শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৮ জুন, ২০১৫

ভারত কি বাংলাদেশে মধ্যবর্তী নির্বাচন চায়

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
ভারত কি বাংলাদেশে মধ্যবর্তী নির্বাচন চায়

লীগ সরকার একটি মধ্যবর্তী নির্বাচনের চিন্তাভাবনা করছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির কোনো কোনো নেতাও এ ধরনের সম্ভাবনার কথা নাকচ করছেন না। তবে তারা শঙ্কিত এই কারণে যে, তার আগে সরকার বিএনপিকে ভেঙে তছনছ করে দিতে পারে। এমন কি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার ব্যবস্থাটিও পাকাপোক্ত করে নিতে পারে। এ উদ্দেশ্যে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত দুর্নীতি মামলার কাজ দ্রুত যাতে সম্পন্ন হয় সে জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের তৎপরতা হয়তো আরও বেড়ে যাবে। জিয়া অরফানেজ এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বর্তমান অবস্থান বিবেচনায় বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন তাতে মাতা-পুত্রের সাজা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দুই বছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ড হয়ে গেলেই তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য হয়ে যাবেন। নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে ফৌজদারি মামলায় এমন দণ্ড হলে দণ্ড চলাকালীন সময় তো বটেই, কারামুক্তির পরবর্তী পাঁচ বছরও অপরাধীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো সুযোগ নেই। কেউ কেউ বলছেন, এ অবস্থায় মধ্যবর্তী নির্বাচনের আয়োজন করলে বিএনপি সেই নির্বাচনে না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তখন বিএনপিতে নির্বাচনপন্থি অংশ দলের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে পৃথক বিএনপি গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। সরকার সেই সুযোগটি কাজে লাগানোর কৌশল নেবে। কিন্তু সেই কৌশলে কি কাজ হবে? মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রশ্ন তো এসেছে দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ থেকে। খালেদা জিয়া-তারেকবিহীন একটি সরকারপন্থি বিএনপিকে নির্বাচনে এনে কি এটা প্রমাণ করা যাবে যে, নির্বাচনটি সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে? সরকারের বিএনপি ভাঙার কোনো পরিকল্পনা যদি থাকে তাতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের উদ্দেশ্য মোটেই সফল হবে না।

মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রসঙ্গটা নতুন নয়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এই দাবিতে আন্দোলনরত। তিন মাসের ব্যর্থ আন্দোলনে জামায়াতের এজেন্ডা ভিন্ন থাকলেও বিএনপির এজেন্ডা ছিল আগাম বা মধ্যবর্তী একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন। বিএনপির সেই দাবি এখন সম্ভাব্যতার নিরিখে বিবেচনা হচ্ছে। এই ভাবনা বিএনপির বাইরের লোকজনেরও ভাবনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের পর এই আলোচনা বেশ অর্থপূর্ণই মনে হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির সফরের উদ্দেশ্য ছিল দ্বিবিধ। এক. নিকট প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে ভারতের আগের 'প্রভুত্বের' নয়- 'বন্ধুত্বের', 'বড়ভাইয়ের' নতুন সম্পর্কনীতি বাস্তবায়নের সদিচ্ছা প্রমাণ করে নিজেকে শুধু ভারতের নেতা নয়, আঞ্চলিক একক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং দুই. বাংলাদেশে ভারতের জরুরি স্বার্থসমূহ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। সেই গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য সফল করার লক্ষ্যেই তার সফরকালে বাংলাদেশ-ভারত ২২টি চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ৬৫ দফা যৌথ ঘোষণাও প্রকাশ করা হয়েছে। বিনা বাধায়, বিনা গোলযোগে এই কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু যত সহজে হয়েছে, তত সহজে কী সব বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে? এই প্রশ্নটাই মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচনের বিষয়টিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনার প্রায় শীর্ষে নিয়ে এসেছে। যুক্তিসঙ্গতভাবেই আলোচনা হচ্ছে যে, এই ধরনের চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের জন্য যে কোনো দেশের সরকারকে প্রকৃত অর্থে জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত হতে হয়। বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনটিকে কোনোক্রমেই আদর্শ নির্বাচন বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনের ঘোষিত তারিখের ১৫ দিন আগেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০০ আসনের সংসদের ১৫৩ জন 'প্রত্যক্ষ নির্বাচন' ছাড়াই এমপি হয়ে যান। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদে 'প্রত্যক্ষ নির্বাচনের' বিষয়টি বাধ্যতামূলক। বাকি ১৪৭ আসনের নির্বাচন কেমন হয়েছিল দেশবাসী তা প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের চোখের সামনেই তো হয়েছে সব। ৪৯টি কেন্দ্রে একটি ভোটও কাস্ট হয়নি। সিল মারামারি, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অনৈতিক আচরণ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা সব কিছুই দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয়েছে। এমন একটি বিতর্কিত নির্বাচনকে জাস্টিফাই করার জন্য লীগ সরকার, তাদের লোকজন দুটি যুক্তি উত্থাপন করেন। এক. এটি সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। এতে সাংবিধানিক নির্দেশের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি দুই. কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যে কোনো ব্যক্তির নির্বাচিত হতে আইনি কোনো বাধা নেই। এ ধরনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড বাংলাদেশেই আছে। প্রথম যুক্তির পেছনে তারা বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের বিষয়কে দায়ী করেন। কিন্তু বিরোধীরা নির্বাচনটা কেন বর্জন করল তা আড়ালে রাখেন। বিএনপি নির্বাচনপন্থি একটি দল। আদর্শ নির্বাচন হলে তাতে তাদের ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে, আমাদের দেশে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব একে অপরকে বিশ্বাস করেন না। পারস্পরিক এই অনাস্থাজনিত কারণেই নির্বাচনকালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন হয়েছিল এবং সব দলের সম্মতিতে তা সংবিধানে সনি্নবেশিত হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন লীগ সরকার এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি বাতিল করে দেয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে। সব দলের সম্মতিতে গৃহীত ব্যবস্থাটি একদলীয় সিদ্ধান্তেই বাতিল হয়ে যায়। বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল অবিরাম অভিযোগ করে আসছে যে, নিজেদের জয় নিশ্চিত করার জন্যই ক্ষমতাসীনরা অনৈতিক কাজটি করেছে। ব্যবস্থাটি ছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ প্রতিপক্ষ শক্তিসমূহকে নির্বাচনের বাইরে রাখার একটা রাজনৈতিক কূট-কৌশল। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪২টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩২টি দলই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছে। দ্বিতীয়ত, তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জনের নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পক্ষে অতীতের যে যুক্তি হাজির করেন তা হাস্যকর। এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৪৯ জন এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। অতীতে সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে কোনো দলের বা জোটের জয়লাভের রেকর্ড নেই। এবার তাই হয়েছে। সরকার গঠন করতে লাগে ১৫১ জন এমপির সমর্থন। সে ক্ষেত্রে শাসকদল ক্ষমতায় থেকে, পূর্ববর্তী পার্লামেন্ট বহাল রেখে বিনা ভোটে ১৫৩ আসন করায়ত্ত করে, অর্থাৎ জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই সরকার গঠন করার ব্যবস্থা করে ফেলে সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতার দোহাই দিয়ে। নৈতিক বৈধতার বিষয়টিও গ্রাহ্য করছেন না তারা। বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে স্বাক্ষরিত চুক্তি, প্রটোকল এবং সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের প্রশ্নেই উঠেছে বাংলাদেশের যে সরকারের সঙ্গে এতসব সই-সাবুদে হলো, এসব বাস্তবায়নে সে সরকারের সক্ষমতা কতটুকু? জনগণের 'পপুলার ম্যান্ডেটহীন একটি সরকারের পক্ষে কি তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব? খোদ ভারতেও এই প্রশ্ন উঠেছে। প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার তো আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে 'পড়ন্ত ভাবমূর্তি' হিসেবে চিহ্নিত করে নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেছেন, 'শেখ হাসিনার পড়ন্ত ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য অসময়ে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছেন।

কানেকটিভিটি, বহুল কাঙ্ক্ষিত চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ এবং নিজ দেশের সারপ্লাস পুঁজি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধাসহ অন্যান্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়ন ভারতের জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু যে সরকারের প্রতি তার দেশের জনগণের ম্যান্ডেট প্রশ্নবিদ্ধ, সেই সরকার কীভাবে তা বাস্তবায়ন করবে তা ভারতের প্রশংসিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত নরেন্দ্র মোদির গণতান্ত্রিক সরকারকে ভাবিয়ে তুলতেই পারে। বাংলাদেশ সরকারের একান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জনসমর্থনের দিক থেকে আওয়ামী লীগের সমান সমান (অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থন নিয়ে অনেক বেশি) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক বৈঠক ও প্রায় ১৫ মিনিট একান্ত (ওয়ান-টু-ওয়ান) আলোচনাকে সেই ভাবনা থেকে মুক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে দেখছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। এই সফরকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন লীগ সরকার মনস্তাত্তি্বক দৌর্বল্য কাটাতে চেয়েছিল বেগম জিয়াকে মানসিকভাবে আরও ধসিয়ে দিয়ে। মোদি-খালেদা বৈঠক না হলে তারা সফল হয়ে যেত। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী সংবাদ সম্মেলন করে 'খালেদা-মোদি বৈঠক হবে না' ঘোষণা করার মাহাত্দ্য মানুষ বুঝেছে। তারা জানতেন, এমন বৈঠক বেগম জিয়া এবং তার দল ও সমর্থকদের 'মোরাল' অনেক উঁচুতে নিয়ে যাবে এবং তা বিএনপি-বিজেপি সম্পর্কের একটা নতুন দিগন্তও উন্মোচন করে দিতে পারে। বৈঠকটি না হওয়ার জন্য লীগ সরকার ভারত সরকারের কাছে দরখাস্ত দিয়ে কোনো অনুনয়-বিনয় করেছে কিনা, কিংবা আমাদের পররাষ্ট্র দফতর দিল্লির 'সাউথ ব্লকের সঙ্গে কোনো দেনদরবার করেছে কিনা জানি না, তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে একটি অন্তর্নিহিত ম্যাসেজ তো পরিষ্কার ছিল যে, বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদির 'হোস্ট' এমন একটি বৈঠক চায় না। কিন্তু সেই ম্যাসেজে যে কোনো কাজ হয়নি, তাকে যে দিল্লির 'সাউথ ব্লক' পাত্তাই দেয়নি তার প্রমাণ পাওয়া গেছে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর 'বৈঠক হবে না' ঘোষণার চার ঘণ্টা পর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, গোটা সরকার এবং সরকারের 'দলদাস' বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীরা তাতে লজ্জা পাওয়ার কথা। জানি না পেয়েছেন কিনা! ব্যাকফুটে ছিল বিএনপি। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগের দেশি-বিদেশি নানামুখী চাপ এবং তিন মাসের ব্যর্থ আন্দোলন শেষে বেগম খালেদা জিয়ার চেহারায় যে ক্লান্তি ও হতাশার ছাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর তার সেই ক্লান্তি ও ছাপ কেটে গেছে বলে মনে হয়। তাকে বেশ আত্দপ্রত্যয়ী মনে হচ্ছিল, আচরণে-উচ্চারণে মনে হচ্ছে তিনি বেশ উজ্জীবিত। তার তো এখন একটাই এজেন্ডা- একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন। প্রায়- সারা গণতান্ত্রিক দুনিয়াই তা চেয়েছে, এখনো চায়। এই ব্যাপারে ভারতের এতদিনের ভূমিকা সবারই জানা। খালেদা-মোদি বৈঠকে ভারতের সেই ভূমিকা পরিবর্তনের কি ইঙ্গিত মিলেছে? এটা জানেন নরেন্দ্র মোদি, জানেন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া মুখে কিছু বলছেন না। কিন্তু তার বডি ল্যাংগুয়েজে কি কিছু বোঝা যায় না? তিনি দল পুনর্গঠনের কথা বলছেন। বৃদ্ধ, অসুস্থ, নিষ্ক্রিয় এবং খারাপ ব্যক্তিদের দল থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলছেন। দল ছেড়ে যাওয়াদের দলে ফেরাচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকায় যেতে বলছেন সবাইকে। ঈদের পর কাজ শুরু হবে আরও জোরে। অপরদিকে শাসকলীগেও হাওয়া বইছে নির্বাচনের। এমপিদের এলাকায় যাওয়ার এবং নির্দিষ্ট সময় এলাকায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ্যপ্রার্থী বাছাই কাজ শুরু হয়েছে। যারা দলের বোঝা, মন্ত্রী হলেও তাদের বাদ দিয়ে দলের ইমেজ সংকট পূরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দল, অঙ্গদল ও সহযোগী দলের কমিটি গঠন-পুনর্গঠনের মাধ্যমে দলকে চাঙ্গা করার কাজ পুরোদমে শুরু হবে ঈদের পর। সবই নির্বাচনেরই প্রস্তুতি। ২০১৯ সালে নির্বাচন হলে প্রধান দুই দলে এত আগে নির্বাচনের প্রস্তুতি কেন?

মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা ভাবার পেছনে তিন পক্ষের তিনটি স্বার্থের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এক. ভারত একটি নির্বাচনমুখী গণতন্ত্র অনুশীলনের দেশ। মোদি সরকার সেই দেশের জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত। প্রতিবেশী দেশেও জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত সরকার থাকলে সম্পর্কোন্নয়ন এবং উভয় দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে তা উপযোগী বলে তারা ভাবতে পারে। সরকার জনগণের প্রকৃত ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত কিনা তা প্রমাণিত হয় একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে। বাংলাদেশে তেমন একটি নির্বাচন হোক তা তারা চাইতে পারে নিজেদের স্বার্থেও। কেননা, তেমন একটি সরকার ছাড়া যত চুক্তিই করা হোক, তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। দুই. সরকার ২০১৪ সালের নির্বাচনের নেতিবাচক বোঝা টানছে। তারা মনে করছে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ তারা করেছে। জনগণ তাদের পক্ষে। বিএনপি এখন একেবারেই কাবু। এখন নির্বাচন করলে তারা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে। শক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতা ভোগের পরিণতি তাদেরও অজানা নয়। অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনে হেরে গেলেও একটা 'সেইফ এঙ্টি' তৈরি হবে তাদের জন্য। তিন. বিএনপি মনে করছে আগাম নির্বাচন হলে তারা সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তা ছাড়া দল গোছানো হবে, জেল-জুলুম, মামলা-মোকদ্দমা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে। নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হলে সরকারকে এসব বিবেচনা করতেই হবে। যদি ক্ষমতায় যাওয়া না-ও যায়, সম্মানজনক আসন নিয়ে বড় বিরোধী দল হিসেবে সংসদে থাকতে পারবে, দল রক্ষা হবে। বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করলে পরিস্থিতি জটিল হবে বটে; তবে ধারণা করা হয়, তারপরও বিএনপি নির্বাচনে যাবে।

এসব নানাবিধ সমীকরণ থেকেই দেশে আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকরা।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮
পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩
মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব
মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২
ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস
ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি
চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত
টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা
বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম
দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের
‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস
ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডেমরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ডেমরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা
মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি
সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি

শনিবারের সকাল

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান
বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান

পরিবেশ ও জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা