গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারকে হঠানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার বিকেলে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নিজ বাস ভবনে নবগঠিত পৌর শ্রমিক দলের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোশাররফ বলেন, বর্তমান সরকার নানা গণবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে আজ বাংলাদেশ ঘৃণিত, ধিকৃত ও নিন্দিত। দেশে গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার নেই, সুশাসন নেই। সর্বোপরি দেশের মানুষ ভালো নেই। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েই চলেছে। এইসব কারণে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশ আজ চরমভাবে লজ্জিত, অপমানিত হচ্ছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত, গণতন্ত্র অনুপস্থিত, স্বৈরশাসন চলছে-তা আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। দেশকে এইসব বদনাম থেকে পরিত্রাণ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে হঠানোর কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বার বার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু সরকার আইনের দোহাই দিয়ে দেশনেত্রীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিদেশে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা গ্রহণে আইন কোনো বাধা নয়, বাধা হচ্ছে সরকার। জামিনে থাকার বিদ্যমান শর্ত তুলে দিলেই তিনি বিদেশে সুচিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবে। আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন।
দাউদকান্দি পৌর শ্রমিক দলের বিদায়ী সভাপতি মোস্তাক মিয়া সরকারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির সভাপতি একেএম শামসুল হক, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি নেতা সাইফুল আলম ভূঁইয়া, নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার, নূরুল আমিন নাঈম সরকার, আহাম্মদ হোসেন তালুকদার, এম এ সাত্তার, কামাল হোসেন, ভিপি শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া, খন্দকার বিল্লাল হোসেন (সুমন কাউন্সিলর), শরীফ চৌধুরী, মো. রোমান খন্দকার, আলমগীর হোসেন, জামাল হোসেন, ইউসুফ হোসেন মোল্লা, আবদুল বাসেদ ও আসাদুজ্জামান লিমন প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন