শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:৪১, রবিবার, ০৩ জানুয়ারি, ২০১৬

ভোটে হেরেও রাজনীতিতে জিতেছে বিএনপি

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
ভোটে হেরেও রাজনীতিতে জিতেছে বিএনপি

নজিরবিহীন সন্ত্রাস, কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব এবং রেজাল্টশিট পরিবর্তনসহ ত্রুটিপূর্ণ, অগ্রহণযোগ্য ব্যবস্থাপনার অভিযোগে পৌর নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। মেয়র পদে দল থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কিন্তু পদত্যাগ করতে বলা হয়নি। কাউন্সিলর পদের নির্বাচন যদিও নির্দলীয় ভিত্তিতে হয়েছে, নব্বই শতাংশেরও অধিক নির্বাচিত হয়েছেন দল সমর্থকরা, বলা যায় দল কর্তৃক ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীরাই।  কাউন্সিলর পদেও বিএনপির বিপুলসংখ্যক পুরুষ ও মহিলা নেতা-কর্মী বিজয়ী হয়েছেন। তাদের ওপরও পদত্যাগের কোনো চাপ নেই। আওয়ামী লীগ যেসব আসনে জয় ‘করায়ত্ত’ করেছে, প্রত্যাখ্যান কি সেসব আসনের ফলাফল, না কি গোটা নির্বাচনের ফলাফল? নিজেদের যেসব প্রার্থী মেয়র পদে এবং স্বতন্ত্রভাবে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি তাদের পদ ছাড়তে বলবে বলে মনে হয় না। তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে, নানা বিষয়ে কঠোর সমালোচনার পরও সামগ্রিকভাবে নির্বাচনটি তারা মেনে নিয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রাসঙ্গিক একটি বক্তব্য বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ভোট গ্রহণের আগে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বারবার বলেছেন, এবার তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন। তারা কথা রেখেছেন। যে কজন দলীয় প্রার্থী ভোট গ্রহণ চলাকালে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন তারা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে তা করেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তে নয়। বরং কিছু প্রার্থী মাঝপথে নির্বাচন বর্জনের জন্য দলীয় অনুমতি চাইলেও তা নাকচ করে ফলাফল যা-ই হোক নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থাত্ বিএনপি এখন থেকে নির্বাচনী রাজনীতিতে অবিচল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে স্পষ্ট হয়েছে এই সিদ্ধান্তে। এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। বিএনপি তো একটি নির্বাচনমুখী উদার গণতান্ত্রিক দল। ক্ষমতাপ্রত্যাশী দলও বটে! কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ তো হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়। বলতেই হবে, এ ক্ষেত্রে বিএনপির স্খলন হয়েছিল। গণতান্ত্রিক সংগ্রামের সুপরিচিত ও সুরক্ষিত পথ পরিহার করে হিংসাত্মক পথে শক্তি প্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছিল। সেই পথ গণনির্ভর পথ ছিল না। এতে জনগণের এমনকি দলের সব স্তরের সংগঠক নেতা-কর্মীদেরও সংশ্লিষ্টতা ছিল না। ‘সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিটি একটি গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সে কর্মসূচি তারা সফল করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ‘নেতৃত্বের’ ব্যর্থতায়। সরকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল, পার্টি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে। বালির ট্রাক এবং রায়টকার, জলকামান ও বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দিয়ে সেখানে অবরোধ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু গোটা ঢাকা শহর তো অবরুদ্ধ ছিল না। ঢাকা শহরে বিএনপি কর্মী-সমর্থক কম নয়। যেসব নেতা ওই কর্মসূচি সফল করার জন্য দায়িত্ব নিয়েছিলেন, অন্যভাবে বললে বলতে হয় যাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছিল— যা সব রাজনৈতিক দলই কোনো কর্মসূচি সফল করার জন্য করে থাকে— সেসব নেতার কেউ দায়িত্ব পালন করেননি। দলীয় কৌশল গুলশান অফিস থেকে আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে মাঠে নামেনি কেউ। কারও টিকিটির নাগালও পাওয়া যায়নি। অথচ জানা যায়, সরকারি নানা প্রতিকূলতা সৃষ্টির মাঝেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় এসেছিলেন। ঢাকার নেতাদের পলায়নী মনোভাব এবং পলাতক অবস্থানের কারণে ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড-থানার কর্মীরাও মাঠে নামেনি। অথচ পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এখনো ঢাকায় বিএনপির যে জনসমর্থন আছে, তাতে রাজধানীর ৯৩ ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই বড়সড় মিটিং-মিছিল করার মতো অবস্থায় আছে। নেতৃত্বের ব্যর্থতা এবং আন্দোলনের কর্মসূচি ও কর্মকৌশল নির্ধারণের অযোগ্যতার কারণে সেই নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনটি ব্যর্থ হয়। সাম্প্রতিককালের তিনটি ঘোষিত কর্মসূচির বাকি দুটি ছিল হঠকারী কর্মসূচি। হেফাজতে ইসলামীর কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বড় রকমের একটি ভুল করেছিল বিএনপি। হেফাজতের অবস্থান কর্মসূচিকে মনে হয়েছিল তা বুঝি বেগম খালেদা জিয়ার কর্মসূচি। তা না হলে তাদের সমর্থনে তিনি দলের সব স্তরের নেতা-কর্মী এবং ঢাকাবাসীকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন কেন? পাঠক, আপনাদের মনে আছে যে, হেফাজতে ইসলামী ঘোষণা করেছিল, তাদের মহাসচিব বাবুনাগরী পরদিনই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কেউ কেউ রসিকতা করে বলেছিলেন, বেগম জিয়া কি তাহলে আল্লামা শফীর হাতে বায়াত নিয়ে হেফাজতের হেফাজতে গিয়ে নিজে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলেন? যাদের জন্য নিজের এবং নিজের দলের আলটিমেট ক্ষতিটা করলেন, সেই হেফাজত এখন কি তার সঙ্গে আছে? হেফাজত ‘এপিসোড’ শেষে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচির নামে আরেক হঠকারী কর্মসূচি দলটিকে আরও বড় প্রশ্নের মধ্যে ফেলে। হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ কর্মসূচি আমাদের দেশে আগে অন্য কেউ পালন করেননি, তা নয়। কিন্তু তা গণতান্ত্রিক চরিত্রের সীমা লঙ্ঘন করে সহিংস রূপ নিলে তার পরিণতি কর্মসূচি পালনকারীদের জন্য শুভফল বয়ে আনে না। বঙ্গবন্ধুর ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। তাও কতদিন? বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী, এরশাদ জাপা অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছিল ২৮ দিন। দুই কর্মসূচির কোনোটিতেই পেট্রলবোমার ব্যবহার এবং ব্যারিকেড সৃষ্টির জন্য হাজার হাজার বৃক্ষ নিধনের ঘটনা ঘটেনি। বিরোধী দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এত নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেনি। তিন মাস চলা অবরোধে সংঘটিত সব অপরাধের সঙ্গে বিএনপি জড়িত কিনা, তাতে জামায়াতের ভূমিকা এবং সরকারের কোনো কূটকৌশলও ছিল কিনা তা এখনো আইন-আদালতে প্রমাণ হয়নি সত্য, কিন্তু সব মর্মান্তিক ঘটনা তো ঘটেছে তিন মাসের অবরোধ কর্মসূচির আচরণে। ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক হিসেবে বিএনপি এবং এর নেত্রী বেগম জিয়া এ দায় এড়াবেন কী করে? সহিংসতা, নাশকতা যেই ঘটাক, এর মাত্রা যখন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছিল, তখন বেগম খালেদা জিয়া সেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেন না কেন? এই দুই কর্মসূচি দেশে-বিদেশে বিএনপির ভাবমূর্তি যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, একইভাবে দলেরও সর্বনাশ করেছে। সারা দেশে দল ও বিভিন্ন অঙ্গদলের হাজার হাজার কর্মী কারারুদ্ধ, আরও বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমার খড়গ, গুম, গ্রেফতার, মামলা-হামলা আতঙ্কে অসংখ্য নেতা-কর্মীর রাতের ঘুম হারাম। অনেকে আপনজনের মুখ দেখে না কতদিন! বিএনপির মতো একটি উদার গণতান্ত্রিক দল এমন ধকল সইতে পারে না। তাই দল আজ অনেকটাই লণ্ডভণ্ড। রাজনৈতিক দল ভুল করে, আবার ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আত্মশুদ্ধির চেষ্টা করে। বিএনপি এখন সে চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে। আগেই উল্লেখ করেছি, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী উদার গণতান্ত্রিক দল। এর সঙ্গে আরও একটি অলঙ্কার জড়িয়ে আছে; তা হচ্ছে, দলটির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন কিংবদন্তি নায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমান— যার কণ্ঠে একাত্তরের অপ্রস্তুত, অসংগঠিত ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় জাতি শুনেছিল রক্তে অস্তিরতার ঢেউ তোলা ‘আমি মেজর জিয়া বলছি...।’ বঙ্গবন্ধুর পক্ষের কণ্ঠস্বরটিও ছিল ‘মেজর’ জিয়ার— কোনো রাজনৈতিক নেতার নয়। জেনারেল জিয়া, জেনারেল মীর শওকত আলী, উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহর মতো সেক্টর কমান্ডার, বহু সাব-সেক্টর কমান্ডারসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার সমন্বয়ে গঠিত এই দল। গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, এই দুই অবস্থানেই অটল থাকার কথা বিএনপির। দলের ঘোষণাপত্রের শুরুতেই অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলা হয়েছে, ‘ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের সোনালি ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আমাদের পবিত্র আমানত এবং অলঙ্ঘনীয় অধিকার। প্রাণের চেয়ে প্রিয় মাতৃভূমির এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ়-সুরক্ষিত করে রাখাই হচ্ছে আমাদের কালের প্রথম ও প্রধান দাবি।’ ঘোষণাপত্রের তৃতীয় ও চতুর্থ ধারায় ব্যক্ত করা হয়েছে জনগণের গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার। কাজেই স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা এবং গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার থেকে সরে গেলে বিএনপি আর জিয়াউর রহমানের বিএনপি থাকে না। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, দুটি ক্ষেত্রেই বিএনপির বিচ্যুতি ঘটেছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী জোটের নামে প্রায় আদর্শিক ঐক্য গড়ে তোলা, রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়নে মৌলবাদী ঝোঁকের প্রতি দুর্বলতা এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ পরিহার করে হঠকারী রাজনৈতিক লাইন গ্রহণ এই বিচ্যুতিকে স্পষ্ট করেছে। গণতান্ত্রিক পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অদল-বদলে যারা বিশ্বাস করে তারা এমন সর্বনাশা পথে হাঁটতে পারে না।  এতে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দলটি। দলের অনেক অনুরাগী-সমালোচক বলেন, ‘আমাদের প্রিয় জাতীয়তাবাদী দল এখন জামায়াতীয়তাবাদী দলে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। জোটবদ্ধ আন্দোলনের নামে বিভিন্ন সেক্টরের নেতৃত্ব জামায়াতে ইসলামীর রোকনদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির তৃণমূলসহ বিভিন্ন স্তরকে তারা জামায়াতের কর্মী, নিদেনপক্ষে সমর্থক তৈরির ‘টার্গেট, গ্রুপ’ হিসেবে ব্যবহার করছে। বিএনপিকে আবার তার প্রতিষ্ঠাকালীন অঙ্গীকারের কাছে ফেরত আনতে হবে, অর্থাৎ বর্তমান অবস্থা থেকে জিয়ার বিএনপিতে ফেরত আনতে হবে।

বিএনপির স্খলনের খুব একটা সময় লাগেনি। কিন্তু উত্তরণ ঘটাতে কিছুটা সময় লাগবে। অনুরাগীরা চান, তবুও উত্তরণটা ঘটুক। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। বিএনপির ‘মালিকপক্ষের’ হয়তো বোধদয় হচ্ছে। পৌরসভা নির্বাচনে সরকারি অনেক কূটকৌশলের মধ্যেও অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত এবং শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকা অবশ্যই ইতিবাচক। বিএনপি বোধহয় সর্বত্র এ বার্তাটিই দিতে চেয়েছে যে, তারা নির্বাচনমুখী রাজনীতিতে ফিরে এসেছে এবং থাকবে। এ নির্বাচনে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যথার্থ আচরণ করেছে বলা যাবে না। আদর্শ নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তার ‘দর্শন’ পৃথিবীর কোথাও পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু যেটুকু না থাকলে নির্বাচনে গ্রহণযোগ্যতার মতো ন্যূনতম সৌন্দর্যও ম্লান হয়ে যায়, তৃতীয় ধাপ থেকে উপজেলা নির্বাচনের পরবর্তী ধাপসমূহ তিন সিটি নির্বাচন এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনকেও তেমন একটি খারাপ নির্বাচনই বলতে হবে। বিগত নির্বাচনসমূহ সম্পর্কে বিএনপি যতটা কঠোর মনোভঙ্গি গ্রহণ করেছিল, পৌর নির্বাচন সম্পর্কে তেমন নেতিবাচক কোনো ভূমিকা বিএনপি নিচ্ছে না বলেই বোঝা যাচ্ছে। অর্থাত্ নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেওয়ার সংস্কৃতিটি বিএনপি রপ্ত করছে। এর অর্থ আমি এটা বলছি না যে, পৌর নির্বাচনটি খুব ভালো হয়েছে এবং স্বতঃস্ফূর্ত গণরায়েই বিএনপি ২৩৪ মেয়র পদের মধ্যে মাত্র ২৩/২৪টিতে জয়ী হয়েছে। বিএনপির শত সমালোচনা-দুর্বলতার পরও তত ছোট দল নয়, সমর্থনে এত ধস নামেনি। হঠকারী রাজনৈতিক লাইন অনুসরণ করতে গিয়ে দলটি এখন সাংঘাতিকভাবে বিপর্যস্ত। সংগঠন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা দলে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ‘অলঙ্কার’ হিসেবে কাউকে কাউকে রাখা হয়েছে, তারা মাঝে মাঝে বক্তৃতা-বিবৃতি-সেমিনার-টকশোতে গিয়ে জানান দেন যে তারা দলটির নেতা। কিন্তু এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে, নীতিনির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের আধা পয়সার দামও নেই। সিদ্ধান্ত নেন দুজন, তারা দল চালান ‘রাজকর্মচারী’দের দ্বারা। ফলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কর্মসূচি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের কর্মকৌশল নির্ধারণে সাময়িক মারাত্মক ভুল করেন। এমন অবস্থান থেকে দলটিকে অবশ্যই সরে আসতে হবে।

পৌর নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করল বিএনপি। কিন্তু ফলাফল আরও একটু ভালো করার জন্য বিএনপি কি তার সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে? ২৩৪ পৌরসভার কয়টাতে ভোটারদের কাছে গিয়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ‘নেতারা’। অথচ ১০টি টিম ছড়িয়ে পড়লে সারা দিনে সবকটি পৌরসভায় পৌঁছতে পারতেন তারা। দায়িত্বপ্রাপ্তদের দুই-চারজন কিছু কিছু জায়গায় গেছেন যেখানে থাকা-খাওয়ার সুবন্দোবস্ত ছিল। এক জায়গা থেকে অনেক জায়গায় সংযোগের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। সবাই ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করলে কর্মীরা সাহস পেত, সমর্থকরা উদ্বুদ্ধ হতো, সাধারণ ভোটাররা বিএনপির ধানের শীষে ভোট দিতে উত্সাহিত হতো। দায়িত্বপ্রাপ্তদের মনে সর্বদা ‘পুলিশ পুলিশ’ ও পলায়নী মনোভাব না থাকলে এবং এ নির্বাচনেও নমিনেশন বেচা-কেনার অভিযোগ না থাকলে, পকেটম্যান তৈরির ঘৃণ্য প্রবণতা কাজ না করলে জামায়াতের সমর্থন ছাড়াই বিএনপি ৭০-৮০টি পৌর মেয়র পদে জিততে পারত বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন সরকারি কারসাজি, কেন্দ্র দখল, জালভোট, সিল মারামারির এত শত অভিযোগ এবং মিডিয়ার নানা সচিত্র তথ্য প্রকাশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতেও বিএনপি আওয়ামী লীগের ম্যানেজ করা ৫২% ভোটের বিপরীতে ২৮% ভোট পেয়েছে। ভোট পুরোপুরি স্বচ্ছ হলে এবং বিএনপির নির্বাচনী দায়িত্ব সঠিক ব্যক্তিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলে ভোট প্রাপ্তির হার নিশ্চয়ই আরও বেড়ে যেত। একটি ভালো নির্বাচনে একক লড়াইয়েও বিএনপির বিপুল জনসমর্থন লাভের সম্ভাবনার ইঙ্গিত আছে এ নির্বাচনে। পৌর নির্বাচনই শেষ নির্বাচন নয়। এ নির্বাচন একটি বার্তা অবশ্যই দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে অন্য সব নির্বাচনও অংশগ্রহণমূলক হবে। তবে যে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে শুধু অংশগ্রহণমূলক হয়ে লাভ নেই। এ জন্য সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য। বিএনপির নির্বাচনে আসাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে আশু অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি ইঙ্গিতবহ শুভ বার্তা বলে কি আমরা একে ধরে নিতে পারি? বলা চলে, ভোটে হেরেও রাজনীতিতে জিতেছে বিএনপি। অনুকূল একটি পরিবেশ অন্তত তৈরি করতে পেরেছে দলটি। বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে রাজতন্ত্র কায়েমের অভিযোগ করেছেন।  প্রশ্ন উঠতেই পারে, তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কি দেশে, এমনকি দলেও গণতন্ত্র ছিল? এখনো কি আছে? কথায় আছে ‘আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শেখাও’।

 

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]


বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
সর্বশেষ খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

১ সেকেন্ড আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’
‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার
মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি
কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’
‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে