শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ২৯ জুন, ২০১৫

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ

গত ১৭ জুন নাফ নদীতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহল দলের মধ্যে গোলাগুলি হয় এবং বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য নায়েক রাজ্জাককে অপহরণ করে নিয়ে যায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সরকার ও তাদের বর্ডার গার্ড পুলিশের অকূটনৈতিকসুলভ বিরূপ আচরণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক আবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। মিয়ানমার প্রতিবেশীসুলভ আচরণ দেখাতে ব্যর্থ হয়। আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও জেনেভা কনভেনশনের সব শর্ত ভঙ্গ করে চরম ঔদ্ধত্যের পরিচয় দেয়, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি সামরিক জান্তা নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমারের অগণতান্ত্রিক সরকারের চরম হঠকারী সিদ্ধান্ত। কিন্তু বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণতন্ত্রে ধর ধর মার মার কায়দায় কিছু করা যায় না, তার ফলও আখেরে ভালো হয় না। তাই বাংলাদেশ ধীরস্থির ও ধৈর্য সহকারে কূটনৈতিক পরিপক্বতায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে, সেটাই কাম্য। নায়েক রাজ্জাকের অপহরণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের আচরণের বিরুদ্ধে বাংলদেশের পক্ষ থেকে কঠিন ও শক্তিশালী প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অব্যাহত কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ২৫ জুন শর্তহীনভাবে নায়েক রাজ্জাককে ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। আপাত সমস্যার একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান তাতে হয়েছে বলে মনে করা যায়। কিন্তু সমস্যার মূল কারণ রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ রকম ঘটনা আগে যেমন ঘটেছে, আগামীতেও ঘটতে থাকবে। সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে এবং তার সমাধান খোঁজার জন্য দুই দেশ নিজ নিজ নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারে, সমাধানের অনেক বিকল্পও হয়তো পাওয়া যাবে, কিন্তু সবার মনে রাখা উচিত প্রতিবেশী পাল্টানো যাবে না।

দীর্ঘদিনের লালিত অগণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ডজনেরও বেশি জাতিগত দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলছে যুগযুগ ধরে। রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাকেন্দ্রিক নিজস্ব জাতিগত সমস্যা বাংলাদেশের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। জাতিগত দ্বন্দ্বের ইতিহাস শিক্ষা হলো- এতে তাদের সমস্যার সমাধান তো হবেই না, বরং সমস্যা আরও জটিল করবে। নির্যাতন ও নিস্তব্ধ করার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার অপদৃষ্টিভঙ্গির কারণে বৃহত্তম উপজাতি কারেন সম্প্রদায়ের সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহ ৬৭ বছরেও মিয়ানমার সমাধান করতে পারেনি। এটিকে বিশ্বের দীর্ঘতম সশস্ত্র বিদ্রোহ বলেও অভিহিত করা হয়। একই কারণে চলছে শান ও কাচিন সম্প্রদায়ের সশস্ত্র বিদ্রোহ। মিয়ানমারের সাড়ে ছয় কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় দুই কোটি মানুষ জাতিগত দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষে জর্জরিত এবং একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী ঘরবাড়ি ছাড়া ও বাস্তুচ্যুত। কিন্তু জান্তা সরকার এই সংঘর্ষগুলোকে জিইয়ে রেখে বিশ্ব দরবার ও মিয়ানমারের দরিদ্র সাধারণ মানুষের কাছে সামরিক কর্তৃত্বের অপরিহার্যতা প্রমাণ করতে চায়, তাদের দেশ শাসনকে জায়েজ করতে চায়। দেশ ও মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন নয়, ক্ষমতায় থাকাই মুখ্য। সব সামরিক শাসকের এটাই নীতি। আয়তনে বাংলাদেশের প্রায় চারগুণ বড়, খনিজ ও বনজ সম্পদে ভরপুর। ভৌগলিক অবস্থান আকর্ষণীয়। তা সত্ত্বেও মিয়ানমার এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে পিছিয়েপড়া দেশ। নীতি ও করণীয় নির্ধারণে বাংলাদেশকে মিয়ানমার সামরিক সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় রাখতে হবে।

রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে একটা ভ্রান্ত ধারণার জন্ম দেওয়া হয়েছে সেই ১৯৪৮ সাল থেকে, মিয়ানমার স্বাধীন হওয়ার পরপর। ভাষা, ধর্ম ও সাংস্কৃতিকভাবে বাংলাদেশের বৃহত্তর চট্টগ্রামের লোকজনের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একটা সাদৃশ্য আছে। ফলে শুরু থেকে মিয়ানমারের সব সরকার, বিশেষ করে ১৯৬২ সালের পর থেকে সামরিক সরকারগুলোর একটা সন্দেহ হয় যে, এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী চট্টগ্রামের অধিবাসীদের সহায়তায় সুযোগমতো মিয়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। রোহিঙ্গাদের এই চেষ্টার পিছনে বিশ্বের অন্যান্য কিছু মুসলিম দেশের সমর্থন রয়েছে বলে মিয়ানমার মনে করে। এ ক্ষেত্রে তারা ফিলিপাইনের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য পরিচালিত মরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের (MNLF) সশস্ত্র যুদ্ধের উদাহরণকে সামনে আনে, যাদের প্রতি কিছু মুসলিম দেশ ও সংগঠনের সমর্থন রয়েছে। একবার লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফি ঘোষণা দিয়েছিলেন আরাকান মুসলমানদের মুক্তির জন্য মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। যদিও বাস্তবে তার কোনো লক্ষণ কখনো দেখা যায়নি। এই আশঙ্কার কিছু ভৌগলিক ও নৃতত্ত্বগত কারণও আছে। সেখান থেকেই মিয়ানমারের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ও সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের অবিশ্বাস ও সন্দেহের শুরু। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে একটা প্রোপাগান্ডা চালানো হয় এই মর্মে যে, তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে ১৯৫০ সালের পর রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে আসে। এ কথা ঐতিহাসিকভাবে একেবারে অসত্য। ১৮৯১ সালে ব্রিটিশ আদমশুমারি অনুসারে ৫৮ হাজার ২৫৫ জন রোহিঙ্গার অস্তিত্ব পাওয়া যায় আরাকানে। ১৯১১ সালের আদমশুমারিতে পাওয়া যায় এক লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৭ জন। ১০০ বছর পর বর্তমান সময়ে সেই জনসংখ্যা ১০ লাখেরও অনেক ঊর্ধ্বে হওয়াটা অতি স্বাভাবিক। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ১৮২৪ সালের অ্যাংলো-বার্মা যুদ্ধের সময়কে বেসলাইন ধরে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করতে চায় এবং সেই পথ ধরে ১৯৮২ সালে আইন করে তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার খর্ব করেছে। উলি্লখিত ভ্রান্ত ধারণা ও নীতি এবং জান্তা শাসন কায়েম রাখার লক্ষ্যে ১৯৭৮ সাল থেকে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা অধিবাসীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে মিয়ানমার। সমস্যা মূলত এখান থেকেই শুরু। যার সাম্প্রতিক এপিসোড নায়েক রাজ্জাকের অপহরণ। রাজ্জাকের বিনিময়ে পরিচয় শনাক্ত ব্যতিরেকে সমুদ্র থেকে উদ্ধারকৃত বিদেশগামী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার যুক্তিহীন শর্ত আরোপ করাতে প্রমাণ হয় রোহিঙ্গাদের বিতাড়নই তাদের লক্ষ্য। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে দেওয়ার ফলে সৃষ্ট রোহিঙ্গা সমস্যার বাই-প্রোডাক্ট হিসেবে এখন মানব পাচার ও মাদক চোরাচালানের মতো ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে দুই দেশের ক্ষমতাশালী চক্র এবং সরকারি এজেন্সিসমূহের ব্যক্তিরা। শক্তিশালী মানব পাচারকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের চক্রান্তে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও ফাঁদে পড়ছে। সংকট এখন বহুমুখী রূপ নিয়েছে, প্রতিনিয়ত ডালপালা ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশ পড়ছে ত্রিমুখী সমস্যায়। বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জন-নিরাপত্তার ঝুঁকি এখন পরস্পরের বিরোধী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাও বাংলাদেশের জন্য আবশ্যিক। একদিকে নজর দিলে অন্যদিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যে বিরাট সংখ্যক রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আছে তার মধ্যে মাত্র ২৮ হাজার জাতিসংঘের শরণার্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত। বাকি প্রায় তিন-চার লাখ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় দলবদ্ধ হয়ে সংঘবদ্ধভাবে, আবার কোথাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করছে। এসব বাস্তুচ্যুত মানুষের নানাবিধ দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে বহুরূপ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। বাংলাদেশের ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলগুলো এবং জঙ্গিসন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ধর্মীয় উসকানির দ্বারা রোহিঙ্গা যুবকদের উগ্রবাদী জঙ্গি দলে ভেড়াচ্ছে। যারা দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে জঙ্গি সন্ত্রাসী কাজে জড়িত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপভিত্তিক কিছু এনজিও নানা ছদ্মবেশে রোহিঙ্গাদের ভিতর ধর্র্মীয় উন্মাদনা ছড়াচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মুসলিম এইড ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আল রাবেতার কার্যক্রম সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। আইন প্রয়োগ ও জঙ্গি কার্যক্রম বন্ধে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী একটু কড়াকড়ি করলেই ওই এনজিওগুলো মানবতার দোহাই তুলে চিৎকার করতে থাকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের এক শ্রেণির দালাল, বাটপার, চোরাচালানিকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ক্ষমতাবান লোকজন রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে চাঁদাবাজি, মানব পাচার, মাদক এবং অবৈধ আদম ব্যবসায়। ফলে এসব প্রতাপশালী বাংলাদেশি মানুষের সংযোগে রোহিঙ্গাদের একেকটি বসতি এলাকা এখন একেকটি দুর্ভেদ্য পকেট হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে, যাদের ওপর সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যত নিয়ন্ত্রণ খুবই কম। গত শতকের আশির দশকে বাংলাদেশের জামায়াত ও তাদের সহযোগী দলগুলো ধর্মীয় উন্মাদনায় কয়েক হাজার বাংলাদেশি যুবককে পাঠিয়েছিল আফগানিস্তানে মুজাহিদ হিসেবে, সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশ নেওয়ার জন্য। বাংলাদেশি যুবকদের সঙ্গে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা যুবকও ওই সময়ে আফগান জিহাদে অংশ নেয়। ১৯৯০-৯১ সালে এসব জিহাদি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ফিরে এসে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (RSO), আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ARNO), আরাকান লিবারেশন ফ্রন্ট (ALF) জাতীয় কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলে, যারা আরাকানের ভেতরে সশস্ত্র আন্দোলন চালাতে থাকে। এতে সমস্যা আরও জটিল আকার ধারণ করে, দুদেশের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়, ভুল বোঝাবুঝি বৃদ্ধি পায়।

১৯৯১ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশের সীমান্ত চৌকি বেজুপাড়াতে মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালায় এবং কয়েকটি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। মিয়ানমার তখন অভিযোগ করে তৎকালীন বিডিআরের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা নাসাকা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পাল্টা হিসেবে তারা বেজুপাড়া সীমান্ত ফাঁড়িতে আক্রমণ চালিয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে রাখাইন রাজ্যে ভয়াবহ দাঙ্গা বাঁধানো হয় এবং পুনরায় প্রায় দেড়-দুই লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার বাংলাদেশে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়। ১৯৭৮ ও ১৯৯১-৯২ সময়ে ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার যদি ২০১২ সালের মতো একই নীতিতে রোহিঙ্গা প্রবেশ প্রতিহত করত তাহলে আজ পরিস্থিতি এত জটিল আকার ধারণ করত না। তারপর থেকে এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কিছু দিন পরপর ঘটেই চলেছে। এ রকম ধারাবাহিক আগ্রাসী আচরণ প্রতিবেশীর কাছ থেকে কাম্য নয় এবং এর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। জোরপূর্বক ১০ লাখের অধিক জাতিগোষ্ঠীকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে মিয়ানমার উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। এটা অবাস্তব চিন্তা। বরং বাংলাদেশের বর্তমান সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের জঙ্গি সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীর বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্সের নীতি ঘোষণা করেছেন তার সুবিধা নিয়ে এই সমস্যাটির সমাধান করতে পারে মিয়ানমার। যেমনটি করেছে ভারত, তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর জন্য। একই নীতিতে ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের রক্তক্ষরণের অবসান ঘটিয়েছিল বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই উদাহরণগুলো দিচ্ছি এই কারণে যে, আগে যাই হয়ে থাকুক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব ধরনের জঙ্গিসন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে। মিয়ানমার এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারে। মিয়ানমারের যতদিন এই শুভ বুদ্ধির উদয় না হচ্ছে, ততদিন নিজ দেশ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত, জরুরি ভিত্তিতে তিন-চার লাখ রোহিঙ্গাকে সঠিকভাবে তালিকাভুক্ত করতে হবে এবং একসঙ্গে বড়সংখ্যক রোহিঙ্গাকে সংঘবদ্ধভাবে না রেখে তার পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় স্থানান্তরের চিন্তা করতে হবে। মোট কথা নিশ্চিত করতে হবে, কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যেন তাদের কোনো রকম অপকর্মে ব্যবহার করতে না পারে। একই সময়ে নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে বন্ধুপ্রতীম দেশের অভ্যন্তরে কোনো রকম জঙ্গি সন্ত্রাসী কার্যক্রম তারা যেন চালাতে না পারে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নকে যে দেশ ভালোভাবে নিতে পারছে না এবং যে পরাশক্তি বর্তমান সরকারের সঙ্গে নিজেদের স্বার্থ আদায়ে সুবিধা করতে পারছে না, তারা কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার।

তৃতীয়ত, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়ার সব অপচেষ্টা প্রতিহত করার জন্য আমাদের সীমান্ত ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। অভ্যন্তরীণ গডফাদারদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া যাবে না। মনে রাখা দরকার এখানে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। চতুর্থত, সীমান্তে দায়িত্বরত আমাদের সব বাহিনীগুলোর মধ্যে নিবিড় সমন্বয় সাধন করে কর্তব্যে যেতে হবে, যাতে বিচ্ছিন্নভাবে ১৭ জুনের মতো কোনো ঘটনা আর না ঘটে। তবে শেষ কথা হলো- সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মিয়ানমার চিরদিনের জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদের আশঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত হতে পারে। তাতে দুই দেশ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার সব অন্তরায় দূর হবে। BCIM এবং BIM-STEC-এর মতো অপার সম্ভাবনাময় কাঠামোগুলো সক্রিয় হলে উভয় দেশ লাভবান হবে।

লেখক : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
জয়পুরহাটে স্বর্ণের দোকানে তল্লাশির সময় ধরা খেল ভুয়া ডিবি
জয়পুরহাটে স্বর্ণের দোকানে তল্লাশির সময় ধরা খেল ভুয়া ডিবি

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮
পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩
মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব
মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২
ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস
ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি
চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত
টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা
বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম
দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের
‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস
ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা
মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি
সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি

শনিবারের সকাল

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান
বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান

পরিবেশ ও জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা