শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৫ জুলাই, ২০১৫

বিএনপি কি \\\'মরহুম\\\' মুসলিম লীগে পরিণত হবে?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
বিএনপি কি \\\'মরহুম\\\' মুসলিম লীগে পরিণত হবে?

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, বিএনপি আছে, বিএনপি থাকবে। দেশের সব গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষই চায় যতদিন আমাদের দেশে প্রায় দ্বিদলীয় ব্যবস্থা টিকে আছে ততদিন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল- আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শক্তিমত্তা নিয়েই টিকে থাক। তা না হলে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। ইতিমধ্যে সে লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে যে, তারা দেশ শাসনে গণতন্ত্রের সব শর্তই একে একে লঙ্ঘন করে চলেছে। এবার তাদের সরকার গঠন প্রতিক্রিয়াটাই দেশে-বিদেশে মহাবিতর্কের ঝড় তোলে। প্রত্যক্ষ কোনো নির্বাচন ছাড়াই তারা সরকার গঠন করার মতো স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন করায়ত্ত করে নেয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা ৩০০-এর মধ্যে ১৫৩ আসনেই কোনো নির্বাচন হয়নি। এরা অটো এমপি। বর্তমান সরকার প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা গঠিত নয় বলে বিরোধী দলসমূহ, দেশের অনেক বুদ্ধিজীবী অভিযোগের যে তীর ছুড়ছেন তা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। প্রতিদ্বন্দ্বী-প্রতিপক্ষ যদি অতিশয় দুর্বল হয়, পরিস্থিতি গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের তীব্রতা দিয়ে যদি প্রতিহত করতে না পারে তখন শক্তিশালী সক্ষম পক্ষ যা খুশি তা করার সুযোগ পায়। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা সে সুযোগ নিয়েছে। বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং আওয়ামী লীগের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং মোকাবিলার মোক্ষম কৌশল নির্ধারণে ব্যর্থতার কারণেই বর্তমান পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। তো, বিএনপি তো ছিলই, এখনো আছে- অন্তত পত্রিকার পাতায় এবং টিভি পর্দায় তো আছে। এমন থেকে লাভ কী?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিএনপির টিকে থাকার মতো থাকাটা নির্ভর করে প্রথমত দলটির সঠিক রাজনৈতিক লাইন পুনঃনির্ধারণ এবং দ্বিতীয়ত সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসের ওপর। রাজনৈতিক লাইন নির্ধারণের ক্ষেত্রে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়টিকে যথাযথভাবে অ্যাড্রেস করতে হবে। সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে 'কর্মচারীনির্ভর' প্রক্রিয়া পরিহার করতে হবে। বিএনপির থাকার মতো থাকার রাজনীতিটা কী হবে? এ ব্যাপারে নতুন করে কষ্টসাধ্য কিছু করার প্রয়োজন নেই। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপির ঘোষণাপত্রের শুরুটা প্রথম যে বাক্য দিয়ে শুরু করেছিলেন, স্খলনের জন্য তওবা করে আবার সেই ঘোষণার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, তার যথার্থ অনুসরণ এবং তা বাস্তবায়নের প্রতি বিএনপি নেতৃত্বকে সৎ ও আন্তরিক হতে হবে সর্বাগ্রে। বিএনপির ঘোষণাপত্রে সেই বাক্যটি এখনো লিপিবদ্ধ আছে। কী আছে তাতে? বাক্যটি হুবহু এমন, 'ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের সোনালি ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের পবিত্র আমানত এবং অলঙ্ঘনীয় অধিকার। প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমি এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ় এবং সুরক্ষিত করে রাখাই হচ্ছে আমাদের কালের প্রথম ও প্রধান দাবি।' জিয়াউর রহমান কোন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার কথা বলেছেন তা অত্যন্ত পরিষ্কার 'ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের সোনালি ফসল'- এই শব্দ চতুষ্টয় উচ্চারণের মধ্যে। মুক্তিসংগ্রাম বা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে তিনি অবিচ্ছিন্ন, অবিচ্ছেদ্যভাবে দেখেছেন। এ অবস্থান থেকে বিচ্যুত হলে বিএনপি আর জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপি থাকে না। শহীদ জিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বিএনপির রাজনীতি ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটকে বাদ দিয়ে চিন্তাই করা যায় না। বেশি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই যে, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই হবে বাংলাদেশের আজ, কাল ও আগামীর রাজনীতির ভিত্তি। জিয়ার জীবদ্দশায় বিএনপি সেই রাজনীতি-ই করেছে। শাহ আজিজ-আবদুল আলীমরা বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী বা পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির ধারায় নেওয়ার কোনো চিন্তার সুযোগই পাননি। তারপরও বহুদিন এই সমালোচনাও থাকবে যে, এদের সঙ্গে না নিলে কি চলত না?

কিন্তু এখন বিএনপি কী করছে? জিয়াউর রহমানের অনুসৃত পথে কি তারা অটল আছে? নেই তো। যদি থাকত তাহলে বাংলাদেশের 'ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের' প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামী কী করে তাদের ঘনিষ্ঠতম মিত্র হয়? জোটের নামে কেমন করে তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হয়? সমালোচনার জবাবে বলা হয়, এই জোট (২০ দলীয় জোট) নাকি ভোটের জোট। প্রায় দুই দশক ধরে দেশে কি প্রতিদিন ভোটই হচ্ছে যে, জামায়াত-বিএনপি বাঁধন টুটাই যাচ্ছে না! 'বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানোর' মতো এসব কথা বলে লাভ নেই। মানুষ বোঝে এবং বলেও যাচ্ছে যে, বিএনপির চরম দক্ষিণপন্থি বিচ্যুতি হয়েছে। সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী রাজনীতি দক্ষিণপন্থি প্রতিক্রিয়াশীলতার নগ্ন ও উগ্র প্রকাশ। এই রাজনীতি গণতন্ত্র ও সমাজ- প্রগতিবিরোধী। এরা আধুনিক বিজ্ঞানমনস্কতার বিপরীতে পশ্চাদপদতার অনুসারী। আলোর ভুবন থেকে এরা মানুষ ও সমাজকে নিয়ে যেতে চায় কষকালো অন্ধকারে। ধর্মানুরাগ ও ধর্মাচারকে এরা ভয়ঙ্কর ধর্মনির্মান্ধতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে। গণতন্ত্রের সঙ্গে এবং সমাজপ্রগতির সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই, সংঘাত নেই। কিন্তু গণতন্ত্রের সঙ্গে ধর্মান্ধতা কখনোই সমানে যায় না। জামায়াতে ইসলামী এবং এই ধরনের প্রকাশ্য ও গোপন সংগঠনগুলো ধর্মান্ধ বলেই চিহ্নিত ও সমালোচিত। এই শক্তি কখনো, কোথাও গণতন্ত্রের বন্ধু হয় না। বাংলাদেশে এরা আবার আমাদের ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক শক্তি। কেউ কেউ ইদানীং এমন ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন যে, এখন যারা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যুক্ত, তাদের অধিকাংশের বয়সই ৫০-এর নিচে। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে এদের কারও জন্মই হয়নি অথবা তাদের নেতাদের মতো ভূমিকা রাখার বয়স ছিল না। কথাটা সত্য। এখানে দুটি বিষয় বিবেচ্য; এক. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকেও অভিযুক্ত করার বিষয়টি এসেছে এবং তার ভিত্তিতে দলটি নিষিদ্ধ করার জোরালো দাবি আছে সারা দেশে। জামায়াত-শিবিরের বর্তমান নেতা-কর্মীদের অধিকাংশের বয়স ৫০-এর কম হলেও তারা এই 'যুদ্ধাপরাধী' সংগঠনের সঙ্গেই জড়িত। দুই. একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্মকালীন 'প্রসববেদনা'। সেই মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী এবং হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনসহ নানাবিধ মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলটি এখনো একটিবার উচ্চারণও করেনি যে, একাত্তরে তারা অন্যায় করেছে এবং সে জন্য জাতির কাছে তারা ক্ষমাপ্রার্থী। বরং তারা বিভিন্ন সময়ে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ উচ্চারণও করেছে যে, একাত্তরে তারা যা করেছে ঠিক করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে 'খালেদা-মোদি' একান্ত বৈঠকের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা ধারণা ছড়িয়ে পড়ে যে, বিএনপি বোধহয় শিগগিরই জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করবে। ধারণাটা এ কারণে যে, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনাকে বেগম খালেদা জিয়া 'খুবই ফলপ্রসূ' বলে চিত্রিত করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি পূর্ববর্তী কংগ্রেসী সরকারের মতো শেখ হাসিনার সরকারকে সহযোগিতার এবং তিনি যা বলেন সেভাবে কাজ করার কথা বেগম জিয়াকে বলতেন, তিনি নিশ্চয়ই আলোচনা 'ফলপ্রসূ' হয়েছে তেমন কথা বলতেন না। বেগম জিয়া চান একটি আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন। ভারত সেই নির্বাচন করে দিতে পারবে না ঠিক, কিন্তু সবাই বিশ্বাস করে, এ ব্যাপারে প্রভাব খাটাতে পারবে। পৃথিবীর প্রায় সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে তেমন একটি অংশগ্রহণমূলক বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায়। ভারতও যদি চায়, সরকার তেমন একটি নির্বাচনের কথা ভাববে এমন একটা ধারণা এদেশে অনেকটাই বদ্ধমূল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভিতরে ভিতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সব দেখেশুনেই মনে হচ্ছে, খালেদা-মোদি আলোচনা সত্যিই 'ফলপ্রসূ' হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতের যে সব স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে সেসব বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশে জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত একটা সরকার প্রয়োজন- ভারতের নেতৃত্ব এটা অবশ্যই বোঝেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটি কেমন হয়েছে সেই খবরও অবশ্যই আছে তাদের কাছে। বেগম খালেদা জিয়া তার কাঙ্ক্ষিত ইস্যুতে পজিটিভ একটা ইঙ্গিত না পেলে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনাকে নিশ্চয়ই 'ফলপ্রসূ' বলতেন না। বেগম জিয়ার আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের শর্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যদি অনুকূল মনোভাব দেখিয়ে থাকেন, তা কি কোনো শর্ত ছাড়াই? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সহযোগিতার শর্তের বাইরে একটা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত থাকার কথা স্বাভাবিক এবং তা জামায়াত ত্যাগ। ভারত তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থেই জামায়াতবিরোধী হওয়ার কথা।

বিএনপির শুভানুধ্যায়ীরা মনে করেন, বিএনপি এখনো বিপুলভাবে জনসমর্থিত একটি দল। ভোটের হিসাবে প্রায় আওয়ামী লীগের সমান সমান। কিন্তু জনগণের এই সমর্থন রাজনীতি বর্জিত নয়। বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণের পর এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে এবং শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের (৯৬-২০০১) অগণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে সাহসী আন্দোলনে এই জনগণ দলের সঙ্গে মাঠে ছিল। সেই জনগণ দলের পক্ষে এখনো আছে, কিন্তু আন্দোলনের মাঠে নেই। কেন নেই? ১. জামায়াত 'ঘষাঘষি' মানুষ পছন্দ করে না। মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রক্রিয়া শুরুর পর বিএনপি সমর্থক বিপুল জনগোষ্ঠীও এর পক্ষে দাঁড়িয়েছে। জামায়াত-হেফাজতকে নিয়ে নেতাদের 'খেলার' সঙ্গে সমর্থক জনগোষ্ঠী নেই বলেই আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নেয় না। গণতন্ত্র আর মৌলবাদতন্ত্র একসঙ্গে যেতে পারে না। গদির লোভে নেতৃত্ব রাজনীতি বিসর্জন দিলেও যে রাজনীতি নিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা কাজ শুরু করেছে তারা সে রাজনীতি বর্জন করতে পারে না, করেনি। বিএনপিকে লক্ষ্য অর্জন করতে হলে রাজনীতির সঠিক লাইন গ্রহণ করতে হবে। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা না রাখার বিষয় বিএনপির রাজনীতির এক বড় অধ্যায়। গণতন্ত্র ও সুশাসন চাইলে এটা পরিষ্কার করতে হবে। ২. দলের জনসমর্থন কাজে লাগাতে হলে উপযুক্ত সংগঠন লাগবে। উপযুক্ত নেতৃত্ব কাঠামোই নিচ থেকে ওপর সর্বত্র দলের একটি উপযুক্ত ও সক্ষম কাঠামোও নির্মাণ করে। বিএনপিতে বর্তমানে তা একেবারেই নড়বড়ে। সরকারি নিপীড়ন, জেল, জুলুম, মামলা-মোকদ্দমায় দলটি জর্জরিত এ কথা সত্য। কেন্দ্রের কজন নেতা জেলে আছেন? স্থায়ী কমিটির সদস্য ১৯ জন, সহ-সভাপতি ১৬ জন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ৩৮ জন, সম্পাদকমণ্ডলী, নির্বাহী কমিটি মিলে নেতার সংখ্যা চার শতাধিক। জেলে তো আছেন কেন্দ্রের ১৫-২০ জন। বাকিরা কোথায়? কী করেন? আসলে কোনো কাজ নেই অনেকের। অনেকের 'ওজন' নানাভাবে এত ভারী হয়ে গেছে যে, এরা কিছু করার কোনো সাহস বা ক্ষমতা কোনোটাই রাখেন না। অধিকাংশই সুপারইম্পোজিশনের মাধ্যমে পদাধিকারী। স্টাফ অফিসারের মতো। দলের যারা মালিক-মোক্তার তাদের সন্তুষ্টি অনুযায়ী কাজ করাটাই এদের কাজ। অসন্তুষ্ট হলেই চাকরি নেই। অধিকাংশের রাজনৈতিক কমিটমেন্ট নিয়েই প্রশ্ন আছে। সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় দু-একজনের ইচ্ছায়। সিনিয়র নেতারাও দলের অনেক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেন না। নীতিনির্ধারণী কমিটির অনেক সদস্যের সঙ্গে দলের চেয়ারপারসনের দেখা সাক্ষাৎ, কথাবার্তা হয় না মাসের পর মাস। বার্তা বা নির্দেশ যায় কর্মচারীদের মাধ্যমে। ওপর কাঠামোতেই আস্থার সংকটের কথা শোনা যায়। আছে পারস্পরিক অবিশ্বাস। দলের জন্য যারা খাটে, কষ্ট ভোগ করে, পুলিশের লাঠি-গুঁতো খায়, তারা চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে কষ্টের কথাও বলতে পারে না ওনার অতি ক্ষমতাধর কয়েকজন কর্মচারীর বাধার কারণে। বেগম খালেদা জিয়া সরকারকে গণবিচ্ছিন্ন বলেন। কথাটা মিথ্যা নয়। কিন্তু তিনি দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, কিছু লোক যে কৌশলে তা করছে তিনি সে সম্পর্কে অবগত বলে মনে হয় না। সরকার প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে বলেও তিনি অভিযোগ করছেন; কিন্তু চক্রান্তকারী স্বার্থান্বেষীরা তাকে এ ধরনের 'কারাগারে' বন্দী রেখে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যে ধ্বংস করছে সেদিকেও বোধহয় তার নজর নেই। গণতন্ত্রে বিরোধী দলের ভূমিকাও খুব জরুরি। বিএনপির কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য বিএনপি পুনর্গঠনের ডাক বাত-কা-বাত হলে চলবে না। বিএনপির যে রোগ হয়েছে সে রোগ হোমিও চিকিৎসায় সারবে না। মেজর অপারেশন দরকার। আজেবাজে 'পদার্থ' (লুটেরা, সন্ত্রাসী, জালিয়াত, সামাজিক দুর্বৃত্ত, দলের বোঝা, দল করে খায়, স্পাই) সব সাফ করে ফেলতে হবে। দাগি-দোষীদের বাদ দিয়ে নতুন প্রজন্মের সৎ ও আদর্শবাদীদের হাতে তুলে দিতে হবে দলের ঝাণ্ডা। সমন্বয় ঘটাতে হবে নবীন-প্রবীণের। দলের শুভানুধ্যায়ীরা ইদানীং বলতে শুরু করেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে। তিনি অসুস্থও। দলকে তিনি যদি সুনির্দিষ্ট আদর্শের ওপর দাঁড় করিয়ে একটা গণতান্ত্রিক সিস্টেমে চলার ব্যবস্থা করে না যান, বিএনপি ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। বিলাতে বসে তারেক রহমানের পক্ষে লক্ষ্যহীন, অগোছালো বিএনপি চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। একটি আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন যদি অবশ্যম্ভাবী হয়, তার ফসল ঘরে তুলতে চাইলে যে বিএনপি আছে সে বিএনপি দিয়ে হবে না, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ভাষ্য অনুযায়ী জিয়ার বিএনপি লাগবে। এখনো সে সময় ও সুযোগ আছে। সুযোগ কাজে না লাগালে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফসলও উঠবে আওয়ামী লীগের ঘরে। বিএনপি পরিণত হবে 'মরহুম মুসলিম লীগের' মতো দলে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল :  [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩
মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শোবার ঘর থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
শোবার ঘর থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব
মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২
ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস
ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি
চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ

৫১ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

৫৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত
টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা
বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম
দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের
‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস
ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডেমরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ডেমরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন
গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা
মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি
সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি

শনিবারের সকাল

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান
বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান

পরিবেশ ও জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা