শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১২, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী— প্লিজ! দয়া করুন!

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী— প্লিজ! দয়া করুন!

প্রিয় নেত্রী! সালাম ও শুভেচ্ছা। বহু দিন ধরেই আপনাকে একটি কথা বলব বলে মনের মধ্যে শব্দমালা গাঁথার চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনো উপলক্ষ পাচ্ছিলাম না। গত ২০ ডিসেম্বর তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত ছোট্ট একটি সংবাদ পাঠ করার পর মনে হলো কথাটি এখন আর না বললেই নয়। নবম সংসদে আপনার দলীয় একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমার জীবনে বিরল কিছু অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হয়েছিল।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলো হিসেবে দেশে এবং বিদেশে অনেকগুলো সভা-সমিতি এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ফলে স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন অনেকগুলো এনজিও, বিদেশি পার্লামেন্ট, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্ব সংস্থার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আমি, চুমকী আপু এবং পাপিয়া প্রায় এক মাস সুইডিশ পার্লামেন্টে অতিথি হিসেবে সুইডেন ভ্রমণ করি। আইপি ইউর অর্থায়নে আমরা সুইডেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, মাতৃমঙ্গল এবং শিশু কল্যাণ নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করার সুযোগ লাভ করি। সুইডেন থেকে ফেরার পর আমার কেবলই মনে হতে লাগল, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের জন্য অবশ্য করণীয় এমনতরো অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা আজ অবধি শুরু করতে পারিনি।

আমাদের দেশের লোকজনের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে আমার কেন জানি মানুষের অমরত্ব লাভের আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে অতীত-বর্তমানের বিভিন্ন কীর্তি কাহিনী মনের পর্দায় উঁকি-ঝুঁকি দিতে আরম্ভ করল। মহামতী সাইরাস, জুলিয়াস সিজার কিংবা নেপোলিয়ন বোনাপার্টের অমরত্বের রহস্য কি সাগরের ওপর কুড়িমাইল লম্বা একখানা ব্রিজ, প্রবল খরস্রোতা রাইন নদীর ওপর একখানা পুল নির্মাণ কিংবা ফ্রান্সের সম্রাট হওয়ার মধ্যে নিহিত! নাকি অন্য কিছু? ভারতের চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, অশোক, কিংবা শেরশাহ তাদের কারও কোনো নির্মাণশৈলী আজ আর অবশিষ্ট নেই। আমরা জানি না বনু আমালিক, আদ ও সামুদ জাতির সেসব নেতার নাম সারী পাহাড়ের গা খোদাই করে পেত্রা নগরী নির্মাণ করেছিলেন। চীনের মহাপ্রাচীর, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত বাগান, রোডস দ্বীপের মন্দির এবং পিরামিড নির্মাণকারী ফেরাউনদের খোঁজখবর রাখার লোকজনই বা কয়জন আছে তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন।

ইতিহাসের অনাদিকালের উপরোক্ত তথ্য-উপাত্ত যদি সত্য হয় তবে এ কথা নিশ্চিত যে, হাতিরঝিল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, বিদ্যুত্ উত্পাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, মেট্রোরেল, ওভারব্রিজ, লুই কানের নকশা মোতাবেক নতুন সচিবালয় নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণ, বিস্ময়কর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গড়ে তোলা, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, রেল ও সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি কর্মের জন্য আপনি অমরত্ব পাবেন না। মানুষ প্রথাগতভাবেই এসব ভুলে যাবে। কিন্তু আপনার আমলে প্রণীত শিক্ষানীতি, আপনার পৃষ্ঠপোষকতায় পাটের জিনোম আবিষ্কার এবং বাংলাদেশের খাদ্যশস্য উত্পাদন আগামী ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলার দশমিনার ভুতুমচরে এশিয়ার বৃহত্তম বীজবর্ধন খামার প্রতিষ্ঠার জন্য আপনি ইতিহাস হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি, স্থলসীমানা চুক্তি এবং ছিটমহল বিনিময়ের সফলতার জন্য অনাগত ভবিষ্যত্ যেমন আপনাকে স্মরণ রাখতে বাধ্য হবে তেমনি পুরান ঢাকার নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু হারানো দুটো অসহায় মেয়েকে দত্তক গ্রহণ, ধর্ষিত পূর্ণিমাকে নিজের মেয়ের মর্যাদায় লালন-পালনসহ আপনার অনেক গোপন দান-খয়রাত জমিনের বুকে সদগায়ে জারিয়ারূপে কেয়ামত পর্যন্ত আপনার আত্মাকে প্রশান্তি দান করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আপনি হয়তো এতক্ষণে আমার প্রতি বেশ বিরক্ত হয়ে উঠেছেন এবং মনে মনে ভাবছেন— নিন্ধকার ধান ভানতে শিবের গীত আরম্ভ করেছে। অন্যদিকে আপনি যদি মনে করেন আপনার দলের একজন সাবেক সংসদ সদস্য তার নেত্রীকে পরামর্শ দিচ্ছে সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত প্রথামতে আপনার রাগান্বিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান রয়েছে। কাজেই আপনাকে পত্র লিখতে গিয়ে আমি অবশ্যই আমার মাত্রাজ্ঞানের সর্বোচ্চ ব্যবহার করার চেষ্টা করব। আমি আপনাকে অনেক কিছু বলার ভরসা পাই— সাহসেরও কোনো অভাব হয় না। আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা এবং কাজ করার পদ্ধতির কারণেই হয়তো সেই নির্ভরতার জায়গাটুকু আপনি নিজেই সৃষ্টি করেছেন। আপনার সমালোচকদের সবচেয়ে বড় বিপদ হলো— তারা আপনাকে চিনে না, চেনার চেষ্টা করেনি এবং সম্ভবত করবেও না।

অন্য কেউ না জানলেও আমি জানতাম যে, ২০০৯ সাল থেকেই আপনি বিশ্বব্যাংকের টাকা ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে দৃঢ় ছিলেন। বিশ্বব্যাংকের দেশীয় এজেন্ট এবং সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা লোকজনের কারণে আপনার যেমন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছিল তেমনি ওই সুযোগে বিশ্বব্যাংক নামক পশ্চিমা শক্তির হাতিয়ারটি আমাদের জাতি, রাষ্ট্র ও সরকারকে যাচ্ছেতাইভাবে অপমান করার অপচেষ্টা চালাতে থাকে। নবম পার্লামেন্টের অধীনে গঠিত সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং আমলা সম্পর্কে বহুমুখী অভিযান সর্বমহলে সমালোচিত হতে থাকে। আশার কথা হলো— বর্তমান সরকারে আপনি বলতে গেলে অতীতের অভিযুক্ত প্রায় সবাইকে বাদ দিয়েছেন। দলের সিনিয়র নেতা, মহাজোটের ভিতরকার যোগ্যতম লোকদের মন্ত্রী পরিষদে স্থান দেওয়া এবং ১/১১’র সময়ে সংস্কারবাদী বলে সমালোচিতদের ক্ষমা করার বিষয়ে আপনার শুভার্থীদের দাবির প্রতিও আপনি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেছেন। আর এ কারণেই আপনাকে কথা বলতে ভরসা পাই—

পত্রের শুরুতেই বলেছিলাম যে, পত্রিকায় একটি সংবাদ আমাকে প্রেরণা জোগাচ্ছে মনের ভিতরকার কথাগুলো অকপটে বলার জন্য। পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম যে, সরকার বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো সরকারি খরচে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করেছে। টাঙ্গাইল জেলার একলাখ মানুষকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যবীমার অধীন আনতে সরকারের মোট খরচ হবে ১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, জনগণ বীমার আওতায় চিকিত্সা সুবিধা পাবে ৫০০ কোটি টাকার সমমূল্যের। দেশের শীর্ষ একটি বেসরকারি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত পাইলট প্রকল্পটি সফল হলে আগামী দিনে হয়তো স্বাস্থ্যবীমার কর্মপরিধি বিস্তৃত হবে।

মাননীয় নেত্রী! আপনার উপরোক্ত উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমি মনে করি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং উন্নয়ন ঘটিয়ে আপনি বাংলাদেশের মানুষের হূদয়ে অমর হয়ে থাকতে পারবেন। আপনার সরকার জনপ্রিয়তা পাবে এবং আপনার শত্রুরা পরাজিত হবে। মিসরে গিয়ে দেখলাম হোসনি মোবারকের রুটি বিতরণ কর্মসূচির জনপ্রিয়তা। সুইডেন আজ নিরাপদ মাতৃত্ব, নিরাপদ গর্ভধারণ ও প্রসব, নবজাতক এবং প্রসূতি মায়ের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য রক্ষায় পৃথিবীর এক নম্বর রোল মডেল। অন্যদিকে, নতুন একটি স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করে তুরস্ক আজ পৃথিবীর এক নম্বর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী দেশ। গত ১০ বছরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় তুরস্ক তাদের দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণকে যে চিকিত্সাসেবা দিচ্ছে তার গুণগতমান, পদ্ধতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, গ্রহণযোগ্যতা, নির্ভরতা এবং জনপ্রিয়তার ধারেকাছেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা উন্নত ইউরোপীয় দেশগুলো পৌঁছতে পারেনি। তামাম দুনিয়ার বুকে আলোড়ন তোলা তুরস্কের ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ার রিফর্ম প্রকল্প এবং হেলথ ট্যুরিজম সম্পর্কে আপনার অধীনস্থ বিভাগের লোকজন কতটুকু ওয়াকিবহাল আছেন তা আপনি জেনে নিলে আমার আজকের পত্র লেখা কিছুটা হলেও সার্থকতা পাবে।

তুরস্কের বর্তমান স্বাস্থ্যনীতি এবং চিকিত্সাসেবা নিয়ে কিছু বলার আগে বলে নিই নীতিটি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের পূর্বাপর প্রেক্ষাপট। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নাম জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। ২০০১ সালের ১৪ আগস্ট ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়ের এরদোগান দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছর পরই জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে এবং ক্রমবর্ধমান হারে জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। ফলে ২০০২ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট ৪টি জাতীয় নির্বাচনে তারা জয়লাভ করার মাধ্যমে তুরস্কের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়। দলটি তাদের মূল নীতিতে রক্ষণশীল গণতন্ত্র এবং ইসলামীকরণকে প্রাধান্য দেওয়ায় পুরো পশ্চিমা দুনিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলো দেশ প্রথম থেকেই মারাত্মক শত্রুতা, অসহযোগিতা, বিরূপ প্রচার-প্রপাগান্ডা শুরু করে দেয়। এ অবস্থায় দলটির নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিবর্গ নিজেদের টিকে থাকার জন্য তুর্কি জনগণের আস্থা, সমর্থন এবং ভালোবাসা অর্জনের জন্য উঠেপড়ে লাগেন। তাদের অনেক জনপ্রিয় কর্মের মধ্যে ইউনিভার্সেল হেলথ কেয়ার রিফর্ম এক পরম মহৌষধ হিসেবে তাদের সফলতার স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দেয়।

সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী, আপনার সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে আপনিও বাংলাদেশের চিকিত্সা ব্যবস্থায় তুর্কি মডেল অনুসরণ করতে পারেন। আপনার সদয় অবগতি এবং পাঠকদের জ্ঞাতার্থে তুরস্কের স্বাস্থ্যসেবার উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় নিম্নে বর্ণনা করা হলো— ১. দেশের ১০ লাখ সামর্থ্যবান লোককে বাধ্যতামূলকভাবে স্বাস্থ্যবীমার অধীন আনা হয়েছে। বীমার সেই অর্থের সঙ্গে সরকারি অনুদান যোগ করে দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্বাস্থ্যবীমা প্রদান করা হয়েছে বিনামূল্যে। সরকারি হাসপাতাল এবং সরকার মনোনীত প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে বীমাকৃত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোর পেছনে সরকারের কোনো খরচ করতে হয় না। তারা রোগীর চিকিত্সা বাবদ বীমা কোম্পানি থেকে যে টাকা পায় তা দিয়েই আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহ করে। ফলে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে পরস্পরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেবা প্রদান করে থাকে।

২. সমগ্র দেশে একটি সমন্বিত জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে। স্থল-নৌ-আকাশ পথের সমন্বয় করে যে কোনো রোগীর টেলিফোন পাওয়ার ২ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে জরুরি সেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্স, হেলিকপ্টার, সি প্লেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে। দেশের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের সব রকম যানবাহন এক্ষেত্রে এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যেমনটি করা হয় যুদ্ধাবস্থায়। জরুরি অবস্থায় যে কোনো রোগীকে যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করতে বাধ্য। এমনকি যেসব প্রাইভেট হাসপাতাল বীমাকৃত রোগীদের চিকিত্সার জন্য তালিকাভুক্ত নয় তারাও বিনামূল্যে জরুরি বিভাগের রোগীকে তত্ক্ষণাত্ চিকিত্সাসেবা দিতে বাধ্য। পরবর্তীতে রোগী যদি হাসপাতালের বিল পরিশোধে ব্যর্থ হয় বা অনীহা প্রকাশ করে তবে সরকারি তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট রোগীর চিকিত্সার খরচ পরিশোধ করে দেওয়া হয়।

৩. প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল এবং তালিকাভুক্ত প্রাইভেট হাসপাতালকে বাধ্যতামূলকভাবে হোম সার্ভিস প্রদান করা হয়। যেসব রোগী শয্যাগত এবং হাসপাতালে গিয়ে চিকিত্সা নিতে অপারগ সেসব রোগীর বাড়িতে গিয়ে ডাক্তাররা চিকিত্সাসেবা প্রদান করে থাকেন। কোনো একটি একাকায় যদি অধিক সংখ্যক হোম সার্ভিসযোগ্য রোগী থাকে তবে সেখানকার হাসপাতালটিকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হয়।

৪. ডাক্তারদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমটি কমন করা হয়েছে। ফোন, ই-মেইল ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে রোগী দেখা এবং চিকিত্সাসেবা প্রদান করা হয়। এর বাইরে শুধু জরুরি চিকিত্সা— মাঝামাঝি কোনো তদবির বা প্রভাব প্রতিপত্তির বালাই নেই। জরুরি চিকিত্সাসেবার মতো ইনটেনসিভ কেয়ার সেবাটিও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয় এবং সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি সেবার মতোই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

৫. সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো— তারা দেশের সব ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ এবং মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে সবাইকে ওষুধ বিক্রি করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও সরকার এমনভাবে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে ভর্তুকি দেয় যাতে ওষুধের বাজারমূল্য জনসাধারণের ক্রয়সীমার মধ্যে থাকে। দেশি-বিদেশি সব রোগীর জন্যই একই মূল্য প্রযোজ্য। ফলে কম মূল্যে ওষুধ এবং চিকিত্সাসেবার জন্য পৃথিবীর নানা দেশ থেকে লাখ লাখ লোক তুরস্কে আসছেন। সরকার এই আগমনের নাম দিয়েছে হেলথ ট্যুরিজম।

৬. ডাক্তার, নার্স, মিডওয়াইফ এবং হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন নির্ধারিত বেতন-ভাতা রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত আয়ের জন্য রয়েছে প্রচুর ইনসেনটিভ, বোনাস এবং পদোন্নতি। সে যত বেশি রোগীর সেবা করতে পারে এবং যে প্রতিষ্ঠান যত বেশি আয় করতে পারে তার ওপর নির্ভর করে সবার ভাগ্য। ফলে একটি সমবায়ের মতো প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক আলাদা একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেছে।

৭. তুরস্ক সরকার বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ব্যয় করে মাত্র ১০১ ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ৫২৬ ডলার। তারা আশা করছে আগামীতে হেলথ ট্যুরিজমের মাধ্যমে রাষ্ট্রের যে আয় হবে তাতে মাথাপিছু ব্যয় দ্বিগুণ করলেও সরকারি তহবিলে কোনো সমস্যা হবে না।

৮. তামাকের বিরুদ্ধে আন্দোলন, নিরাপদ গর্ভধারণ এবং প্রসব, শিশুস্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্র সর্বশক্তি নিয়োগ করে আসছে। উন্নত যন্ত্রপাতি, হাসপাতালের কর্মপরিবেশ এবং চিকিত্সাসেবার মান এমনভাবে সমন্বয় করা হয়েছে যাতে করে রোগীরা শতভাগ নিরাপত্তা ও তৃপ্তি অনুভব করতে পারে। তুরস্ক তাদের দেশের চিকিত্সাসেবা, পদ্ধতি এবং নিয়মনীতির ব্যাপারে এমন একটি পর্যায়ে চলে এসেছে যার জন্য উন্নত দুনিয়া এখন তাদের দেশে তুর্কি মডেল চালু করার জন্য চেষ্টা-তদ্বির আরম্ভ করেছে।

আমার প্রিয় প্রধানমন্ত্রী! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছেন। আপনার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এবং আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত প্রদান করা আমার জন্য ফরজ। এই চিঠির মাধ্যমে আমি কেবল একজন নাগরিকের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করলাম— আপনার দৃষ্টিতে কোনো ভুলভ্রান্তি হলে ক্ষমা চাচ্ছি। অনেক অনেক দোয়া এবং শুভ কামনা। আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।  আরজ গুজারে— গোলাম মাওলা রনি।

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩
মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শোবার ঘর থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
শোবার ঘর থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব
মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২
ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস
ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি
চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ

৫১ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

৫৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত
টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা
বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম
দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের
‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস
ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডেমরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ডেমরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন
গাইবান্ধায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা
মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি
সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি

শনিবারের সকাল

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান
বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান

পরিবেশ ও জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা