শিরোনাম
প্রকাশ: ২১:১৯, সোমবার, ২২ জুন, ২০২০

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলেই স্বাধীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পেয়েছি

ড. কাজী এরতেজা হাসান
অনলাইন ভার্সন
আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলেই স্বাধীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পেয়েছি

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই মুসলিম লীগ রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ষড়যন্ত্রের ধোঁয়ায় সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। মুসলিম লীগের ‘অপশাসন’-এর বিরুদ্ধে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতির সংগ্রামের সূচনা করে। এ কারণে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে দলটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। একই সময়ে  ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছিল।

প্রকৃতপক্ষে, ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার সার্থক সংগ্রামের সূচনা হয়। কৃষক প্রধান পূর্ববঙ্গে বা বাংলাদেশেই অধিকাংশ কৃষক বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল এবং ব্রিটিশ শাসনের সময় কৃষক বিদ্রোহের অগ্নিশিখা কখনই নিভে যায়নি। বিশ শতকে পূর্ববঙ্গের বিদ্রোহী কৃষক  জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির আশায় পাকিস্তান নামক একটি ‘কল্পরাজ্য’ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেও সামিল হয়েছিল। কিন্তু ‘কল্পরাজ্য’-এর খলনায়করা যখন ঔপনিবেশিক শাসনের নতুন জিঞ্জির পরিয়ে দিতে উদ্ধত হয়, মুখের ভাষা কেড়ে নিতে বাঙালি ছাত্রদের বুকে গুলি চালায়, তখনই ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার সার্থক সংগ্রামের সূচনা হয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ পূর্ব বাংলায় ১৯৫০ দশকে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, পূর্ববাংলার ন্যায্য হিস্যা নিয়ে জনগণকে সংঘটিত করে । ১৯৬০ দশকে আওয়ামী লীগ প্রণয়ন করে বাঙালির মুক্তির সনদ ছয়দফা এবং ১৯৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় বাংলাদেশকে নিয়ে যায় স্বাধীনতার স্বর্ণদ্বারে।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন যে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হয়েছিল, সময়ের স্রোত পেরিয়ে সেই দল এখন ৬৯ বছরের পুরনো দলই বটে। যদিও সেই দলের হাতেই আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব। সেই দল যখন সরকার পরিচালনা করছে , তখনই মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পৌঁছেছে। আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের এবং উন্নত দেশ গড়ার সংগ্রামের কথা আমরা অহরহ শুনছি আওয়ামী লীগ নেতাদের কণ্ঠে। মঙ্গলবার একাত্তরে পা দিবে আওয়ামী লীগ। একটানা ১২ বছর ধরে দেশের শাসনভার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী নেতারা। 

দেশ স্বাধীন করার কৃতিত্ব নিয়েই স্বয়ং বঙ্গবন্ধুও ভেবেছিলেন সাধারণ মানুষের মন জয় করার কথা। উদ্ধৃত করতে চাই ১৯৭২ সালে ৯ এপ্রিল ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে দেয়া জাতির জনকের ভাষণ। তিনি বলেছিলেন, ‘বিরোধীদলে থাকা এক রকমের আর সরকারের পক্ষে রাজনীতি করার জন্য পন্থা এবং সেখানে গঠনমূলক কাজের দিকে মানুষকে এগিয়ে যেতে হবে। অত্যাচার-অবিচার যেন না হয় । জুলুম যেন না হয়। লুটতরাজ যেন না হয়। দেশের মানুষকে সেবা করে মন জয় করতে হবে।’

১৯৪৯ সালে দল গঠন,দলের নাম পরিবর্তন করে অসাম্প্রদায়িক দল করা এবং দেশ স্বাধীনের কৃতিত্ব থাকা সত্যেও জাতির জনককে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালে । ছয় বছর পর ১৯৮১ সালে সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ১৫ বছর সংগ্রাম করে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুনের পর দেশে প্রথমবারের মত সরকারের মেয়াদ পূরণ শেষে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রথম নজিরও স্থাপন করেছিলেন তিনিই।কিন্তু ১৯৯১ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর তাকেই কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল দলের মধ্যেই। সব কিছু অতিক্রম করেই শেখ হাসিনা এখন সবচেয়ে বেশি সময়ের সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার পদ্মাসেতু করছেন , ঢাকার অসহনীয় যানজটে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসীর সামনে মেট্রো রেল উকি দিচ্ছে, পারমানবিক বিদ্যুতের দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ , উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছে দেশ , কিন্তু আপনি এলাকায় কি সুনাম কুড়িয়েছেন ? আপনার সাঙ্গ-পাঙ্গরা কি চাঁদাবাজিতে ওস্তাদ ? আপনার নেতারা কি টেন্ডার নিয়ে ব্যতিব্যস্ত ? তারা কি সংখ্যালঘু-দুর্বলদের কাছে ত্রাস হিসেবে চিন্তিত? প্রশ্ন আরও অনেক কিছুই উঠবে আগামী ভোটের আগে।তাই আগামী ২৩ জুন শপথ নিন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা । বারবার পাঠ করুন জাতির জনকের দেয়া নানা ভাষণ । ১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি কুমিল্লার সামরিক একাডেমিতে শেখ মুজিব দৃপ্তকণ্ঠেই বলেছিলেন, ‘যদি আমরা সোনার ছেলে তৈরি করতে পারি, তাহলে ইনশাল্লাহ আমার স্বপ্নের সোনারবাংলা একদিন অবশ্যই হবে। আমি হয়তো দেখে যেতে পারবো না। কিন্তু তা হবে। আজ বাংলাদেশের সম্পদ কেউ লুট করে নিতে পারবে না । বাংলার মাটিতেই তা থাকবে, তিনি বলেছিলেন ” আমি প্রতিজ্ঞা করেছি বাংলাদেশের মাটি থেকে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, মুনাফাখোর আর চোরাচালানকারীদের নির্মূল করবো ।’ একই বছর ১৫ জানুয়ারি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে দেওয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আপনারা একবার আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করুন আমরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকবো।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের সময় বারবারই বলছি জাতির জনকের নানা ভাষণের কথা। কারণ কখনও কখনও মনে হয় উন্নয়ন করে, ডিজিটাল বাংলার শ্লোগান দিয়ে একটানা ১২ বছর ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কি অল্প হলেও ‘আত্ম অহংকারী ” হয়ে উঠছে ? দলীয় প্রধান রাতদিন পরিশ্রম করছেন, অর্থনৈতিক সূচক-পরিসংখ্যান বলছে রাষ্ট্র হিসেবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে,তাহলে কেন সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে? কেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নামে এত অভিযোগ ? কেন কথায় কথায় বলা হয় ” সব ঠিক আছে কিন্তু সুশাসনের অভাবে ম্লান হচ্ছে শেখ হাসিনার সাফল্য ?  

১৯৪৭ সালের বিভাগ-পূর্ব বাংলার মুসলিম লীগের শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিম প্রমুখ নেতারা ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাদের নেতৃত্বেই ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগ পূর্ব বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বাংলার বিধানসভার হিন্দু সদস্যগণ দেশ-বিভাগের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রদেশ বিভাগের পক্ষে রায় প্রদান করেন (পক্ষে ৫৮, বিপক্ষে ২১)। এর পর পরই মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পূর্ব বাংলার আইনসভার জন্য নেতা নির্বাচনের নির্দেশ দেয়। ৫ অগাস্ট অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে খাজা নাজিমউদ্দীন ৭৫-৩১ ভোটে সোহরাওয়ার্দীকে হারিয়ে সংসদীয় নেতা নির্বাচিত হন। খাজা নাজিমউদ্দীন ও নূরুল আমীন নেতৃত্বাধীন বাংলার মুসলিম লীগের অংশটি ছিল গণবিচ্ছিন্ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি কায়েমি রাজনীতির বলয়ভুক্ত। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বে ও পরে সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন প্রগতিশীল অংশটিকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতার বলয় থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়। বলা বাহুল্য যে, এ সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় মুসলিম লীগ পূর্ব বাংলায় জনপ্রিয়তা অর্জন করে। পাকিস্তান আন্দোলনে এদের অবদান অনস্বীকার্য। দেশ বিভাগের পর এ সকল নেতা-কর্মী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নতুন সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে থাকেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সময়ে ঢাকার ১৫০ মোগলটুলিতে অবস্থিত ছিল মুসলিম লীগের ওয়ার্কশপ ক্যাম্প। ১৯৪৪ সালের ৯ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত এই ক্যাম্পের সার্বক্ষণিক দায়িত্বে ছিলেন শামসুল হক (টাঙ্গাইল)। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এই ক্যাম্পটিকে ঘিরে প্রতিবাদী মুসলিম লীগ কর্মীরা সংগঠিত হন। মাওলানা আকরম খাঁ তখন পূর্ববঙ্গ মুসলিম লীগের সভাপতি। ১৯৪৯ সালের মে মাসের দিকে বাংলার মুসলিম লীগের তরুণ রাজনৈতিক কর্মীরা এক সম্মেলন অনুষ্ঠান করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ নেতৃত্বের কাছে একটি প্রতিনিধিদল পাঠায়। এই প্রতিনিধিদল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ সভাপতি চৌধুরী খালেকুজ্জামানের কাছে পূর্ববঙ্গ মুসলিম লীগ নেতৃত্বের ব্যাপারে আপত্তি ও অভিযোগ উত্থাপন করেন। কিন্তু মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি পূর্ব বাংলার আকরম খাঁ, নাজিমউদ্দীন প্রমুখকে জোরালোভাবে সমর্থন করেন। এতে পূর্ব বাংলার প্রতিবাদী ও তরুণ মুসলিম লীগ কর্মীরা দারুণভাবে ক্ষুব্ধ হন।

এই সময়ের আরেকটি ঘটনাও উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর আসাম ও পূর্ব বাংলার মুসলিম লীগ শাখাকে একীভূত করে পূর্ববঙ্গ মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়। এতে আসাম মুসলিম লীগের সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আলী এবং সদস্য দেওয়ান বাসেত ও দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ পূর্ববাংলা মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যভুক্ত হন। মাওলানা আকরম খাঁ এই কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নিজেই একটি নতুন কমিটি গঠন করেন। এছাড়াও পাকিস্তানি শাসকদের পূর্ববঙ্গ বিরোধী কার্যকলাপ, ভাষা-সংস্কৃতির উপর আক্রমণ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পূর্ব বাংলায় দুর্ভিক্ষ, সাধারণ জনজীবনের বিপর্যয় ইত্যাদি ঘটনাবলি মুসলিম লীগের তরুণ অংশকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। দেশ পরিচালনায় মুসলিম লীগের ব্যর্থতা, রাজনৈতিক দমননীতি শিক্ষিত সুধী সমাজকে দারুণভাবে হতাশ করে। এভাবে পূর্ববাংলার সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ভিত্তিভূমি প্রস্তুত করে দেয়।

১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। এই সম্মেলনে প্রায় তিনশ প্রতিনিধি অংশ নেন। এতে আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী ভাষণ দেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। এ কে ফজলুল হকও সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি তখন পূর্ব বাংলা সরকারের এডভোকেট জেনারেল পদে অধিষ্ঠিত। সম্মেলনে গঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম কমিটির সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সহ-সভাপতি যথাক্রমে আতাউর রহমান খান (অ্যাডভোকেট), সাখাওয়াত হোসেন, আলী আহমদ (এমএলএ), আলী আমজাদ খান (অ্যাডভোকেট), আবদুস সালাম খান (অ্যাডভোকেট), সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, যুগ্ম সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান, সহ-সম্পাদক মোশতাক আহমদ, এ কে এম রফিকুল হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ ইয়ার মোহাম্মদ খান।

আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পর ঢাকার আরমানিটোলা মাঠে প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে এই দলের যুগ্ম সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান ক্রমশ পূর্ব বাংলার মানুষের অবিসংবাদিত জননেতায় পরিণত হন এবং আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দান করেন। তার রাজনৈতিক উত্থান মূলত শুরু হয়েছিল আওয়ামী মুসলিম লীগের সূচনা থেকে।

শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানে জেলা) টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। শেখ মুজিবুর রহমান চল্লিশের দশকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪০ সালে তিনি নিখিল ভারত ছাত্র ফেডারেশনে যোগদান করেন এবং কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন এবং সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশ নেন। ১৯৪৩ সালে তিনি মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৬ সালে কলকাতায় ইসলামীয়া কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকায় মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পূর্বেই তিনি কয়েকবার কারারুদ্ধ হন। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ধর্মঘট সমর্থন করার অভিযোগে ও বিভিন্ন হল ছাত্রনেতাদেরকে বহিষ্কার ও জরিমানা করার প্রতিবাদে গ্রেপ্তার হন। কোনো জরিমানা ও সরকারের কাছে মুচলেকা দিতে রাজি না হওয়ায় ১৯৪৯ সালের ২৭ জুলাই পর্যন্ত তিনি জেলে ছিলেন। অতএব আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সময় শেখ মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না। ১৯৪৮ সালের মার্চ থেকে ১৯৪৯ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়কালে তিনি বিরোধী রাজনীতির ধরনটা আয়ত্ত করেন এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য নিজেকে তৈরি করেন। তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতি দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও মনে প্রাণে ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। তাই ঢাকায় ফিরে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধেই তরুণদের সংগঠিত করেন। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ গঠনে ভূমিকা রাখেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। যুক্তফ্রন্ট গঠন ও মন্ত্রী হিসেবেও যতটুকু সম্ভব অবদান রেখেছিলেন।

বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে আওয়ামী লীগের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাংগঠনিক দক্ষতায়, আন্দোলন-সংগ্রামে, এই অঞ্চলের জীবন-বাস্তবতার আলোকে রাজনীতি পরিচালনায়, বাঙালি জাতীয়তাবাদী ধারার বিকাশে, সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের বাস্তব রূপায়ণে এই দল একক ও অনন্য কৃতিত্বের দাবিদার। এই দলের প্রথম ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের ভূমিকায় বলা হয় যে, দেশ বিভাগের পর মুসলিম লীগ দেশ পরিচালানায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আন্দোলনে যাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা অপরিসীম, দেশ বিভাগের পর তারা নেতৃত্বে আসতে পারেনি। মুসলিম লীগ জনগণের সমস্যা সমাধানে কোনো প্রকার উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণে ব্যর্থ হয়। শাসক দল বিভিন্ন ধরনের কালাকানুন প্রণয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে অবদমিত করে রাখে। মুসলিম লীগের দৃষ্টিভঙ্গি দেশে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত এবং ভারত থেকে আগত শরণার্থীদের পুনর্বাসিত করার ক্ষেত্রে সরকার কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বিশেষত পূর্ব বাংলায় সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চরম বিশৃঙ্খলাপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের দারিদ্র্য দূরীকরণ, জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের সঠিক প্রতিফলনকল্পে একটি রাজনৈতিক দলের বাস্তব ও সময়োপযোগী প্রয়োজন থেকে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম।

দলের নামের সঙ্গে মুসলিম শব্দটি থাকায় পরবর্তীতে কেউ কেউ আপত্তি করছিলেন। এ নিয়ে দলে বেশ একটি বিরোধ তৈরি হয়েছিল, যে মুসলিম শব্দটি থাকবে নাকি থাকবে না। তখন হিন্দু এবং মুসলিম আসনে আলাদাভাবে নির্বাচন হতো। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় একটা সমঝোতা হয়েছিল যে, এই দলটি একটি অসাম্প্রদায়িক দল হবে। ওই নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে ২২৩টি আসন পায় যুক্তফ্রন্ট, যা পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সঙ্গে কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল, পাকিস্তান খেলাফত পার্টি আর নেজামে ইসলামী পার্টির সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল। আওয়ামী মুসলিম লীগ পেয়েছিল ১৪৩টি আসন।

যুক্তফ্রন্টের প্রধান তিন নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানী, এ কে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। 'যদিও মওলানা ভাসানী দলকে অসাম্প্রদায়িক করতে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়ার জন্য জোর দিচ্ছিলেন, কিন্তু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী চাইছিলেন যে মুসলিম শব্দটি থাকুন। কারণ তার ভয় ছিল, এটা বাদ হলে পশ্চিম পাকিস্তানে জনপ্রিয়তা কমে যাবে।

১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ আওয়ামী মুসলিম লীগে যে কাউন্সিল হয়, সেখানে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। ফলে অমুসলিমরাও এই দলে যোগ দেয়ার সুযোগ পান। তবে পূর্ব পাকিস্তান শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার হতে শুরু করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক ছিল, সন্দেহ নেই। এ বছরটি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ হিসেবে পালিত হচ্ছে। আগামী বছর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। আওয়ামী লীগ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য সামনে রেখেছে। এটা বড় চ্যালেঞ্জ। করোনার ভয়ঙ্কর থাবা এ চ্যালেঞ্জে জয়ী হওয়ার পথে কতটা বিঘ্ন সৃষ্টি করবে? নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। কোনো স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশ এভাবে বিশ্বব্যাংক বা পশ্চিমা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল এবং কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সক্রিয় নেতা-কর্মীরা নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কতটা সফল হবে, সেটাই দেখার বিষয়। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।

লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক ভোরের পাতা ও দ্যা পিপলস টাইমস, পরিচালক, এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প বাণিজ্য ও ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য।

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
জয়পুরহাটে স্বর্ণের দোকানে তল্লাশির সময় ধরা খেল ভুয়া ডিবি
জয়পুরহাটে স্বর্ণের দোকানে তল্লাশির সময় ধরা খেল ভুয়া ডিবি

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮
পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩
মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব
মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২
ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস
ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি
চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত
টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা
বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম
দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের
‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস
ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা
মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি
সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি

শনিবারের সকাল

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান
বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান

পরিবেশ ও জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা