শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:২৭, সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

বিএনপির কাউন্সিল এবং দুই মহাসচিব তত্ত্ব!

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
বিএনপির কাউন্সিল এবং দুই মহাসচিব তত্ত্ব!

সরকার কোনো লুকোচুরির খেলা খেলছে না। খুব স্পষ্ট করে এবং দৃঢ়ভাবেই বলছে যে, তারা এই মুহূর্তে তাদের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না। অর্থাত্ আগে উন্নয়ন এবং বাদবাকি সব পরে। এতদিন প্রধানমন্ত্রী, তার পারিষদবর্গ এবং শাসকলীগের কিছু ‘হাইব্রিড’ নেতা এ ব্যাপারে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। কিন্তু ইদানীং কিছু সুবিধাভোগী বা সুবিধাপ্রত্যাশী বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবী ‘দলদাস’ মিডিয়ায় সরকারি বক্তব্যের পক্ষে ‘ঢোল বাজাতে’ শুরু করেছেন। চতুর্দিকে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এই কারণে যে, গণতন্ত্রের বিষয়টিও এখন ‘বাদবাকির’ মধ্যে পড়ে গেছে। গণতন্ত্রের পরিপূর্ণ স্বাদ এই ভূখণ্ডের মানুষ কখনো না পেলেও গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সাহসী সংগ্রামের ঐতিহ্য তাদের আছে। বর্তমানে গণতন্ত্র প্রকৃত অর্থে অনুপস্থিত, কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য সাহসী কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম নেই। লীগ সরকার খুব সাফল্যের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব বজায় রেখে তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজপথ থেকে হটিয়ে দিতে পেরেছে। ফলে গণতন্ত্রের দেশে বহুদল, বহুমতের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না। এটা যতটা না লীগ সরকারের সাফল্য, তারচেয়ে বেশি বিরোধী দলের, প্রধানত বিএনপির চরম ব্যর্থতা।

বিএনপি প্রকাশ্যে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতেই শুধু ব্যর্থ নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক নানা ক্ষেত্রে সরকার যে সাফল্যের প্রচার করছে এসব ব্যাপারেও বিএনপি কিছু বলছে না। মানুষ তাই ধরেই নিতে পারে যে, এই উন্নয়ন ও প্রাপ্তি সরকারে আওয়ামী লীগ থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে। বিএনপি নেতারা একটি কোরাসই গাইছেন যে, সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছে, জেল-জুলুম, নিপীড়ন চালাচ্ছে, মামলা-মোকদ্দমায় ফাঁসাচ্ছে। এর বাইরে আর যেন কোনো কথা নেই। সরকারি বক্তব্যের যেন যুৎসই কোনো জবাবই নেই তাদের। সরকার জিডিপি নিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে। পুরনো তথ্য ঘেঁটেই তো বলা যায় যে, বেগম খালেদা জিয়া যখন সরকারের দায়িত্ব ছেড়ে যান তখন জিডিপি ছিল ৬.৭। বর্তমান সরকারের গত সাত বছরের শাসনে এই হার কখনো অতিক্রম করেছে বলে তো রেকর্ড বলে না। নারী শিক্ষা, প্রসূতি মৃত্যুহার, শিশু মৃত্যুহার, প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ড্রপ-আউট কমিয়ে আনা, নারী শিক্ষা— এসব ক্ষেত্রে বেগম জিয়ার সরকার আমলে অবস্থা/অগ্রগতি কেমন ছিল, পরিসংখ্যান দিয়ে পাল্টা জবাব দিতে পারে বিএনপি। বর্তমান লীগ সরকারের আমলে এসব ক্ষেত্রে পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়নি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে তা স্বীকার করতে কুণ্ঠাবোধ অথবা হীনমন্যতা মানুষ ভালো চোখে দেখবে না। কিন্তু এটা তো চোখে আঙ্গুল দিয়ে বিএনপি ‘নেতারা’ দেখাতে পারেন, বর্তমান অর্জনের পেছনে তাদের দলীয় সরকারেরও ভূমিকা ও অবদান আছে। শুধু তাদের সরকার কেন, পূর্ববর্তী অন্য সরকারসমূহেরও ভূমিকা, অবদান আছে। কিন্তু এসব কাজ তো রাজনৈতিক নেতৃত্বের, প্রকৃত রাজনীতিবিদদের কাজ।

এ জন্য প্রয়োজন লেখাপড়া করা, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার দক্ষ, পরিশ্রমী ও নিবেদিত কিছু দলীয় লোক। তাছাড়া তারা দুটার্ম তো পুরোপুরিই সরকার চালিয়েছে। তারা কী করেছে সে পরিসংখ্যান তাদের হাতের কাছে থাকবে না কেন? একটি রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়া, তা করতে না পারলে দিনে পাঁচ-সাতটি প্রেস ব্রিফিং দেওয়াই কি দলীয় বক্তব্য জনগণের কাছে নেওয়ার একমাত্র কাজ না মাধ্যম? সরকার খারাপ, সরকার স্বৈরাচারী পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে দিয়েছে এই ধরনের সস্তা ও চটুল কথায় মানুষের মন ভরবে কেন? বিএনপির কোনো পার্টি লিটারেচার নেই কেন? মতাদর্শগত লড়াই তো গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয় বা নয়াপল্টন কার্যালয়ে নিরাপদ প্রেসব্রিফিং দিয়ে হয় না। লিফলেট, বুকলেট, পোস্টারের মাধ্যমে দলের প্রকৃত রাজনৈতিক, আদর্শিক এবং কর্মসূচিগত বিষয়াবলি দলের তৃণমূল এবং সাধারণের মধ্যে নিয়ে যাওয়া একটি গণমুখী ও গণসংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের অংশ। বিরোধী দলে থাকলে প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরকারি প্রতিবন্ধকতা, জেল-জুলুম-নির্যাতন নিপীড়নের মুখে এ পথেই এগিয়ে যায় একটি দল। দল ও দলের মৌলিক রাজনৈতিক, আদর্শিক এবং স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা একই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মী-সংগঠকের পাশাপাশি জনগণের করণীয় কী হবে তার একটা নির্দেশনাও থাকে। বিএনপির বর্তমান দুর্দশার কথা মানুষ জানে। এই দুর্দশা সৃষ্টির পেছনে বিএনপির নেতৃত্বের দায়ও কম নয়। বুঝলাম, তাদের বক্তব্যই ঠিক যে, তারা এখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কবলে; সভা-সমাবেশ করতে পারছে না, পারছে না প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে। কিন্তু গত নয় বছরে বিএনপি জনগণকে পক্ষে রাখার জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক ও মতাদর্শগত লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কী করেছে? কয়টা লিফলেট, বুকলেট, পোস্টার বা এই ধরনের লিখিত আবেদন এবং বক্তব্য জনগণের কাছে পৌঁছিয়েছে? সরকারের নানা অর্জন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের কৃতিত্ব এবং অবদান বিধৃত করে মাসে দু-চারটা এমন প্রকাশনা তো তারা করতে পারত। সরকারের অতিরঞ্জিত বক্তব্যের যুৎসই জবাব দেওয়া যেত। বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো ভঙ্গুর হলেও পুস্তক-পুস্তিকা-প্রচারপত্র দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার মতো অবস্থা এখনো তাদের লোপ পায়নি।

একটি বড় রাজনৈতিক দল ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর বাধার মুখে কীভাবে কাজ করা লাগে তা জানতে হয়। সেই ধরনের কর্মকৌশল নির্ধারণেও বিএনপি ব্যর্থ। ফলে বিএনপির অনেক কৃতিত্বও দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছে লীগ সরকার এবং শাসক লীগ। আগেই উল্লেখ করেছি, দলের নীতি, আদর্শ, কর্মসূচি এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে আলাপ-আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রয়োজন অভিজ্ঞ, লেখাপড়া জানা বুদ্ধিদীপ্ত কেরিয়ার রাজনীতিবিদের। বিএনপির দুর্ভাগ্য, দল পরিচালনায় এটাই অভাব। দল চলে কর্মচারী দ্বারা। কেরিয়ার ও প্রবীণ-নবীন রাজনীতিবিদদের কোনো মূল্যই নেই। মাঝে মাঝে বক্তৃতা দিয়ে আর টকশোতে গিয়ে নিজেদের ‘নেতা-ভাবমূর্তি’ রক্ষা করেন তারা। সরকার গণতন্ত্রবিরোধী কোনো কথা প্রকাশ্যে সুনির্দিষ্ট করে বলছে না ঠিক, কিন্তু তা যে তারা আপাতত ‘পেন্ডিং’ রেখেছে সে কথা শুরুতেই বলেছি। কিন্তু গণতন্ত্র বন্দী রেখে উন্নয়নের রাজনীতির দশা কেমন হয় আমাদের ভূখণ্ডেই তার নজির আছে। পাকিস্তানি আমলে আইউবের উন্নয়নের রাজনীতি, বাংলাদেশ আমলে ‘অর্থনৈতিক কর্মসূচি’র নামে বাকশালের রাজনীতি এরশাদের আমলে উন্নয়নের ঢোল পিটিয়ে স্বৈরশাসনের বিভীষিকা দেখেছে মানুষ। বিএনপি এসব কিছু মানুষের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরে বোঝানোর উদ্যোগ এখনো নেয়নি যে, গণতন্ত্র ‘শিকেয়’ তুলে যে উন্নয়ন তার সুফল ভোগ করে মোটা-তাজা একটি সরকারি আশীর্বাদপুষ্ট শ্রেণি। তারাই আরও মোটা-তাজা হয়, তেলে মাথায় তেল দেওয়া হয়। সরকার উন্নয়নের কথা এমনভাবে প্রচার করছে যেন এতে দেশের সব সংকটের সমাধান হয়ে যাচ্ছে এবং মানুষ তাতে বেজায় খুশি। তাই গণতন্ত্রকে আপাতত ‘ফোর্সলিভ’ দিয়ে দেওয়ায় কোনো ক্ষতি নেই। অথচ গণতন্ত্র না থাকলে মানুষের রাষ্ট্রকর্মে অংশগ্রহণের সব পথ রুদ্ধ থাকে, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না বলে ‘উন্নয়নের জোয়ারে’ ভেসে যায় সরকারের ‘খয়ের খাঁ’রা। এই উন্নয়নের জোয়ার গ্রামকেন্দ্রিক বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলকে এবং গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে স্পর্শ করে না। ৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি সংবাদে গ্রামবাংলার গণ-আর্তনাদ সরকারের উন্নয়নের ‘বাদ্যকে’ ছাপিয়ে দিয়েছে। খবরে উল্লেখ করা হয়, কর্মসংস্থানের অভাবে, আর্থিক অভাব-অনটনের ফলে গ্রাম ছেড়ে দুর্ভাগা ছিন্নমূল মানুষ পাড়ি দিচ্ছে শহরাভিমুখে। দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ৪৫ হাজার বস্তি। ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তির অন্বেষণে গ্রামের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর-উপশহরের বস্তিতে। একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় লক্ষ্য থাকে গ্রাম-শহরে সমতাভিত্তিক উন্নয়ন সাধন। জনগণের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য জনপ্রতিনিধিরা তা নিশ্চিত করেন। কিন্তু জনগণের ভোট বা রায় ছাড়া রাষ্ট্র শাসনে নিয়োজিতরা জনগণের কাছে জবাবদিহির কোনো তাগিদ অনুভব করেন না বলে তারা যে সব স্বার্থান্বেষী মহলের প্রতিনিধিত্ব করেন তাদের স্বার্থেই কাজ করেন। তারা রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বড় ব্যালান্স দেখান, রাজধানীর ফ্লাইওভার দেখান, জিডিপির হার দেখান। কিন্তু দেশে যে বিনিয়োগ হচ্ছে না, টাকা পড়ে আছে অলস হয়ে, একটু বৃষ্টি হলেই ফ্লাইওভারের শহর রাজধানী ঢাকা প্রায়ই ডুবে যায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পেছনে প্রায় আশিভাগ অবদান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি এবং কৃষক সমাজের। বর্ষায় বাংলাদেশের বহু গ্রামে ফ্লাইওভার, ব্রিজ-কালভার্ট তো দূরের কথা সাঁকো নির্মাণেরও ব্যবস্থা থাকে না, যোগাযোগ ত্রুটি ও অভাবে কৃষকের পণ্য নষ্ট হয়ে জাতীয় অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি করে, সেদিকে তারা অ্যাড্রেস করেন না। কিন্তু বিএনপি নামক দলটি করে কী? এই অক্ষম দলটি নাকি সক্ষম হওয়ার চেষ্টা করছে। দলের চেয়ারপারসন নিযুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ১৯ মার্চ দলটির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। একটি কাউন্সিল একটি দলকে উজ্জীবিত করতে পারে যদি যথাযথভাবে তা হয়। দল পুনর্গঠনের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল প্রায় এক বছর ধরে— পনেরো সালের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসের ‘সুইসাইডাল’ কর্মসূচির চরম ব্যর্থতার পর। আশা করা গিয়েছিল দলের নেতৃত্ব কাঠামোয় পরিবর্তন আসবে। নবীন-প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সামনে নিয়ে আসা হবে। এ জন্য বিএনপিতে কাউন্সিলের প্রয়োজন নেই। দলের গঠনতন্ত্রে চেয়ারপাসনের সে ক্ষমতা আছে। কিন্তু তা হয়নি। এমনকি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘ভার’টাও লাঘব করা হয়নি। শোনা যায়, মাতা-পুত্র এখনো এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। এখন আবার শোনা যাচ্ছে দুই মহাসচিব তত্ত্ব। মির্জা ফখরুলকে ‘সাইজ’ করার জন্য আরেকজনকে সাংগঠনিক মহাসচিব করার নতুন ছক এঁকেছেন মির্জাবিরোধীরা। তারা লবিংও শুরু করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। কী সর্বনাশা চিন্তা! বহু জেলায় কমিটি নেই পূর্ণাঙ্গ। বহু বছর সম্মেলন হয় না অর্ধেকের বেশি জেলায়। কমিটি করে দেওয়া হয় ঢাকার গুলশান থেকে। উপজেলা পর্যায়েও করুণ দশা। নেতাগিরি কেনাবেচা হয়। প্রচার আছে যে, দল ক্ষমতায় না থাকলেও কমিটি ও পদপদবি বেচা-কেনা করে দলের উপরিকাঠামোয় কেউ কেউ ‘লাল’ হয়ে গেছেন।

একটি বড় রাজনৈতিক দলের জাতীয় কাউন্সিলের জন্য যে প্রস্তুতি অন্তত তিন-চার মাস আগে থেকে নিতে হয় (বিএনপির মতো বিপুল জনসমর্থিত একটি দলে তো বছর খানেক আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হওয়া উচিত) তেমন কিছুই দৃশ্যমান নয় বিএনপিতে। সরকারি বাধার কথা বলা হচ্ছে। বাধা তো দেয়নি এখনো। একই সময়ে সরকারি দলও সম্মেলন করবে। জাতীয় পার্টিও। ধারণা করা যায়, বিএনপিকে কাউন্সিল করতে বাধা দেবে না সরকার। বাধা দিলে তো দেখা যাবে। কিন্তু মার্চের ১৯ তারিখ সম্মেলন করতে হলে ইতিমধ্যে অনেক কাজই সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা। কী করেছে বিএনপি? এখন পর্যন্ত কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটিই করা হয়নি। অথচ ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারপারসন নির্বাচনের ফর্মুলা ঠিক করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার-‘টমিশনার’ সব ঠিক করে ফেলা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে কী হবে। তামাশা করার কী দরকার? চেয়ারপারসন পদে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস আছে নাকি কারও? প্রয়োজনও কি আছে? কাউন্সিলটা করাই হবে দলের মালিকানা দলিল হালনাগাদ করার জন্য এবং তারেক রহমানকে কো-চেয়ারম্যান করে যৌথ মালিকানা নিশ্চিত করার জন্য। অন্যরা তো হবেন তাদের ‘স্টাফ অফিসার’। নিয়োগ দেবেন মাতা-পুত্র। কাউন্সিলের কী ভূমিকা তাতে? কাউন্সিলের হাতে নতুন কমিটি নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হবে না। কারণ, যতই নতুন মুখের কথা বলা হোক, বেছে বেছে আনা হবে ‘ইওর অবিডিয়েন্ট সার্ভেন্টদের’— এমন আশঙ্কা সত্, সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিএনপির এখন যে দশা, সংগঠন ঠিক না করে, নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করে মা চেয়ারপাসন থাকার পরও পুত্রকে কো-চেয়ারম্যান বানিয়ে কী লাভ? কঠিন মামলা-মোকদ্দমায় জর্জরিত তারেক রহমান কি অদূর ভবিষ্যতে দেশে ফিরতে পারবেন বিএনপি ক্ষমতায় যেতে না পারলে? সেই ক্ষেত্রে তাকে চেয়ারম্যান বানিয়ে দিয়েও কতটুকু লাভবান হবে বিএনপি কিংবা তারেক রহমানের? বিএনপিকে একটি গতিশীল ও কার্যকর রাজনৈতিক দলে পরিণত করে দলটি প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক জাতীয় তাগিদ (যা এখনো বিদ্যমান) পূরণ করতে হলে এর ‘করপোরেট হাউস’ বা ‘প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির’ চরিত্র পাল্টাতে হবে।

দ্রুত যদি একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন (যার সম্ভাবনা আছে) মোকাবিলা করতে হয়, দলীয় নেতৃত্বে ‘চাকর-বাকর’ (Henchman) না খুঁজে নবীন ও পরীক্ষিত সাহসী রাজনীতি সচেতনদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। এটাও ভাবতে হবে যে, বেগম জিয়া আর কতদিন পারবেন? তারেক রহমানও দেশ ছাড়া। তাদের ছাড়া দল চলবে কী করে? তাহলেই দলের কাউন্সিল রাজনৈতিক তাত্পর্য বহন করবে এবং বাকি দেড় মাস সময়ের মধ্যেও কাউন্সিলকে ঘিরে সারা দেশে বইবে প্রাণের বন্যা। অন্যথায়, সরকার বিএনপির কাউন্সিলে বাধা দিচ্ছে বলে বিএনপির কোনো কোনো নেতা যে বায়বীয় বক্তব্য দিচ্ছেন, সাধারণ মানুষও তাকে অতীতের ভুল স্বীকার, আত্মসমালোচনা এবং ভবিষ্যত্ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দিকনির্দেশনামূলক একটি সফল দলীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতৃত্বের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতা ঢাকার প্রয়াস বলেই মনে করবে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected].


বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
সর্বশেষ খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

১ সেকেন্ড আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’
‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার
মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি
কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’
‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে