শিরোনাম
প্রকাশ: ১৯:০২, শুক্রবার, ০৪ মার্চ, ২০১৬ আপডেট:

ইসলাম, নারী এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ

গোলাম মাওলা রনি
অনলাইন ভার্সন
ইসলাম, নারী এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ

নারীর উত্থান, পতন এবং ক্ষমতায়নের ইতিহাসের জটিল রসায়ন পৃথিবীকে করেছে কলঙ্কিত আবার কখনো বা অতি উজ্জ্ব্বল আলোতে উদ্ভাসিত করেছে ধরিত্রীকে। মানব সভ্যতা শুরু হওয়ার বহু শত কিংবা বহু হাজার বছর পূর্বে আমাদের পূর্ব পুরুষরা যখন বাস করতেন পাহাড়ের গুহা, বন-জঙ্গল অথবা কোনো জলাভূমির কিনারে তখন তারা পরিবারবদ্ধ হয়ে থাকার উপায় হিসেবে নারীকে নেতা বানিয়ে জীবনের পথচলা আরম্ভ করলেন।  নারীর নেতৃত্বের সেই ধারা বজায় থাকল কয়েক হাজার বছর অবধি। পরবর্তীতে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিবর্তনের কবলে পড়ে নারীরা তার কর্তৃত্ব এবং নেতৃত্ব হারিয়ে ফেলেন। আইয়ামে জাহেলিয়াতে এসে নারীরা ভয়ঙ্কর সব পরিস্থিতির মুুখে পড়েন। হুজুরে পাক (সা.)-এর জন্মের পূর্ববর্তী একশ বছরে জাজিরাতুল আরব বা আরবীয় উপদ্বীপ ছাড়াও সমকালীন পৃথিবীর অন্যান্য অংশে নারীদের অবস্থা ছিল খুবই করুণ। পৃথিবীর কোনো রাজা-বাদশাহ, সমাজ-সংসার কিংবা সংগঠন নারীর চিরায়ত মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সেই যুগে এগিয়ে এসেছিল বলে কোনো দালিলিক প্রমাণ আজ অবধি আবিষ্কার হয়নি। মানব জাতির ইতিহাসে সর্বপ্রথম ইসলামই নারী মুক্তির সনদ বাস্তবায়ন করেছে।

পবিত্র আল কোরআনে যেভাবে নারীকে মহিমান্বিত করা হয়েছে তার নজির পৃথিবীর অন্য কোনো ধর্মে নেই। নারীর অধিকার, সুরক্ষা, লালন-পালন, বিয়েশাদি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয়ে পবিত্র কোরআনে যে স্পষ্ট আয়াতসমূহ বর্ণিত হয়েছে তা পৃথিবীর মানুষ রচিত কোনো সংবিধান, অধিকারের দলিল বা রাজার রাজকীয় আদেশনামায় পাওয়া যাবে না। আর এ কারণেই আল কোরআনকে বলা হয় নারী মুক্তির প্রথম ম্যাগনাকার্টা। রসুলে আকরাম (সা.)-এর জীবন, তার শাসনামল এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নারীর অধিকারসমূহ যেভাবে রক্ষিত হয়েছে তা গত চৌদ্দশত বছরে পৃথিবীর অন্য কোনো ভূ-খণ্ডে দেখা যায়নি। ইসলামের অনুসারী মুমিন মোত্তাকীগণ আল্লাহ এবং তাদের রসুল (সা.) নির্দেশে নারীর সম্মান রক্ষা, অধিকার প্রদান এবং লালন-পালনে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা অন্য কোনো ধর্ম-বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মধ্যে আজ অবধি দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে কোরআন এবং হাদিসের সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং আল্লাহর রসুল (সা.) ব্যক্তিগত জীবনের কিছু উপাখ্যান আলোচনা করলে বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

একটি নারীর তিনটি রূপ বা পরিচয়কে ধর্তব্যের মধ্যে এনে আলোচনাটি শুরু করলে সর্বাঙ্গীন সুন্দর হবে বলে মনে হচ্ছে। নারীকে আমরা পাই কন্যা হিসেবে। তারপর বধূ এবং এক সময়ে মা হিসেবে। নারীর এই ত্রিভূজ রূপের বাংলা প্রতিশব্দ কন্যা-জায়া-জননী নিয়ে রচিত হয়েছে বহু কাব্য, সাহিত্য এবং উপাখ্যান। আজকের আলোচনায় আমরা ওদিকে না গিয়ে বরং কোরআন-হাদিসে কন্যা-জায়া-জননী সম্পর্কে কী বলা হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করব। প্রথমে বলে নেই কন্যা সম্পর্কে। জাহেলিয়াতের যুগে কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া রীতিমতো অবমাননাকর বিষয়ে পরিণত হয়েছিল। ফলে নবজাতিকার জন্মের পর জীবন্ত কবর দেওয়ার ঘটনা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এই কাজের জন্য রাষ্ট্র কোনো শাস্তি দিত না এবং সমাজও ঘৃণা জানাত না। কন্যা সন্তানদের পিতামাতাকে তৎকালীন সমাজ ঠাট্টা-মসকরা করত। শিশু অবস্থায় কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়া এবং যৌন নিপীড়ন ছিল প্রচলিত একটি প্রথা। গৃহপালিত পশুপাখি এবং হিংস্র জন্তু-জানোয়ারের প্রতি মানুষ যতটুকু দরদ ও ভালোবাসা দেখাত ঠিক ততটুকু স্নেহ ভালোবাসা কন্যা সন্তানদের ভাগ্যে জুটত না।

সমাজ সংসারের উপরোক্ত ভয়াবহ অবস্থায় ইসলামের আবির্ভাব হয়। যে সমাজে নারীর অধিকার তো দূরর কথা অস্তিত্বই সংকটের মুখে পড়েছিল সেই সমাজে কোরআন ঘোষণা করল যে, নারী-পুরুষ উভয়ের অধিকারই সমান। কোরআন নারী-পুরুষকে একে অপরের পরিপূরক এবং পরস্পরের পোশাক বলে অভিহিত করল। একটি পোশাক যেমন মানুষকে আবৃত করে রাখে তেমনি মানুষও তার পরিধেয় পোশাকের প্রতি অতীব সতর্ক দৃষ্টি রাখে। কারণ সে জানে যে, পোশাক সম্পর্কে সামান্য গাফেল হলে সে যেমন উলঙ্গ হয়ে পড়বে তেমনি পরিধেয় পোশাকের গুণাগুণ রং এবং পোশাকটি পরিধানের ধরন ও প্রকৃতির ওপর তার আভিজাত্য, রুচি এবং মননশীলতা নির্ভর করবে। নারীর মর্যাদা এবং মহিমা বোঝানোর জন্য পবিত্র কোরআনের সূরাসমূহের প্রতি দৃষ্টিনিবদ্ধ করা যেতে পারে। নারী জাতিকে উদ্দেশ করে নাজিলকৃত সূরাটির নাম নিসা যা কিনা আল কোরআনের বৃহত্তম সূরাগুলোর মধ্যে অন্যতম। অন্যদিকে মানব জাতিকে উদ্দেশ করে নাজিলকৃত সূরাটির নাম নাস যা কিনা আল কোরআনের ক্ষুদ্রতম সূরাগুলোর অন্যতম। ব্যক্তিগতভাবে স্বতন্ত্র একজন নারীর নামেও সূরা নাজিল হয়েছে। হজরত ঈসা (আ.)-এর মায়ের নামে নাজিলকৃত সূরাটির নাম মারিয়াম।

এবার কন্যা সন্তানের গুরুত্ব এবং তাত্পর্য সম্পর্কে হাদিস কী বলে সে সম্পর্কে আলোকপাত করা যাক। রসুল (সা.) বলেছেন— কোনো ব্যক্তির যদি তিনটি কন্যা সন্তান থাকে এবং লোকটি যদি কন্যাদেরকে আদর যত্ন করে লালন-পালনের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর দ্বীন শিক্ষা দেয় এবং সৎ পাত্রে বিয়েশাদির আয়োজন করে তবে লোকটি জান্নাতে আমি নবী মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে বসবাসের সুযোগ লাভ করবে। সর্বকালের সমাজ-সংসার এবং রাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে নবী (সা.) বলেন, তোমরা কেউ কোনো দিন কন্যা সন্তানের পিতাকে গালি দেবে না কারণ আমি মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহও (সা.) যে কন্যাদের পিতা। তিনি কন্যা সন্তানের পিতাদের উদ্দেশ করে বলেন— দূর দেশে সফরে গেলে ফেরার সময় অবশ্যই কন্যাদের জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে আসবে। ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বে সবার শেষে কন্যাদের কাছ থেকে বিদায় নেবে এবং ঘরে ফিরে সবার আগে কন্যা সন্তানদের খোঁজ করবে।

রসুল (সা.) তার কন্যা সন্তানদেরকে অতীব আদর যত্ন এবং স্নেহ ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ রেখেছিলেন। খাতুনে জান্নাত মা ফাতেমা (রা.)-এর প্রতি তার অবারিত স্নেহ মানব জাতির ইতিহাসে পিতা-কন্যার সর্বজনীন সম্পর্কের কিংবদন্তি মাইলফলক হয়ে আছে। কন্যা সন্তানের পর এবার আমরা নারী হিসেবে স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে সংক্ষেপে কিছু আলোকপাত করার চেষ্টা করব। বিয়েশাদির ব্যাপারে ইসলামী আইন হলো— নারীর সম্মতি ব্যতিরেকে কোনো বিয়ে হবে না। সম্মতির ক্ষেত্রে নারী সর্বপ্রথম ইলা অর্থাৎ তার হবু স্বামীকে পছন্দ করার ক্ষেত্রে নিজের সম্মতি জ্ঞাপন করবেন। পরে পুরুষ কবুলিয়ত অর্থাৎ নারীর সম্মতি গ্রহণ করলাম বা আমি রাজি আছি বলে বিয়েতে নিজের মতামত প্রদান করবেন। জাহেলি যুগে বিয়েতে নারীপক্ষকে যৌতুক দিতে হতো। ইসলাম যৌতুক প্রথাকে হারাম করে দিয়েছে। যৌতুক গ্রহণকে এমন গুরুতর গুনাহ বলে আখ্যা দিয়েছে যেমনি সাধিত হয়ে থাকে শুয়োরের মাংস ভক্ষণের ফলে অথবা কুকুরের মতো হারাম প্রাণীদের মলমূত্র ভক্ষণের মাধ্যমে।

বিয়েতে যৌতুককে নিষিদ্ধ করা হলেও কন্যাপক্ষ কর্তৃক উপহার প্রদানকে উৎসাহিত করা হয়েছে— তবে তা অবশ্যই কন্যার পিতার শক্তি-সামর্থ্য, রুচি এবং পছন্দের ওপর নির্ভর করবে। আল্লাহর রসুল (সা.) তার প্রিয়তমা কন্যা মা ফাতেমা (রা.)-এর বিয়েতে তোহফা হিসেবে প্রদান করেছিলেন খেজুর পাতা দিয়ে তৈরি একটি তোষক, একটি চামড়ার তৈরি কুয়া থেকে পানি তোলার মশক এবং গম পিষে আটা বানানোর জন্য একটি জাঁতা। বিয়ের পর একটি নারীর বহুমুখী অধিকার এবং মর্যাদা ইসলাম ধার্য করে দিয়েছে। নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী এবং স্বাধীন করার মানসে বিয়ের শর্ত হিসেবে মোহরানার বিধান রাখা হয়েছে। মোহরানার পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষমতা কন্যাপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। বাসর রাতের পূর্বেই মোহরানার অর্থ আদায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মোহরানার অর্থগ্রহণ এবং সেই অর্থ দ্বারা স্বাধীনভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করার অধিকার ইসলামী শরিয়ত নারীকে দিয়েছে। ইসলাম নারীকে তিনভাবে এবং একই সঙ্গে তিনটি স্থান বা সূত্র থেকে সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী মনোনীত করেছে। পিতা, স্বামী এবং সন্তানদের সম্পত্তিতে নারীর অংশীদার হওয়ার বিধান রয়েছে। মোহরানা, খোরপোশ, উপার্জিত ধনসম্পত্তি এবং উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ধন সম্পত্তি নারী স্বাধীনভাবে ভোগ, দখল, দান কিংবা বিক্রয় করতে পারবে। আর এসব কিছুই হয়েছিল আজ থেকে চৌদ্দশত বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়ত এবং হুকুমাতের মাধ্যমে।

নারীর অধিকারকে যেন কেউ ক্ষুণ্ন করতে না পারে সে জন্য ইসলামী হুকুমত দুনিয়াতে যেমন ব্যবস্থা রেখেছে তেমনি আখেরাতেও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। মোহরানার অর্থ দাবি করে মুসলিম নারী স্বামীর বিরুদ্ধে যেমন মামলা দায়ের করতে পারে তেমনি টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত সে তার স্বামীর সঙ্গে ঘর-সংসার করতে অস্বীকার জানাতে পারে। মোহরানার অর্থ পরিশোধ না করে কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীর সঙ্গে ঘর-সংসার শুরু করে তবে সেই স্বামীকে রোজ কিয়ামতে জেনাকারের কাতারে শামিল করা হবে। একজন নারী অর্থনৈতিকভাবে সফলতার স্বর্ণ সিংহাসনে আসীন থাকলেও তার খোরপোশ এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব স্বামীকেই বহন করতে হবে। একজন বিবাহিত পুরুষের জন্য তার স্ত্রীকে দুনিয়া এবং আখেরাতের জন্য উত্তম অসিলা এবং সাক্ষী বানানো হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক মহব্বত এবং সম্মান সম্পর্কে বলা হয়েছে— স্বামী-স্ত্রী উভয়ে যদি একে অপরের দিকে মহব্বতের দৃষ্টি নিয়ে তাকায় তবে উভয়ের আমলনামা থেকে সগিরা গুণাসমূহ মুছে ফেলা হবে। আল্লাহর রসুল (সা.) বলেন— তোমরা যদি একজন বিবাহিত মানুষের চরিত্র সম্পর্কে জানতে চাও তবে তার স্ত্রীর সাক্ষ্যগ্রহণ কর। অন্য একটি রেওয়াতে বলা হয়েছে— স্ত্রীদের সুপারিশ, সাক্ষ্য কিংবা প্রত্যয়ন ব্যতিরেকে কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না। জান্নাতের দরজায় লেখা রয়েছে, দাউসের জন্য জান্নাতে প্রবেশ নিষেধ। দাউস বলা হয় সেই ব্যক্তিকে যে কিনা শরিয়তের বিধান মোতাবেক স্ত্রীর হক আদায় করেনি এবং ব্যক্তিত্বের অক্ষমতা বা দুর্বলতার কারণে স্ত্রীকে স্বেচ্ছাচারী বা গাফেল হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

আমাদের সমাজের বেশির ভাগ পুরুষই হয়তো তাদের স্ত্রীদের দিকে মহব্বতের দৃষ্টি নিয়ে তাকান না। তারা সংসার জীবনের নিত্য ব্যবহার্য অন্যান্য বস্তু এবং বস্তুগত সামগ্রীর মতো টেনেটুনে দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখেন। তারা সুখময় দাম্পত্য গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা-তদ্বির করেন না কিংবা হয়তো জানেনও না। তারা দাম্পত্য সুখের জন্য আল্লাহর সাহায্য চান না বললেই চলে। অন্যদিকে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের তাগিদও খুব কম লোকেই অনুভব করেন। ইসলাম মানুষকে শিক্ষা দেয় দাম্পত্য সম্পর্ক সুন্দর এবং সুখময় করার মহত্তম উপায়সমূহ। স্বয়ং আল্লাহর রসুল (সা.) তার স্ত্রীদের প্রতি যে ইনসাফ এবং এহসান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার কিয়দংশও যদি আমরা নিজেদের বাস্তব জীবনে প্রতিষ্ঠা করি তবে ধরাধামে আমাদের একেকটি পরিবার একেকটি জান্নাতের টুকরায় পরিণত হবে। হুজুর (সা.) তার স্ত্রীদের প্রতি কতটা মহব্বত প্রদর্শন করতেন তা হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণিত নিম্নের হাদিস থেকেই বোঝা যাবে।

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘জোত্স্না প্লাবিত এক রাতে আল্লাহ রসুল (সা.) আমাকে বললেন, চল আয়েশা! আমরা বাইরে থেকে একটু বেড়িয়ে আসি। কিছু দূর এগোনোর পর রসুল (সা.) বললেন— চল আয়েশা আমরা দৌড় প্রতিযোগিতা করি— ওই যে দূরে পাথর খণ্ড দেখা যাচ্ছে আমরা দৌড় দিয়ে সবার আগে যে পাথরটিকে ছুঁতে সক্ষম হব সেই হবে আজকের রাতের বিজয়ী। আমরা উভয়ে দৌড় দিলাম এবং আমি বিজয়ী হলাম। এ ঘটনার অনেক দিন পর আল্লাহর রসুলের কথামতো আমরা আরও একটি চাঁদনী রাতে পুনরায় দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিলাম। সেবার আমি বেশ মোটা হয়ে গিয়েছিলাম। ফলে দৌড়ে আমি পরাজিত হলাম। আল্লাহর রসুল (সা.) বিজয়ী হয়ে উত্ফুল্ল হয়ে উঠলেন এবং বললেন— আয়েশা! মনে আছে! এই স্থানে বহুদিন পূর্বে তুমি আমায় পরাজিত করেছিলে! আজ বিজয়ী হয়ে সেদিনের পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণ করলাম!

নারীর তৃতীয় বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ মাতৃরূপ নিয়ে আলোচনা শেষে আজকের প্রসঙ্গের ইতি টানব। মা হিসেবে ইসলাম নারীকে সবার ওপর মর্যাদা দান করেছেন। নারীর মাতৃরূপের মর্যাদার সঙ্গে পৃথিবীর কোনো পদ-পদবি, সিংহাসন, রাজা-বাদশাহর ফরমান এমনকি পিতার আসনও তুলনীয় নয়। একজন সন্তানের নিকট তার মা হলেন সর্বোচ্চ সম্মান এবং মর্যাদার প্রতীক। জনৈক সাহাবা আল্লাহর রসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করলেন— ইয়া রসুলুল্লাহ। এই দুনিয়ায় আমি সবচেয়ে কাকে বেশি মর্যাদা দেব! রসুল (সা.) বললেন— তোমার মাকে। প্রশ্ন করা হলো— এরপর কাকে? উত্তর এলো— তোমার মাকে। আবার প্রশ্ন করা হলো— এরপর কাকে? বলা হলো— মাকে। প্রশ্নটি চতুর্থবার করা হলো এবং চতুর্থ স্তরে মর্যাদাবান ব্যক্তি হিসেবে বলা হলো— তোমার পিতাকে।

জনৈক সাহাবি আল্লাহর রসুল (সা.)-এর দরবারে হাজির হয়ে বললেন— ইয়া রসুলুল্লাহ! এই দেখুন! আমার বুড়ি মা। আমি তাকে সুদূর ইয়ামেন থেকে কাঁধে করে মক্কা নিয়ে এসেছি হজ করার জন্য। তাকে কাঁধে নিয়ে তওয়াফ করেছি— সায়ী করেছি— মুজদালেফা-আরাফার ময়দানে হজের আনুষ্ঠানিকতা করে মদিনা নিয়ে এসেছি। হে রসুল! আমি কি মায়ের হক আদায় করতে পেরেছি?  হুজুর (সা.) জবাব দিলেন— না! পারনি। আল্লাহর রসুল (সা.)-এর জমানায় কতিপয় প্রসিদ্ধ সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে তাদের মায়ের সম্পর্ক এবং শ্রদ্ধাবোধের কাহিনী আজও কিংবদন্তি হয়ে রয়েছে। হজরত আবু হোরায়রা (রা.) হজরত মুসা (আ.)-এর জমানার জনৈক মাংস বিক্রেতার কাহিনীসহ যুগ যুগান্তরের অসংখ্য অলি আল্লাহ, গাউস-কুতুব, আবেদ-আবদালের মাতৃভক্তির কাহিনী পৃথিবীর তামাম নারী জাতিকে সম্মান ও মর্যাদার সুউচ্চ শিখরে আসীন করেছে।

রসুল (সা.) বলেছেন— মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশ্ত। এই একটি বাক্য দ্বারাই ইসলামে নারীর মর্যাদার স্বরূপ সহজেই অনুমান করা সম্ভব। এই বাক্যটির দ্বারাই ইসলামে নারী-পুরুষের অবস্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। একজন পুরুষের পায়ের তলার জিনিসের কথা যদি আসে তবে যে কোনো সাধারণ মানুষ বলবেন— লোকটির পায়ের নিচে রয়েছে জুতা। আর লোকটির পায়ে যদি জুতা না থাকে— তবে তার পায়ের নিচে থাকবে ধুলা, ধুসরিত পঙ্কিল অথবা মরুময় জমিন। অন্যদিকে মাতৃরূপী নারীর পায়ের তলায় থাকে তার সন্তানদের জন্য জান্নাত। ঊর্ধালোকের জান্নাত কেবলমাত্র মায়ের মর্যাদায় ধরাধামে এসে ধরা দেয় তার পায়ের নিচে। পৃথিবীর সব নারী যদি জানতেন যে ইসলাম তাদেরকে এতসব মর্যাদা এবং অধিকার দান করেছে তবে সবাই মিছিল করে রাষ্ট্রশক্তি সমূহের নিকট দাবি তুলতেন— আর কিছু চাই না!  আল্লাহ আমাদেরকে যেসব অধিকার দিয়েছেন, শুধু সেগুলোই আমাদেরকে ফেরত দিন।

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
সর্বশেষ খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

১ সেকেন্ড আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’
‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার
মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি
কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’
‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে