শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০২ আগস্ট, ২০১৫

নিজের ভালো পাগলও বোঝে, বিএনপি বুঝবে কবে?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
নিজের ভালো পাগলও বোঝে, বিএনপি বুঝবে কবে?

বিএনপিতে পরিচিত বন্ধু-বন্ধুবররা আমার একটা লেখা নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে বেড়াতে এসেছেন আমাদের এক বড় ভাই আতিকুর রহমান সালু। পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সর্বশেষ সভাপতি তিনি। একজন মুক্তিযোদ্ধাও বটে। তার আরও একটা পরিচয় তার দেশপ্রেমেরই সৌরভ ছড়ায়। সুদূর আমেরিকায় থেকেও দেশের কথা ভাবেন। ফারাক্কার 'নীল দংশনে' উত্তরবঙ্গের বিবর্ণ চেহারা সেখানেও তাকে কাঁদায়। সমমনা বন্ধুদের নিয়ে ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গড়ার লক্ষ্যে তৈরি করেছেন 'আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি।' তিনি সে কমিটির চেয়ারম্যান। বললেন, আমেরিকায় বসেও তিনি আমার লেখা পড়েন অনলাইনে। শুনে ভালো লাগল। কিন্তু একটু পরেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। তিনি এখন আবার বিএনপির অনুরাগী। দেশে এলেই ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন। বিএনপি নিয়ে আমার সাম্প্রতিক কিছু লেখার ওপর আলোচনা করে একপর্যায়ে বললেন, আমার একটা লেখা নাকি তিনি মিস করেছেন; শুনেছেন তাতে আমি নাকি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে বিএনপি করতে বলেছি। অনেকটা কৈফিয়ত চেয়েই বললেন, আমি সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছি কেন? দেশেও কিছু বন্ধু একই ধরনের অভিযোগ করেন লেখাটা না পড়েই। বুঝলাম, লেখাটা যত পাঠক পড়েছেন, তা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি প্রচার হয়েছে তার চেয়ে বেশি।

দেশের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দল সম্পর্কে মূল্যায়নের ব্যাপারে কারও কারও মধ্যে একটা ধারণা আছে যে, রাজনীতিবিজ্ঞানে অগাধ পাণ্ডিত্য ছাড়া বুঝি এ কাজটা করা যায় না। সেদিক বিবেচনা করলে তো আমাদের মতো 'কলম শ্রমিক'দের এ বিষয়ে কলমই ধরা উচিত নয়। আমি এ ধারণাটার সঙ্গে মোটেও একমত নই। রাজনীতি একটি বিশেষ কর্ম, তবে বিশেষায়িত কোনো বিষয় নয়। সমাজ, রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণ চিন্তা এবং সে চিন্তা বাস্তবায়নের জন্য সততা ও ত্যাগের মনোভাব নিয়ে আত্দনিবেদন করার নামই রাজনীতি বলে আমার ধারণা। বিদ্বান, পণ্ডিত হলে বাড়তি সুবিধা আছে; কিন্তু তা না হলে রাজনীতি করা যবে না বা বোঝা যাবে না- তা সত্য নয়। আবার বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ঘুম গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রি হাসিল না করলে কিংবা ওই দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িত থেকে বড় পদ-পদবির অধিকারী না হলে ওই দল সম্পর্কে বলা যাবে না, লেখা যাবে না তেমনও মনে করি না। বিদ্বান-অবিদ্বান নির্বিশেষে চোখ-কান খোলা অনুসন্ধিৎসু যে কোনো মানুষই দেশের রাজনীতি, এর প্রকৃতিসহ বিশেষ বিশেষ দল বা দলসমূহ সম্পর্কে অবশ্যই বলতে পারেন, লিখতে পারেন। আমি আপনিও পারি। আওয়ামী লীগ-বিএনপির সঙ্গে কারও এখন সাংগঠনিক সম্পর্ক আছে কি নেই সেটা বড় কথা নয়; আগ্রহ আছে কিনা সেটাই বড় কথা। সে আগ্রহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বা নিঃস্বার্থও হতে পারে। ৩০ জুলাই দৈনিক যুগান্তরে 'সিন্ডিকেটকবলিত ছাত্রলীগের গন্তব্য কোথায়' শিরোনামে আমার একটা লেখা প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী ঘরানারই কেউ কেউ লেখাটি 'নির্মোহ' লেখা বলে প্রশংসা করেছেন, আবার দুয়েকজন অত্যন্ত রূঢ় ভাষায় বলেছেন, ছাত্রলীগ সম্পর্কে লেখার ও 'জ্ঞান দেওয়ার' উনি কে? বাংলাদেশ প্রতিদিনে 'খালেদা-তারেক ছাড়া বিএনপি কি চলতে প্রস্তুত' লেখাটা নিয়েও তেমন সমালোচনার মুখে পড়েছি। কিন্তু যে সব বন্ধু সমালোচনামুখর, তাদের যখন জিজ্ঞাসা করি, লেখাটা কি পড়েছেন? তখন জবাব পাই, না পড়লে কি হবে, শুনেছি। তখন একটা কথা আমার মনে পড়ে যায়। আমি তখন দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী তখনো বিএনপি করতেন। তারেক রহমান দলের নেতৃত্বে না এলেও আস্তে আস্তে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছেন। সাকা চৌধুরীকে নিয়ে দলে বিতর্ক ছিল শুরু থেকেই। মুক্তিযুদ্ধকালে তার বিতর্কিত ভূমিকা কারও অজানা ছিল না। শাহ আজিজুর রহমানের সঙ্গে সাবেক মুসলিম লীগ থেকে যোগদানকারী মুষ্টিমেয় লোক ছাড়া দলে তাকে পছন্দ করার লোক ছিল না। তার চট্টগ্রামে অনেক ভক্ত বলে যা প্রচার করা হতো, তা নিতান্তই গালগল্প। তবে তার টাকার জোর ছিল। টাকায় কী না হয়! বিএনপিতে সাকার ক্ষেত্রেও টাকাই বোধহয় কথা বলেছে। কিন্তু বিপদে পড়ে গেলেন অভ্যাস দোষে বেফাঁস এক মন্তব্য করে। বললেন, 'আগে জানতাম কুকুর লেজ নাড়ায়, এখন দেখি লেজ কুকুর নাড়ায়'। কুকুর ও লেজ বলতে তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে 'মিন' করেছিলেন। তার আগে বেগম জিয়া সম্পর্কে আরও কিছু বাঁকা কথা বলেছিলেন উদ্ধত সাকা চৌধুরী। বেগম জিয়া ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখেছেন। কিন্তু 'কুকুর ও লেজ' বিষয়ক তত্ত্বের পর আর সহ্য করা হলো না। তাকে বহিষ্কার করা হলো দল থেকে। তার বহিষ্কারের পর আমি দৈনিক দিনকালে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছিলাম স্ব-নামে। সম্ভবত শিরোনাম ছিল, 'সাকা চৌধুরীর বহিষ্কার, অতঃপর'। তখন থেকেই আওয়ামী লীগ এবং তাদের নামধারী বাম মিত্ররা বিএনপিকে মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে তুমুল প্রচারণা চালিয়ে আসছে। লেখাটির এক জায়গায় আমি লিখেছিলাম, 'সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের পর দলটির বিরুদ্ধে মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে যে প্রচার বা অপপ্রচারটি আছে তা আর হালে পানি পাবে না।' দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে একজন খুব প্রভাবশালী সিনিয়র নেতা দিনকালের ওই লেখাটির 'মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক' শব্দ দুটি মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করে ম্যাডামকে দেখান এবং বলেন, আমি নাকি বিএনপি জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতা করছি এবং জামায়াতকে মৌলবাদ বলে ক্ষেপিয়ে দেওয়ার জন্য দলের মুখপত্র দৈনিক দিনকালে তা লিখেছি। ওই নেতাকে আমি সম্মান করতাম, এখনো করি। কিন্তু বিশেষ একটি কারণে তিনি চাইতেন না আমি 'দিনকালে' ওই পজিশনে থাকি। তিনি যে জামায়াতপ্রিয় তাও নয়। আবদুল মান্নান ভূঁইয়া তখন বিএনপির মহাসচিব। তিনিও ছিলেন সে বৈঠকে। বগুড়ার হেলালুজ্জামান তালুকদারের ছেলে জয় তখন হাওয়া ভবনের কর্মচারী। সে আগে দিনকালের সাধারণ বিভাগের এক 'অসাধারণ' কর্মচারী ছিল। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সম্পর্কে অবহিত হয়ে তারেক রহমান তাকে দিনকাল থেকে সরিয়ে নেন। সে আমার মোবাইল ফোন নম্বর জানত। ম্যাডামকে ধরিয়ে দিল। আর যাই কোথায়! একনাগাড়ে পাঁচ-ছয় মিনিট বকলেন। জানতে চাইলেন কেন আমি জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছি। আমার কোনো কথাই শুনতে চাইলেন না। বুঝলাম দিনকালে আমার দিন শেষ। তারেক রহমান তখন ব্যাংকক বা সিঙ্গাপুরে। বাইরে গেলেও ২-১ দিন পরপর দিনকালের খবর নিতেন। পত্রিকার দেখভাল করতেন তিনিই। আমার কি ভাগ্য, ওই রাতেই তিনি ফোন করলেন। তাকে ঘটনাটা জানালাম। তিনি লেখাটা সম্পর্কে জেনে নিয়ে সে রাতেই ম্য্যাডামের সঙ্গে কথা বলেন। ম্যাডামের ভুল ভাঙে। তারেক রহমান বেশ হিউমার করতে জানেন। দেশে ফেরার পর একদিন আমাকে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে কিনা জানতে চেয়ে বলেন, আপনাকে ওই 'বকাঝকা রজনীতে' আপনার সাবেক নেতাও তো ওখানে ছিলেন। তিনি কিছু বললেন না কেন? আমি বুঝলাম, তিনি মান্নান ভাইর কথা বলছেন। আমি বললাম, তিনি কিছু বলার সুযোগ পেলে তো! ঘটনাটা উল্লেখ করলাম ওই কারণে যে, ম্যাডাম যদি আমার পুরো লেখাটা আগে পড়ে দেখতেন বা তাকে লেখাটা পড়তে দেওয়া হতো, তাহলে ওই রাতে অকারণে বকাটা খেতাম না।

আমি বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে বিএনপি থেকে মাইনাস করার কথা বলিনি। একজন সংবাদকর্মী ও কলাম লেখক হিসেবে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান-বুদ্ধি অনুযায়ী দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ সম্পর্কে আমার পর্যবেক্ষণ পাঠকদের সামনে তুলে ধরি। আমার বক্তব্য-মন্তব্যের সঙ্গে সবাই একমত হবেন এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু আমি, আপনি, আমরা কথা বলতে তো পারি, আমাদের বলতে তো দেওয়া উচিত। বিএনপি প্রকৃত অর্থেই বর্তমানে একটি মহাসংকটকাল অতিক্রম করছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসের আন্দোলন হঠকারী পথে বাঁক নিয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ না হলে দলটি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত। লীগ সরকার বিচক্ষণতার সঙ্গে কঠোরপন্থায়, ক্ষেত্রবিশেষে নিষ্ঠুরভাবে সে আন্দোলন গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপি তাদের ব্যর্থতার কারণগুলো খতিয়ে দেখলে ভবিষ্যতের জন্য ভালো হতো। পৃথিবীর সব দেশে দায়িত্বশীল দল এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণ অনুসন্ধানের জন্য আলোচনা-পর্যালোচনা, সমালোচনা এবং আত্দসমালোচনার আয়োজন করে। বিএনপিতে এই সংস্কৃতি শহীদ জিয়ার আমলে ছিল, এখন নেই। জিয়াউর রহমান ছোটখাটো সভা নয়, দস্তুরমতো দল-অঙ্গ দলের বর্ধিতসভা ডেকে সবার কথা শুনতেন, নিজে বলতেন না। প্রয়োজনে কোনো অভিযোগের জবাব দিতেন, ব্যাখ্যা দিতেন। এখন কোনো কথা বলতে চাইলে নাকি বেগম খালেদা জিয়া ধমক মারেন। দল ছেড়ে চলে যেতে বলেন। মনে হয়, দলটাকে মৌরুসি-পাট্টামূলে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পত্তি বলে ভাবা হয়। যারা কথা-বার্তা বলতে চান, দলকে ভালোবেসেই বলতে চান। কিন্তু যদি ভাবা হয়, কারও জমিদারিতে বা খাসমহলে এরা প্রজা-রায়ত অথবা স্টাফ অফিসার-কর্মচারী, এরা ভালো-মন্দ কোনো কথা বলার হকদার নন, তাহলেই একমাত্র বলা যায়, 'দলে থাকতে বলেছে কে? চলে যান।' কিন্তু একটা রাজনৈতিক দলে এমন কথা বলা যায় না, এমন কথা বলার হক কারও থাকা উচিত নয়। একটা দল গঠিত হয় রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণের জন্য। দলের সুনির্দিষ্ট একটা রাজনীতি, আদর্শ ও কর্মসূচি থাকে। দল হয় সব নেতা, কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীর; দল হয় জনগণের। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলের বিএনপিতে জনগণের দলের চরিত্র ছিল। কোনো কোটারি, স্তাবক, তোষামোদকারী ছিল না। দলে কর্নেল (অব.) আলাউদ্দিন-রুস্তমরা তখনো ছিল; কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসনের বর্তমান গুলশান অফিসের কর্মচারীদের মতো তারা মহাপ্রতাপশালী, উদ্ধত ও দুর্বিনীত ছিল না। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের চেয়ে এসব 'হালে বিএনপি চেনা' কর্মচারীদের বেগম খালেদা জিয়ার কাছে যত দাম, কর্নেল (অব.) আলাউদ্দিন-মাজেদ-রুস্তমরা জিয়াউর রহমানের কাছে তেমন দামি ছিল না। জিয়া তাদের দিয়ে কখনো দল চালাননি।

ঢাকা মহানগর কমিটি পুনর্গঠনে হাত দেওয়া হয়েছিল। ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন মহানগর সভাপতি। খোকা একজন চৌকস মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ঢাকা মহানগরীতে অনেক দুঃসাহসী অভিযানের অন্যতম নায়ক। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি করছেন। দেখতে ছোটখাটো হলেও বয়স ষাট পেরিয়েছে। প্রকৃত একজন কেরিয়ার রাজনীতিবিদ। ঢাকায় আরেকটা 'মুক্তিযুদ্ধ' করে দিতে পারছেন না বলে তাকে পছন্দ হচ্ছিল না ম্যাডাম খালেদা জিয়া এবং তদীয় পুত্র তারেক রহমানের। মির্জা আব্বাস-গয়েশ্বর রায়দের নেতৃত্বে বিপক্ষ গ্রুপ তো ওঁৎ পেতেই ছিল। বাদ দেওয়া হলো সাদেক হোসেন খোকা ও খোকা-কমিটিকে। ম্যাডামরা বোধহয় ধারণা করেছিলেন, এবার 'বিপ্লব' হয়ে যাবে। হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ঘিরে সাদেক হোসেন খোকা যা করতে পারেননি বা করেননি, নতুন মহানগর কমিটি ২০১৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসে তা পুষিয়ে দেবে। কিন্তু পুনর্গঠিত ঢাকা মহানগর কমিটি আরও লজ্জা দিল বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে। অর্থাৎ, যা ছিল তাও গেল। তিন মাসের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পরও দল পুনর্গঠনের কথা বলছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। বলছেন দল গুছিয়ে আবার আন্দোলনে যাবেন; তবে এবার গণসংশ্লিষ্ট আন্দোলন করবেন। আন্দোলনে গণসংশ্লিষ্টতার যে প্রয়োজন সে উপলব্ধিটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু কাদের নিয়ে দল পুনর্গঠন করবেন? আবার ঢাকা মহানগরীর 'পুরান' কমিটি বাদ দিয়ে 'নতুন কমিটি করার মতো? কী লাভ হবে তাতে? বিএনপিকে যারা কাছে ও দূরে থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন, তারা বলতে চান, বিএনপিকে সত্যিকার অর্থে পুনর্গঠন করতে হলে পার্টি চেয়ারপারসনকে প্রথম 'ফায়ার' করতে হবে তার গুলশান অফিসে। সে অফিসের 'কর্ণধার' নামের যারা বেগম খালেদা জিয়াকে সারাক্ষণ ঘিরে রেখে দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মী ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে, 'সিএসএফ-টিএসএফ' ইত্যাদির খাপছাপ সৃষ্টি করে এখনো 'পিএম-পিএম' ভাব জাগিয়ে তাকে আচ্ছন্ন করে রেখে নানা মহলের নানা স্বার্থ হাসিল করছে, ওই 'কর্ণধারদের' কবল থেকে মুক্ত না হয়ে কিছুই করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকরা মনে করেন বিএনপির পুনর্গঠন দরকার আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে। সরকার মুখে উপরে উপরে যতই বলুক ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন হবে না, তা কর্মী-সমর্থকদের সাহস জোগানোর কথা, শতভাগ মনের কথা নয়। তারা আসলে একটা মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচনের কথা ভাবছে বলে অনুমান করা যায়। বঙ্গবন্ধুর শোকাবহ হত্যাদিবস ১৫ আগস্ট উপলক্ষে এবার দেশব্যাপী ৪০ দিনের কর্মসূচি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু শোকসভা আর কাঙালি ভোজ করার জন্য এ কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে বলে মনে হয় না। এটা আগাম নির্বাচন-প্রস্তুতির সাংগঠনিক কার্যক্রমের সূচনা বলেই ধরে নেওয়া যায়। বিএনপি পথ হাতড়াতে হাতড়াতেই আওয়ামী লীগ 'দৌড় প্রতিযোগিতায়' এগিয়ে থাকতে চাচ্ছে। এসব বোঝার লোকও বেগম জিয়ার আশপাশে নেই বলে বলতে চান দলের সুহৃদরা। যারা এসব বোঝেন, গুলশান অফিসের 'সিন্ডিকেট' ডিঙিয়ে তারা ঠিক জায়গায় পৌঁছতেও পারেন না। আর সারাক্ষণ কানের কাছে এদের বিরুদ্ধে কূটনামি তো লেগেই আছে। সরকার একদিকে কৌশলে নিজেদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নিচ্ছে অপরদিকে বিএনপিকে হীনবল করার জন্য মামলা-মোকদ্দমা, জেল-জুলুম, গুম-অপহরণ ইত্যাদি পথও অব্যাহত রাখতে পারে। কারণ বিএনপির বিশাল যে ভোট ব্যাংক বা সমর্থক গোষ্ঠী তাতে এখনো কোনো ফাটল ধরেনি, দীর্ঘদিন ধরে তা অটুট বা স্থিতাবস্থায় আছে। সাংগঠনিক ভিত্তিটাকেই তছনছ, লণ্ডভণ্ড করে দিতে চাইবে সরকার। দলের এখন ঘোষিত দ্বিতীয় প্রধান নেতা তারেক রহমান। শোনা যাচ্ছে তাকে কো-চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। কিন্তু চেয়ারম্যান বানালেও লাভ কি? তিনি তো বিএনপি ক্ষমতায় যেতে না পারলে দেশে আসতে পারবেন না। বিলাত থেকে 'আগে বাড়াও, আক্রমণ কর, বিচ্ছিন্ন করে দাও রাজধানী'- এ জাতীয় হুকুমনামা জারি করে দেশে সফল কোনো আন্দোলন গড়ে তোলা যাবে না। বেগম জিয়াই এখন ভরসা বিএনপির। কিন্তু সরকার তার ব্যাপারেও খুব কঠোর বলে মনে হয়। তাকে শুধু নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা নয়, তিনি যাতে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে শাসক লীগের সর্বনাশের 'শিঙায়'ও ফুঁ দিতে না পারেন, সে ব্যাপারে আইনি সুযোগও কাজে লাগাতে পারে। তিনি যদি নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হন এবং কারারুদ্ধ হন, তখন বিএনপির কী হবে? তখনকার কথাটাই এখন ভাবার কথা বলেছি আমি, লিখেছি। বিপুল জনসমর্থনকে ভোটের বাক্সমুখী করার জন্য একটি যোগ্য ও যৌথ রাজনৈতিক নেতৃত্ব কাঠামো নির্মাণের কথা ভাবতে বলেছি বিএনপির কমিটেড ও নিবেদিতপ্রাণ শক্তিকে। বলেছি অন্যের বায়বীয় শক্তি নয়, জামায়াতের ওপর অকারণ নির্ভরতা নয়, আপন শক্তিতে বলিয়ান হতে হবে। পেট ব্যথা আপনার, আরেকজন ট্যাবলেট খেলে আপনার ব্যথা সারবে? নিজের ভালো পাগলও বোঝে। বিএনপি বুঝবে কবে? বিএনপির উচিত ভুল-ভ্রান্তি শুধরে হঠকারিতা পরিহার করে নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক কার্যক্রমের ওপর জোর দেওয়া। শহীদ জিয়ার প্রকৃত অনুসারীদের ঐক্যবদ্ধ করা। দলে বিভেদ নয়, ঐক্যের ঝাণ্ডা ঊর্ধ্বে তুলে ধরা। 'ছাগল দিয়ে হাল চাষ' করার পরিকল্পনা থাকলে এখনই সময় তা পরিহার করার।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
শোবার ঘর থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
শোবার ঘর থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

২ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব
মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২
ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস
ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি
চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ

৩৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত
টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

৫০ মিনিট আগে | রাজনীতি

বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা
বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম
দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের
‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস
ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডেমরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ডেমরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন
গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা
মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি
সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি

শনিবারের সকাল

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান
বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান

পরিবেশ ও জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা