আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে একের পর এক হয়রানিমূলক মামলায় আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে।
ময়মনসিংহ আদালতে আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বলা হয়েছে যে, গত ৫ জানুয়ারি আমি নাকি একুশে টিভিতে একুশে রাতের টকশোতে তাবলিগ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছি। অথচ গত এক মাসের অধিক আমি দেশের বাইরে। গত ৫ জানুয়ারি আমি দেশেই ছিলাম না। একুশে টিভিতে গেলাম কিভাবে?
আমি বিদেশে থাকাকালে ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভুয়া পোস্টে আমার আসল আইডির ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
আমার ফেসবুক একাউন্ট একটা, যাতে ফলোয়ারের সংখ্যা ৩৮০০০ প্লাস এবং আমার ফ্যানপেইজ একটা, যাতে লাইকের সংখ্যা ৬৯০০০ প্লাস। এ দুটি বাদে বাকি সবই মিথ্যা, ভুয়া-বানানো। এগুলো থেকে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা চালানো হচ্ছে।
গত এক মাস আমি কোনো টকশোতে যাইনি, কোনো পত্রিকায় কলাম লিখিনি, কোথাও সাক্ষাত্কার দেইনি, ফেসবুক চালাইনি, কোনো পোস্ট দেইনি। তাহলে কোথায় পেল তারা আমার এসব বক্তব্য?
স্কুলজীবন থেকেই আমি তাবলিগের মেহেনতের সঙ্গে যুক্ত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় অসংখ্যবার তাবলিগে সময় দিয়ে চলেছি। তাবলিগ নিয়ে বিরূপ কিছু বলা আমার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়।
গত নভেম্বরে লন্ডনে সেমিনারে এক একাডেমিক আলোচনায় আমি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সমালোচনা করি। যা আমি গত দুই বছরে বহুবার পত্রিকার কলামে ও টকশোতে করে আসছি। পঞ্চদশ সংশোধনীর সমালোচনায় আমি সংবিধান, বঙ্গবন্ধু বা ধর্মকে কটাক্ষ করিনি। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করে আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ধর্মদ্রোহিতা ও মানহানির মামলায় আমার মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো উইন্টার ভেকেশনে বিদেশে বেড়াতে এসে মৃত্যুদণ্ডের একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে আমি যাতে দেশে ফিরতে না পারি তার ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।
ইনশাআল্লাহ সত্য সমাগত। মিথ্যা পরাভূত হবেই। আমি আমার আল্লাহ ও আমার দেশের প্রতি অবিচল আছি ও চিরকাল থাকব।