয়ে আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, এতো ছোট জায়গায় মামলা চলতে পারে না। এখানে আমাদের কোনো আইনজীবী বসতে পারেন না। এখানে মামলা চললে আমি আর আদালতে আসব না। ঢাকার ৯নং বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখানে আইনজীবীদের গেট থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। আপনারা সাজা দিলে দিয়ে দেন, তাও আমি এ আদালতে আসব না।
হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করার সময় ভোগান্তির শিকার হন খালেদা জিয়া। এসময় তিনি বলেন, রাস্তা ছেড়ে দেন। এতো লোক কেন? জজের সামনে এতো লোক তো থাকার কথা নয়। এতো লোকই যদি থাকে, তাহলে আদালতের জায়গা এতো ছোট কেন?
এরপর বিচারক এজলাসে উঠতে কিছুটা সময় লাগায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ সিনিয়র আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে কথা বলেন।
এরপর বিচারক এলে আদালত শুরু হয়। এ সময় মওদুদ আহমদ বিচারকের উদ্দেশে বলেন, আমরা বারবার বলেছি- এ জায়গায় অ্যাকোমোডেশন করা হয় না। এখানে কষ্ট হয়।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদাকে কারাগারে রেখেই গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। নির্বাচনের পরই আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আদালতে হাজির করা হলো খালেদাকে।
বিডি প্রতিদিন/০৩ জানুয়ারি ২০১৯/আরাফাত