পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও শারীরিক নির্যাতনের পর ৪ কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন মেডিকো কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা জোবাইদুর রহমান জনি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান ভুক্তভোগী জনি। অভিযুক্ত অন্য তিনজন হলেন- এএসপি জুয়েল চাকমা, এসআই মেহেদি হাসান ও আতিকুর রহমান। জনি মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলের সভাপতি ও সর্বশেষ যুবদলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। জনি অভিযোগ করে বলেন, তার নামে কোনো থানায় মেডিকেল কলেজে ভর্তি জালিয়াতির ব্যাপারে জিডি এবং মামলা নেই। তাকে যেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তার এজাহারেও আমার নাম ছিল না। তাকে তুলে নেওয়ার সময় ওয়ারেন্টও তারা দেখাতে পারেননি। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট আমার বাসা থেকে সকাল সাড়ে ৬টায় সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়।
তারপর সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে আমাকে দীর্ঘ সময় শারীরিক নির্যাতন করা হয়। টাকা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, তার স্ত্রীকে ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট মালিবাগের স্কাই সিটি হোটেলে ডাকা হয়। তারপর আরও মামলা, নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে ৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়। আটক থাকা অবস্থায় ও জামিনের সময় ছয় কিস্তিতে ৪ কোটি টাকা আদায় করা হয়। এটির পর আমাদের পক্ষে আর টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করি।
তিনি বলেন, ২০০৫ সালে মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলাম। তখন কয়েকজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিউশনি করতাম। কিন্তু আমার ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়, ২০০৫ সালে মেডিকেল কলেজে জালিয়াতি ও প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে ভর্তি করানোর মূল হোতা আমি। অথচ আমার কোচিং সেন্টার চালু হয় ২০০৫ সালের অনেক পড়ে।