শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:৫৮, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বহুমাত্রিক দার্শনিক শেখ হাসিনা

অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত
অনলাইন ভার্সন
বহুমাত্রিক দার্শনিক শেখ হাসিনা
মহীয়সী মাদার তেরেসা একবার বলেছিলেন, ‘কেবল সেবা নয়, মানুষকে দাও তোমার হৃদয়। হৃদয়হীন সেবা নয়, তারা চায় তোমার অন্তরের স্পর্শ’। এই অনন্য বাণী নিজের জীবন ও কর্মে প্রমাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষের ভরসার একমাত্র আশ্রয়স্থল তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা হিসেবে মানবতা সম্পর্কে ধারণা পাল্টে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, সৃজনশীলতা, বোধ ও ভাবনায় রয়েছে রুচির ছাপ। তাঁর চিন্তার সূক্ষ্মতা, দূরদর্শিতা নৈঃশব্দের পথ বেয়ে অনন্য মাত্রা অর্জন করেছে। তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন প্রায় চার দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী বিস্তৃত। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী। বহু বাধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সাহস ও সংগ্রামে উচ্চশিরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। 
 
দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে দেশে ফিরে এলেন বঙ্গবন্ধুর প্রথম সন্তান শেখ হাসিনা। আমাদের প্রিয় বড় আপা, পরিবারের কাছে হাসু আপা। দুর্ভাগ্য আমার, সেদিনের এই জনস্রোতের সাক্ষী আমি হতে পারিনি। যেমনটি হয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের তেজোদীপ্ত জনস্রোতের, ১০ জানুয়ারি আনন্দ উদ্বেলিত গণসমাবেশে। ১৭ মে ১৯৮১ আমি উচ্চশিক্ষার জন্য তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অডেসা শহরে ছিলাম। প্রযুক্তির এত উন্নতি তখন হয়নি বিধায় সোভিয়েত ইউনিয়নে সিএনএন এবং বিবিসি দেখা দুর্লভ ছিল। সামান্যটুকু দেখার সুযোগ হয়েছিল রাশিয়ান টিভিতে একঝলকের মতো। তবে বিবিসিতে শুনেছিলাম। ১৭ মে ১৯৮১, বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে প্রকৃতিও কেঁদেছিল। জাতির জনকের লাখ লাখ সন্তান, ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আজকের জননেত্রীকে কাছে পেয়ে আনন্দ ও বেদনার অশ্রু ফেলেছিল। সে কান্নাই ছিল আশার আলো। জন্ম যেমন প্রত্যন্ত গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায়, ঢাকায় বেড়ে উঠলেও তিনি এখনো একজন গ্রামীণ সাধারণ নারী তথা মায়ের মতো। তিনি এসেছিলেন বলেই আজ জাতির জনকের বাংলাদেশ ধাপে ধাপে ১৯৮১-এর ১৭ মে থেকে এ পর্যন্ত অন্ধকারের অমানিশা দূর করে আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর হাতেই শুরু হয় সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এ জন্য তাঁকে, বঙ্গবন্ধুর মতো বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের কাছে ছুটে যেতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাঁর গতি ছিল দুর্নিবার। তিনি জনগণকে  বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন দেশ ’৭৫-পরবর্তী ’৯০ পর্যন্ত অবৈধ আইনে পরিচালিত হয়েছিল।
 
জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধু ঢালাওভাবে রাজাকার, আলবদর, আলশামসসহ যুদ্ধ অপরাধের হোতাদের ক্ষমা করেননি। বঙ্গবন্ধুর ক্ষমার আওতায় ৩৭ হাজার বন্দী দালালের ২৬ হাজার মুক্তি পায়। যাদের কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য রাজাকারে নাম লিখিয়েছিলেন অথবা জীবন বাঁচানোর জন্য নাম লিখেছিলেন তারা এমন কোনো নৃশংস কাজ করেননি। তিনি এসেছিলেন বলেই জনগণের কাছে, সংসদের কাছে তিনি তা প্রমাণ করতে পেরেছিলেন।
 
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, চট্টগ্রামের মুসলিম লীগ নেতা নবী চৌধুরীর কথা। তিনি অনেক মুক্তিযোদ্ধাকেও রাজাকারের সনদ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। ঠিক উল্টোটা ছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী। আওয়ামী লীগ যে দালালদের সাজা দেওয়ার জন্য কিছুই করেনি যারা বলছেন, তারা কি জানেন না, বঙ্গবন্ধু ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে যে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, তা কোন পরিস্থিতিতে করা হয়েছিল এবং কাদের ফেরত আনা হয়েছিল। আনা হয়েছিল লাখ লাখ আটকে পড়া বাংলাদেশিকে। জননেত্রী না এলে যেমন যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার হতো না তেমনি বঙ্গবন্ধুর ত্রিপক্ষীয় চুক্তি না হলে আমাদের লাখ লাখ বাঙালির অবস্থা কি হতো! 
 
প্রধানমন্ত্রী ১৯৮১ সালের পর থেকে একদিনের জন্যও ভুলে যাননি, সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদ : ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ।’ তাই সুপ্রিম অথরিটি জনগণের কাছেই তিনি বারবার গিয়েছেন। রাজনৈতিক খেলার অংশ হিসেবে তিনি জেনেশুনে ও অনেক সময় নির্বাচনে গেছেন লাভ তারই হয়েছে, অর্থাৎ জনগণের দল আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হয়েছে। শুধু আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁর নেতৃত্বে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হননি এবং ক্ষমতা থেকে নামার পথও বাতলে দিয়েছিলেন। আর এভাবেই সামরিক শাসনের যবনিকাপাত ঘটল চিরতরের জন্য। শেখ হাসিনার জন্যই জে. মইনুদ্দিন, ড. ফখরুদ্দীনদের একই পরিণতি হয়েছিল। তিন জোটের রূপরেখা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা এবং বাস্তবায়নের অঙ্গীকার শুধু হয়েছিল জননেত্রীর জন্য। সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি-নীতিও শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
 
গণআদালতের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন ছিল। তিনি প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছিলেন। গণআদালতের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাঁরা জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে, তাঁর প্রত্যক্ষ সমর্থনে গণআদালত করেছেন। গণআদালত : মোকদ্দমা নম্বর ১/১৯৯২। এখানে তারা আসামি করেছেন গোলাম আযমকে, পিতা : মাওলানা গোলাম কবীর, সাকিন পাকিস্তান। তিনিই বঙ্গবন্ধুকন্যা, যিনি ১৯৮১-তে দেশে ফিরেছেন বলেই যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমসহ সব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ওপর যে কলঙ্কজনক অধ্যায় লেপন করা হয়েছে তা আংশিকভাবে হলেও মুছে ফেলা হয়েছে। যদিও বিশাল মুক্তিযুদ্ধপন্থি লোক জননেত্রীর পেছনে রয়েছে, তারপরও আমি বলব ১৯৭১-এর মতো পুরো বাঙালি জাতিকে (কিছু যুদ্ধাপরাধী এবং পাকিস্তানপ্রেমী বাদে) এক হয়ে কাজ করতে হবে। বুঝতে হবে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশকে ভালোবাসার মতো আর কেউ নেই।
 
১৬ এপ্রিল ১৯৯২ সালেই বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে সংসদে এক ঐতিহাসিক ভাষণে ’৭৫-পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে তিনি প্রস্তাব আকারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেই সেদিন সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি এ সত্য ভাষণ প্রদান করতে পেরেছিলেন। প্রস্তাবটি স্বাধীনতাকামী সর্বস্তরের জনগণের হৃদয় জয় করেছিলেন যা হলো নিম্নরূপ ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধাচরণ, যুদ্ধ ও গণহত্যাসহ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সাধন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার পরও পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারের নামে বাংলাদেশের বিরোধিতা, নিবন্ধীকৃত বিদেশি নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে বেআইনি তৎপরতায় লিপ্ত পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ১৯৯২-এর ২৬ মার্চ গণআদালতে জনগণের যে মতামত প্রতিফলিত হয়েছে তাকে প্রতিফলন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ আন্তর্জাতিক ক্রাইম (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট-১৯৭৩ অনুসারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ বিচারের আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গোলাম আযম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রসিকিউশন ও বিচারের ব্যবস্থা করবে। বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ জনগণের মতামত প্রতিফলনকারী গণআদালতের উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অসম্মানজনক মামলা দায়েরের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ওই মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।’
 
‘আমি আশা করি, আর কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে না থেকে শত শহীদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে, শত লাঞ্ছিত মা-বোনের ইজ্জতের প্রতি সম্মান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও লক্ষ্যকে প্রতিষ্ঠিত রেখে একটা নরঘাতক গোলাম আযমের বিচারের প্রশ্নে আর কোনো দ্বিমত কেউ রাখবেন না। এই আশা পোষণ করে আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি। ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ সেই ১৭ মে ১৯৮১ তিনি একা এসেছিলেন। লাখ লাখ মানুষ তাঁকে স্বাগত জানিয়ে অশ্রুজলে বরণ করে নিয়েছিল। হয়তোবা ক্ষণিকের জন্য হলেও তিনি মা-বাবা, ভাই-বোনকে হারানোর ব্যথা ভুলেছিলেন যা কখনো ভোলার নয়। যা তিনি প্রতিনিয়তই অশ্রুসিক্ত নয়নে স্মরণ করেন। সেদিন তিনি দেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন একজন গণতন্ত্রকামী নেত্রী হিসেবেই শুধু নয়, একজন বিপ্লবী কমান্ডার হিসেবে। মানিক মিয়া এভিনিউর সেই জনসমুদ্রে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি ঘোষণা করলেন ‘সব হারিয়ে আমি আজ এসেছি, বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিতে। আমার আজ হারানোর কিছু নেই।’ এ যেন জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণেরই পুনঃঅঙ্গীকার। যোগ্য পিতার সুযোগ্য কন্যা। তিনিই হলেন ইতিহাসের একমাত্র জগৎ নন্দিনী এবং জনমদুঃখিনী রাষ্ট্রনায়ক।
 
জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তাঁর স্বপ্নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলার মানুষ। আর আজকের বিজ্ঞান-প্রযুক্তির এই সময়ে আমাদের সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও বাঙালির চেতনার নির্ভরতার প্রতীক শেখ হাসিনা। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর নেতৃত্বে একুশ শতক হবে বিশ্বের বুকে বাঙালির উত্থানের শতক, জেগে ওঠার শতক। তিনি বিরোধী দলের নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮১ সাল থেকে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। জনগণের বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৬-২০০১ সালে। ২০০৮ থেকে বর্তমানে চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত। বিশ্ব জনমতে, ২০১৮ তে ফোর্বস সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় তাঁর অবস্থান ছিল ২৬তম।
 
শেখ হাসিনা দেশের সামষ্টিক উন্নয়নে নিয়ত পরিশ্রম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কর্মপ্রেরণা নৈতিক শক্তিরূপে গেঁথে আছে জননেত্রীর মনে। তিনি কঠোর পরিশ্রমী ও স্বাপ্নিক। তাঁর হাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। জনকল্যাণে দিনরাত কাজ করছেন। তিনি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, অবকাঠামো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। তাঁর শাসনামলে দেশের আর্থসামাজিক খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে তাঁর সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং-সম্পূর্ণতা অর্জন। এ ছাড়া, তিনি কৃষকদের কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩,২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, চিকিৎসাসেবার জন্য সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন প্রভৃতি। ২০১৪ সালের পর বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ, ভারতের পার্লামেন্ট কর্তৃক স্থল সীমানা চুক্তির অনুমোদন, মাথাপিছু আয় প্রায় ২০০০ মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ, ৩৬ বিলিয়ন ডলারের ওপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন শুরু ইত্যাদি। 
 
মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনা নিবেদিতপ্রাণ। তাঁর দেশপ্রেম ও সুচারু সিদ্ধান্তের জন্য বাংলাদেশের অগ্রগতি বহির্বিশ্বে সুনাম অর্জন করছে। ইতিমধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিশ্বের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠান তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছে। তিনি অনন্য মানবিতকতার অধিকারী। সাধারণ দরিদ্র মানুষকে সহজে জড়িয়ে নেন তাদের উদারভাবে সাহায্য করেন। শিল্প-সাহিত্য অনুরাগী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের একমাত্র নির্ভরতার প্রতীক। একজন লেখক হিসেবে তাঁর সুনাম রয়েছে। লিখেছেন অনেক বই, সম্পাদনা করেছেন বঙ্গবন্ধুর নিজের ডাইরি এবং পাকিস্তান সরকার কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ওপর নজরদারি, অত্যাচার এবং গোয়েন্দা রিপোর্টের অনেক প্রামাণ্য দলিল। তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, ‘ওরা টোকাই কেন?’, ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’, ‘দারিদ্র্য বিমোচন, কিছু ভাবনা’, ‘আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম’, ‘আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’, ‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’, ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’ প্রভৃতি। তাই এক কথায় বলতে গেলে তিনি একজন বহুমাত্রিক দার্শনিক। 
রাজনীতি শব্দটার সঙ্গে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ শব্দ ঐতিহাসিকভাবে সংযোজিত হয়, যেমন পলিটিক্যাল ফিলোসফার, পলিটিক্যাল এক্টিভিস্ট ইত্যাদি। ইতিমধ্যে তিনি রাজনীতির দার্শনিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাজনীতির ভূমিকা এবং রাজনৈতিক আন্দোলনসহ রাজনীতির প্রতিটি কোনায় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্বচ্ছন্দ বিচরণ ও দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। শেখ হাসিনার নাক, কান ও গলা রোগের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে তাঁর কাছ থেকে অনেক শিখেছি। একটি কথা না বললেই নয়, আমরা নাক, কান, গলার চিকিৎসক কারও গলার গভীরে কাঁটা বিঁধলে সাধারণ অবচেতন অর্থাৎ অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করে অ্যান্ডোসকোপের সাহায্যে বের করি। তাঁর কাছ থেকে শিখেছি গলার একটি অংশকে কীভাবে উপরে ঠেলে দিয়ে কাঁটা বের করা যায়। আমার পেশাগত জীবনে এটি এক বড় অবদান। তাছাড়াও Nafal douching এর মতো এক বিশেষ চিকিৎসা, আমি রোগীদের ওপর প্রয়োগ করে সেবার মান বৃদ্ধি করতে পেরেছি। 
জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে বিশ্বাসী এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন তাঁর জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। উপমহাদেশের রাজনীতিতে তিনি অনন্য কণ্ঠস্বর। তাঁর শির উন্নত। একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে, সংসদ নেতা হিসেবে অসীম সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে দেশের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সমকক্ষ অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ বিরল। জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতেই সবচেয়ে নিরাপদ। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিন। তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। সুস্থ কর্মজীবন কামনা করি। জয়তু জাতির জনক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকন্যা। বহুমাত্রিক দার্শনিক, মাদার অব হিউমিনিটি শেখ হাসিনার জয় হোক। জয় বাংলা। 
 
লেখক: সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
 
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
সর্বশেষ খবর
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে
গ্যাসসংকট : সাগরে অনুসন্ধান জোরদার করতে হবে

৮ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ এপ্রিল)

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা
রাজনৈতিক বিষয়ে নববী প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়
বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ে জীবনের বিপর্যয়

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা
ছেলেদের সামনের চুল বড় রাখা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)
হাজার বছরের যে প্রাচীন নগরী জয় করেন খালিদ (রা.)

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের
অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঢেউয়ের তাণ্ডব, প্রাণ গেল ৫ জনের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ
‘তথ্যসন্ত্রাস করে থামানো যাবে না’ প্রথম আলোকে হাসনাত আবদুল্লাহর চ্যালেঞ্জ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার
বিদেশে শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের ষড়যন্ত্রে যুবক গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন
তাহসানকে সঙ্গে নিয়ে ভিভো ভি৫০ লাইট উন্মোচন

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা
আবুধাবিতে বাংলা বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর
গোবর দিয়ে ক্লাস ঠান্ডা; প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরেও গোবর

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন
ড. ইউনূসকে ডোবাচ্ছেন না ভাসাচ্ছেন

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!
যেমন গয়না পছন্দ করেন মিমি!

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়
৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও বার্সেলোনার দুর্দান্ত জয়

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের
দ্বিতীয় দফার পরমাণু আলোচনা: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অগ্রগতির বার্তা ইরানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার
সৌদিতে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী
আইপিএল মাতালেন ১৪ বছরের সূর্যবংশী

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান
পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাচ্ছেন ওমানের সুলতান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক
যশোরে হত্যা মামলার আসামি আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
আনন্দ-উল্লাসে কম্বোডিয়ায় পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা
শ্রীপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত
শিঙাড়া খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার
নাটোরে জুঁই হত্যার ঘটনায় ৫ শিশু গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’
‘বাংলাদেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার দরকার’

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার
মানুষের দৃষ্টিসীমার বাইরে নতুন রঙ ‘ওলো’ আবিষ্কার

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি
কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের এডহক কমিটি

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’
‘বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব, তবুও ভারতের কর্তৃত্ববাদ স্বার্থক হতে দিব না’

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সম্পাদক অপু

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

১৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
জাতীয় সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি
কারাবন্দীদের ‘অন্তরঙ্গ’ সময় কাটানোর ব্যবস্থা করল ইতালি

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল
জোট সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন বিলাওয়াল

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি
নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল, ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএমপি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন
ফরিদপুরের যুবক সিংকুকে বিয়ে করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন শ্যারন

রকমারি

সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি
সংস্কার নির্বাচনে বিভক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি
বিদেশি বউ নিয়ে ভালোই আছেন তিন দম্পতি

রকমারি

সুফল মেলেনি ট্রানজিটে
সুফল মেলেনি ট্রানজিটে

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের  সংসার
জার্মান বউকে নিয়ে যেমন চলছে আব্রাহামের সংসার

রকমারি

সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র
সক্রিয় ভয়ংকর মামলা চক্র

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি
ড. ইউনূসের বিশ্বব্যাপী সুপার ডিপ্লোম্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে
হতাশার কিছু নেই নির্বাচন হতেই হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন
নাজমুলদের চোখে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট
মহাসড়কে ব্যাটারি রিকশার দাপট

নগর জীবন

মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার
মিসরের নুরহানকে নিয়ে সমশেরের সুখের সংসার

রকমারি

আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে
আস্থা ফিরছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে
শ্রীলঙ্কার যুবক ছুটে এলেন প্রেমিকার ডাকে

রকমারি

১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট
১৯৬ দেশে যাচ্ছে রেড অ্যালার্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে
স্বৈরাচারের দোসররা নতুন ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা
শঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ
অভিনেত্রী শাবানার উদ্বেগ

শোবিজ

সিনেমা হলের এ কি হাল?
সিনেমা হলের এ কি হাল?

শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিক্ষা-সংস্কৃতি অনির্বাণ’

শোবিজ

প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...
প্রশংসিত নায়িকা বুবলী...

শোবিজ

রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা
রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বার্সেলোনা

মাঠে ময়দানে

মেহজাবীনের চাওয়া
মেহজাবীনের চাওয়া

শোবিজ

সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে
সিলেটে খেলা কিছুটা কঠিন হবে

মাঠে ময়দানে

স্বাধীনতা কাপ ভলিবল
স্বাধীনতা কাপ ভলিবল

মাঠে ময়দানে

ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ
ঋতুপর্ণার চ্যালেঞ্জ

শোবিজ

ঢাকায় হুনানের গভর্নর
ঢাকায় হুনানের গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য
শিগগিরই নিষিদ্ধ হচ্ছে তিন প্লাস্টিক পণ্য

নগর জীবন

সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ
সংসদে আসন ৬০০ করার সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
জটিল সমীকরণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে