মে মাসের শুরুর দিকে প্রথম খবর শোনা গেল যে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে গণকবর পাওয়া গেছে, যেখানে বাঙালি ও রোহিঙ্গাদের গলিত লাশ রয়েছে। তারপর কয়েকদিনের মধ্যে আরও ভয়ঙ্কর সব খবর প্রকাশ হতে লাগল। বাংলাদেশ থেকে চাকরির সন্ধানে সমুদ্রপথে যাত্রা করেছে হাজার হাজার বাংলাদেশি। কিছু রোহিঙ্গাও আছে। বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া- এসব দেশের মিলিত দালাল চক্র অবৈধপথে মানব পাচারের ব্যবসা করে আসছে। যাত্রা শুরু হয় কক্সবাজার-টেকনাফ এই অঞ্চলের সমুদ্র উপকূল দিয়ে। এখন আরও জানা গেছে, অবৈধভাবে সমুদ্রপথে গত তিন বছরে গেছে দেড় লাখ লোক।
সমুদ্রপথে এই যাত্রা হচ্ছে মরণ যাত্রা। প্রথমত, সমুদ্রপথে নৌকায় যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ তো বটেই, তার চেয়েও বড় বিপদ আসে দালাল চক্রের কাছ থেকে। প্রথমে ১০-১৫ হাজার টাকায় মালয়েশিয়ায় গিয়ে চাকরি পাওয়া যাবে, এমন লোভ দেখিয়ে দালালরা চাকরি সন্ধানী ভাগ্যাহত মানুষদের নৌকায় তোলে। তারপর চাপ দিতে থাকে আরও টাকা দাও। বিভিন্ন পর্যায়ে টাকা দিতে দিতে পরিমাণটা কয়েক লাখে পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়ায়। যারা টাকা দিতে পারে না, তাদের ওপর নির্যাতন চলে। কাউকে কাউকে সমুদ্রে ছুড়ে ফেলা হয়। কেউবা থাইল্যান্ডের জঙ্গলে বন্দীশিবিরে মৃত্যুবরণ করে। এরা কয়েক হাটে কয়েক ঘাটে বিক্রি হয়। শেষ পর্যন্ত যারা বেঁচে থাকেন, তারা ক্রীতদাসের জীবনযাপন করতে বাধ্য হন। লন্ডনের গার্ডিয়ান এবং টাইম সাময়িকীর প্রতিবেদনে জানা গেছে, থাইল্যান্ডে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে শ্রম দিচ্ছে ছয় লাখ ক্রীতদাস, যার অধিকাংশ বাংলাদেশি।
মালয়েশিয়াতেও অবৈধভাবে পাচার হওয়া মানুষদের কারও কারও কাজ জুটেছে। কিন্তু তারাও ক্রীতদাসের মতোই। বৈধপথে শ্রমিক আমদানি করার চেয়ে অবৈধ পথে শ্রমিক পাওয়া গেলে পুঁজিপতিদের অনেক লাভ। কারণ তাদের অনেক কম মজুরি দেওয়া যায়। এমনকি ক্রীতদাসের মতো খাটানোও যায়। ২০০৭ সালে বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া নিয়েছিল ২,৭৩,২০১ জন শ্রমিক। ২০০৮ সালে ১,৩১,৭৬২ জন। ২০০৯ সাল থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয়। তারপর তিন বছর আগে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হয়। তারা সরকারিভাবে লোক নেবে। গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট, সংক্ষেপে জিটুজি। ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর এই চুক্তি হয়। তারপর মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সাড়ে ১৪ লাখ শ্রমিক নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু এভাবে বৈধভাবে যেতে পেরেছেন গত সাড়ে তিন বছরে মাত্র সাড়ে সাত হাজার শ্রমিক। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, 'মালয়েশিয়া কাঙ্ক্ষিত চাহিদাপত্র পাঠাচ্ছে না।' এর কারণও খুব সহজ। সে দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো দেখছে সরকারের মাধ্যমে লোক নিলে যে মজুরি দিতে হয়, তার চেয়ে অবৈধ পথে পাচার হয়ে যাওয়া নিরুপায় মানুষগুলোকে অনেক সস্তায় খাটানো যায়। এটাই বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদের নিয়ম। আমাদের দেশের গার্মেন্ট মালিকরা যেমন অসহায় মেয়েদের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে প্রায় দাসের মতো খাটায়, ওখানকার রাবার বাগান বা অন্য কোনো ব্যবসায়ী শিল্প প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাদী মালিকরাও ঠিক তেমনি অসহায় অবৈধ পথে আসা মানুষগুলোকে সেই আমেরিকার কালো ক্রীতদাসের মতোই খাটাচ্ছে। তার মধ্যে কত যে মরছে, তার হিসাব রাখছে কে? পুঁজিবাদের কাছে শ্রমশোষণ ও মুনাফাই হলো আসল কথা। জীবনের দাম কতটুকু?
আমাদের সরকারের কাছেই বা দালালের খপ্পরে পড়ে পাচার হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর জীবনের দাম কতটুকু? যখন মানব পাচারের ব্যাপারটি পৃথিবীব্যাপী জানাজানি হয়ে গেল, যখন শোনা গেল আট হাজার নর-নারী-শিশু সাগরে ভাসছে, কেউ কূলে ভিড়তে দিচ্ছে না, তখন আমাদের সরকারের নির্বিকার চেহারা, কালক্ষেপণ ও ঢিলামি রীতিমতো অপরাধের মতো। বরং আমরা শুনলাম প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি। তিনি বললেন, পাচারকারী দালালদের সঙ্গে সঙ্গে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে যাত্রাকারীদেরও শাস্তি দেওয়া হবে। অবৈধভাবে যাওয়া অপরাধ তো বটে। সে জন্য শাস্তি যদি হয় তো হোক। কিন্তু এখন তো দরকার সবার আগে দ্রুততম গতিতে সাগরে ভাসমান এ মানুষগুলোকে উদ্ধার করা। এ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের কাছ থেকে যেসব করুণ ও নির্মম মানব বিপর্যয়ের কাহিনী শোনা গেছে, তাতে তো যে কোনো দায়িত্বশীল সরকারের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাওয়ার কথা।
জানা গেছে, সমুদ্রে ভাসমান নৌকায় খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করে পরস্পরের হাতে খুন হয়েছে ১০৪ জন। এ অবস্থায় তো সরকারের উচিত ছিল তোলপাড় করে তোলা। নৌবাহিনীর জাহাজগুলো এখনো কেন তীরে বসে আছে? যে কোনো দায়িত্বশীল ও জনদরদি সরকারের উচিত ছিল দ্রুততম সময়ে জাহাজ পাঠিয়ে ভাসমান মানুষগুলো উদ্ধার করা। জাতিসংঘ বলেছে তারা সাহায্য করবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশ চাইলে সাহায্য করতে প্রস্তুত। তাদের বলার আগেই কেন সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেনি সরকার? প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো ফোন করতে পারতেন মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সরকার প্রধানের কাছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছুটে যেতেন এসব দেশে অথবা ফোন করতেন। এসব কিছু্ই হয়নি। বরং মনে হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার বেশ বিব্রত ও বিরক্ত। উন্নয়নের, সাফল্যের যে গল্প সারা দুনিয়াকে এবং দেশের জনগণকে শোনানো হচ্ছিল, তা যেন হঠাৎ করেই ফাঁকা প্রমাণিত হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী তাই রাগতস্বরে বললেন, যারা অবৈধ পথে সমুদ্র যাত্রা করেছে, তাদের মানসিক সমস্যা আছে। তা না হলে, এত উন্নতি যে দেশে, যেখানে কাজের এত সুযোগ সে দেশ ছেড়ে দুর্গম সমুদ্রপথে বিদেশ যাবে কেন?
কিন্তু একজন দুজনের না হয় মতিভ্রম হতে পারে। হাজার হাজার মানুষ কী সত্যিই 'পাগল' হয়ে গেছে? আসলে কথাটা খুব মিথ্যাও নয়। দারিদ্র্য ও বেকারত্বের অভিশাপে লাখ লাখ মানুষ এখন দিশাহারা। দেশের মধ্যে কাজ নেই। আয়-উপার্জনের কোনো পথ নেই। তাই যেভাবেই হোক চাকরি করতে হবে, চাকরি পাওয়া যাবে এ আশায় তারা উপায়ন্তর না দেখে পদে পদে মৃত্যুর আশঙ্কা জেনেও অজানার পথে যাত্রা করেছে। এক অর্থে বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিরাট অংশেরই আজ মাথা খারাপ হয়ে গেছে। দারিদ্র্য ও বেকারত্বের কারণে ভারতের কোনো কোনো অঞ্চলে ব্যাপক হারে আত্দহত্যার খবর শুনেছিলাম। এখানেও যেন ঠিক তদ্রূপ ঘটনা। কোথাও কিছু পাচ্ছি না, পারছি না। দেখা যাক, যদি একটা চাকরি জোটে।
সরকারের উচিত ছিল এই অসহায় মানুষগুলোর প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টি নিয়ে ত্বরিত উদ্ধারের ব্যবস্থা করা। মানসিক সমস্যা বলে তাচ্ছিল্যও করা নয় অথবা শাস্তি দেওয়ার হুমকি প্রদানও নয়। আগে তো মৃত্যুপথযাত্রী মানুষকে বাঁচাতে হবে। জীবন্ত মানুষকেই তো শাস্তি দেওয়া যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে মানুষের দুর্যোগে খুবই সহৃদয়ের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এবার তার এ ধরনের উক্তি আমার কাছে বেশ বিস্ময়কর মনে হয়েছে।
হতে পারে সম্মানে ঘা লেগেছে। তার ব্যক্তিগত সম্মান নয়, দেশের সম্মান। যে দেশ দ্রুত উন্নয়ন করছে বলে পৃথিবীতে নানা ধরনের সম্মাননা পেয়ে এসেছে তখন হঠাৎ করেই সেই দেশের এমন খবর আসল সত্যটাকে অনাবৃত করে দিল। আমাদের প্রেস্টিজ গেছে। তাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু বাস্তবতা বড়ই নিষ্ঠুর। বাস্তব সত্য প্রকাশ করে দিল, আমাদের উন্নয়নের গপ্প কত ফাঁকা। এই প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠ (২৩ মে) প্রকাশিত লেখক তৌহিদুর রহমানের এক নিবন্ধ থেকে কয়েকটি বাক্য উদ্ধৃত করা যেতে পারে। পাচার হয়ে যাওয়া হতভাগ্য মানুষদের প্রতি দরদ প্রকাশ করেও অত্যন্ত শ্লেষাত্দক ভাষায় তিনি লিখেছেন, 'দেশের গণমান্যরা দারিদ্র্য বিমোচন করে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন। দেশের হর্তাকর্তারা নানা খাতে অসামান্য অবদানের জন্য দেশি-বিদেশি সম্মাননা পাচ্ছেন।... আর ক'দিন বাদেই মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার গর্বে ভীষণ ভারি আজ বাংলাদেশ। বিশ্ব মোড়লেরাও তাতে সায় দিয়ে চোখ কপালে তুলে বলছে, কী আশ্চর্য! বিশ্বজুড়ে এমন অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও বাংলাদেশের এই উন্নতির রহস্য কী? বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে বিশ্বনেতারা আর দেশের হর্তাকর্তারা।'
আর বলছে, 'দেশের ছেলেগুলো এত লোভী কেন? কেন যে ওরা এমন সোনার দেশ ছেড়ে বেশি বেশি রোজগারের আশায় শামিল হয় মরণ যাত্রায়?'
দোষটা সব যেন অবৈধ অভিবাসীদের। তাদের এই মরণযাত্রা আমাদের কর্তাব্যক্তিদের সব সম্মান যেন ধুলায় লুটিয়ে দিয়েছে।
আসলে কি উন্নয়ন হয়নি? অবশ্যই হয়েছে। এখন আমাদের মাথাপিছু গড় আয় প্রতি বছর ১১৫০ ডলার। আমাদের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স (গত বছর যার পরিমাণ ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার) এবং প্রায় দাসের মতো পরিশ্রম করা গার্মেন্ট শ্রমিকরা। কিন্তু এই উন্নয়নের সিংহ ভাগ যায় অল্পকিছু লোকের পকেটে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে ২০১০ সালে ছিল ২৩ হাজার ২১২ জন কোটিপতি আর ২০১৪ সালে তা দাঁড়িয়েছিল ৫০ হাজারের বেশিতে। ২০১৪ সালের কালের কণ্ঠের রিপোর্ট অনুযায়ী বিআরটিএ-তে নিবন্ধিত কোটি টাকার বা তার চেয়েও বেশি দামের গাড়ির সংখ্যা ৪৯ হাজার। কে বলবে যে বাংলাদেশ উন্নয়ন করেনি?
কিন্তু বাংলাদেশ যে দুইটা। বড়লোকের বাংলাদেশ ও গরিবের বাংলাদেশ। আইএলওর হিসাব মতে তিন কোটির বেশি মানুষ বেকার। ২০১৪ সালের হিসাব মতে দারিদ্র্যের হার ২৫.৬ শতাংশ। এটা অবশ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট যারা সরকারের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করতে হারটা কমিয়েই ধরবে গণনার বিশেষ কৌশলের সাহায্যে।
গার্মেন্টশিল্পে সর্বনিম্ন বেতন মাসিক পাঁচ হাজার টাকা, তাও সব কারখানা এটা দেয় না। মোট কথা বিশালসংখ্যক হতদরিদ্র মানুষ কাজের সন্ধানে পাগলের মতো ছুটে বেড়াচ্ছে। একটু আয়-রোজগারের পথ চাই। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প ঋণ ও সুদের বোঝা বাড়ানো ছাড়া দারিদ্র্য কমাতে পারেনি। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ হতদরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্য ও বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পারেনি। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় এটা যে সম্ভব নয়, সেই সরল সত্যটি না নোবেল বিজয়ী, না প্রধানমন্ত্রী কেউই স্বীকার করছেন না।
আরেকটা জিনিস আমাকে খুব বিস্মিত করেছে। সাগরে যখন হাজার হাজার মানুষের জীবন-মরণ সমস্যা দেখা দিয়েছে, এক নিষ্ঠুর মানবিক বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে, তখন একদিকে যেমন আমাদের সরকারকে ত্বরিত তৎপর হতে দেখিনি, অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দুই দেশের শান্তির জন্য নোবেল বিজয়ী দুই মহান ব্যক্তিকেও নির্লিপ্ত থাকতে দেখছি। বাংলাদেশের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস এবং মিয়ানমারের অং সান সু চি।
এর কারণ বোধহয় একটাই। সাগরে ভাসমান মানুষগুলো আসলেই গরিব। এদের কেউ যদি কোনো ধনী বা প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হতো, তাহলে অনেক আগেই তোলপাড় শুরু হয়ে যেত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, প্রশাসনিক পর্যায়ে, কূটনৈতিক পর্যায়ে। গরিব হওয়া মানেই মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া। এটাই পুঁজিবাদী বিশ্বের নিয়ম।
সবশেষে যে কথাটা বলতে চাই তা হলো, অবৈধ মানব পাচার বন্ধ করা কঠিন কিছু নয়। কারণ ছোট একটা জায়গা দিয়ে সাগরে পাচার হচ্ছে মানুষ। এই জায়গায় নজর রাখা বেশি কঠিন নয়। কিন্তু যদি পুলিশ, প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জড়িত থাকে (যা আছে বলেই প্রতীয়মান হয়) তাহলে দুর্বৃত্তদের এমন লোভনীয় ব্যবসা কখনই বন্ধ করা যাবে না। এত ঘটনার পর আমি আশা করব, সরকার এবার তৎপর হবে, উদ্ধার করবে মানবিক বিপর্যয়ের হাত থেকে হতভাগ্য মানুষদের এবং ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
লেখক : রাজনীতিক।