শিরোনাম
প্রকাশ: ২০:৩৭, মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ: বঙ্গবন্ধু থেকে জননেত্রী

ড. কাজী এরতেজা হাসান
অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ: বঙ্গবন্ধু থেকে জননেত্রী

২৩ জুন ২০২১ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আওয়ামী লীগ এ উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন দল। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অর্জন অনেক। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে কোন স্বাধীন ভূ-খণ্ড ছিল না। আওয়ামী লীগ অতুলনীয় রাজনৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন বিশ্বমানের একজন নেতা তৈরি করেছে। 

বিশ্ব রাজনীতির হাজার বছরের ইতিহাসে একটি রাজনৈতিক দলের একজন নেতার একক নেতৃত্বে মাত্র ২২ বছরের কম সময়ের মধ্যে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার কোনো দ্বিতীয় নজির নেই। শেখ মুজিব তার ৪ দশকের রাজনৈতিক জীবনে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। ঠিক তেমনিই জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা হিসাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। এই করোনাকালীন মহামারীর সময়েও একক নেতৃত্ব আর দুরদর্শিতার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এ যেন রাজনৈতিক পরম্পরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু লড়াই, সংগ্রাম আর আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। তার কন্যা হিসাবে শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিতে বিশ্বের বুকে মর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত করছেন। 

আজকের ঐতিহাসিক এই দিনে আমি আওয়ামী লীগের ৭২ বছরকে মোটা দাগে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের পুরোভাবে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। মাঝখানে ৬ বছর বাদ দিয়ে ৪০ বছর ধরে দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

পিতা ও কন্যার মধ্যে আওয়ামী লীগে কার অবদান বেশি- সেই বিচারের ভার ইতিহাসের। তবে এটুকু বলতে পারি, কঠিন চড়াই-উতরাইয়ের ভেতর দিয়ে ৭২ বছরের আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে আনতে নিঃসন্দেহে পিতা-কন্যাই সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। দৃঢ়তার সাথেই বলতে পারি, একে অপরের পরিপূরক। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যথার্থই বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। আর দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা।’

এটা ঠিক, আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ গঠনের পর থেকেই পশ্চিমা শোষক, শাসক ও পাকিস্তান সামরিক চক্র এ দলের বিরোধিতা করে আসছে। পাকিস্তানের ২২ বছরে প্রায় ১২ বছর শেখ মুজিবকে জেলে অন্তরীণ রাখা হয়। শুধু পূর্ব বাংলার মানুষের পক্ষে ন্যায্য কথা বলার জন্য শেখ মুজিবকে দু’বার ফাঁসির মঞ্চে যেতে হয়েছে। শেখ মুজিব তার কঠিন রাজনৈতিক জীবনে কোনদিন আত্মগোপনে যাননি। তিনি যে কতবার গ্রেফতার হয়েছেন, এর সঠিক হিসাব এ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। জেলে যাওয়ার জন্য একটি ছোট্ট বেডিং সব সময়ই রেডি থাকতো। জেলখানাকে বলা হতো মুজিবের দ্বিতীয় বাসভবন। বাংলা ও বাঙালির দুঃখী মানুষের নেতা শেখ মুজিবের কোন পারিবারিক জীবন ছিল না। জেল থেকে বের হয়ে নৌকায়, সাইকেলে ও হেঁটে সারা বাংলা ঘুরে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন।

প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের চাটুকার গভর্নর মোনায়েম খান প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমি যতদিন গভর্নর থাকব, শেখ মুজিব ততদিন সূর্যের মুখ দেখতে পারবে না।’ অর্থাৎ মুজিবকে জেলের ভেতরেই থাকতে হবে। মোনায়েম খান এমন কথাও বলেছিলেন, ‘কোন সরকারি কর্মকর্তা শেখ মুজিবের মেয়েকে বিয়ে করলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে।’ কিন্তু ফাঁসির মঞ্চে নিয়েও সাহসের বরপুত্র শেখ মুজিবকে দমাতে পারেনি। আসলে শেখ মুজিবের লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কামিয়াব হন। তরুণ নেতা শেখ মুজিবসহ অন্য নেতারা পাকিস্তান সৃষ্টির অব্যবহিত পরেই বুঝে ফেলেন, এ অদ্ভুত আকৃতির দেশ দীর্ঘকাল টিকে থাকবে না। ১৯৪৯ সালের ১৮, ১৯ ও ২০ জুন পূর্ববঙ্গ মুসলিম লীগের দ্বিতীয় কাউন্সিলে মুসলিম লীগের প্রথম সারির নেতা চৌধুরী খালিকুজ্জামান পূর্ব বাংলার নেতাদের একাংশকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেন।

এই সম্মেলনের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা ১৯৪৯-এর ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলির কেএম দাশ লেনে অবস্থিত রোজ গার্ডেন হলরুমে আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে একটি সম্মেলনে মিলিত হন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। শেরেবাংলা একে ফজলুল হক সম্মেলনে কিছুক্ষণের জন্য উপস্থিত থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। সভায় পূর্ব বাংলায় একটি আসনের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমএলএ) শামসুল হক ‘মূল দাবি’ নামক একটি লিখিত পুস্তিকায় পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ, জনগণের প্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সারা দেশ থেকে শ’তিনেক প্রতিনিধি ওই সম্মেলনে উপস্থিত হন। এই সম্মেলনেই পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠন করা হয়। মওলানা ভাসানীকে সভাপতি ও শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে ৪০ সদস্যবিশিষ্ট সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়। যুবনেতা শেখ মুজিব কারাগারে থেকেই মাত্র ২৯ বছর বয়সে দলের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।

কমিটির অন্য নেতারা হলেন- সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান, সাখাওয়াত হোসেন (ঢাকা চেম্বারের প্রেসিডেন্ট), আলী আহমদ এমএলএ, অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ খান, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম খান, ২নং যুগ্ম-সম্পাদক খোন্দকার মোশতাক আহমদ, সহ-সম্পাদক- একেএম রফিকুল হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ- ইয়ার মোহাম্মদ খান।

কারাগার থেকে যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত শেখ মুজিব মুক্তিলাভ করেন জুলাইয়ের শেষ দিকে। জেল থেকে বের হয়ে তিনি বিরাজমান খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করেন। শেখ মুজিব সেপ্টেম্বরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের দায়ে গ্রেফতার হয়ে কয়েকদিন পর বের হয়ে আসেন। অক্টোবরে আওয়ামী মুসলিম লীগের সভায় পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিনের পদত্যাগ দাবি করেন শেখ মুজিব। ১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ মুজিব দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর আগে শামসুল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

স্বাধীনতা লাভের মাত্র ৮ বছরের মাথায় ১৯৫৫ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ কার্যকরী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ‘পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দেয়া না হলে দলীয় সদস্যরা আইনসভা থেকে পদত্যাগ করবেন।’ এভাবেই আওয়ামী লীগ স্বায়ত্তশাসন দাবির মাধ্যমে স্বাধীনতার সোপান তৈরি করে। গোড়া থেকেই পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় যে শেখ মুজিবের ছিল, তা গণপরিষদের প্রদত্ত তার বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়। ২৫ আগস্ট (১৯৫৫) করাচিতে পাকিস্তান গণপরিষদে প্রদত্ত বক্তব্যে শেখ মুজিব বলেন, ‘আমরা বহুবার দাবি জানিয়েছি যে, আপনারা পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলা নামে ডাকেন। বাংলা শব্দটার একটা নিজস্ব ইতিহাস আছে, আছে এর একটা ঐতিহ্য। এই নাম আপনারা আমাদের জনগণের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরিবর্তন করতে পারেন। আপনারা যদি ওই নাম পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আমাদের বাংলায় আবার যেতে হবে এবং সেখানকার জনগণের কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে তারা নাম পরিবর্তনকে মেনে নেবে কিনা।’ এভাবে আইনসভায় পশ্চিম পাকিস্তানিদের আপনারা আর পূর্ব পাকিস্তানিদের আমরা বলে উল্লেখ করে মুজিব জানান দিলেন, পাকিস্তান এক সময় দুই টুকরা হয়ে যাবে।

ওই বছরই (১৯৫৫) ২১ অক্টোবর দলের বিশেষ কাউন্সিলে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কাউন্সিলে শেখ মুজিব দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালের ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগের সভায় প্রশাসনে সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিত্বের বিরোধিতা করে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৫৭ সালের ৩০ মে শেখ মুজিব পুরো সময় দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। আওয়ামী লীগ আজকে বঙ্গবন্ধু ও দলের সেই আদর্শ থেকে দূরে সরে এসেছে। ওই সময় সিদ্ধান্ত ছিল, যিনি মন্ত্রী হবেন, তিনি দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারবেন না। ১৯৭২ সালে দলের বিশেষ কাউন্সিলে অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়ে দিলে জিল্লুর রহমান সেই পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে ওই পদে আসেন এএইচএম কামারুজ্জামান।

আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস। একটি মাত্র লেখার মাধ্যমে এই ঐতিহ্যবাহী দল সম্বন্ধে কোনোকিছুই লেখা সম্ভব নয়। আইয়ুবের সামরিক শাসনের বেড়াজালের মধ্যে ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিবের বাসভবনে অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত করা হয়। ১৯৬৬ সালের ২০ মার্চ শেখ মুজিব সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে ৬-দফা দাবি পেশ করেন বাংলার নেতা মুজিব। আওয়ামী লীগ নেতারা ৩ মাসের প্রচারণায় ছয়-দফাকে জনপ্রিয় দাবিতে পরিণত করে তোলেন।

এরপর আবার শুরু হলো গ্রেফতার, হয়রানি, নির্যাতন। আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। বেশ কয়েকবার গ্রেফতার ও জামিনে মুক্তির পর ’৬৬-এর ৮ মে রাতে মুজিব, তাজউদ্দীনসহ বড় নেতাদের গ্রেফতার করা হয় দেশরক্ষা আইনে। গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও ছয় দফার সমর্থনে স্বৈর-সামরিক শাসনের মধ্যেই ৭ জুন সফল হরতাল পালন করা হয়। এরপর মুজিবকে হত্যার জন্য নয়া ষড়যন্ত্র করে আইয়ুব-মোনায়েম চক্র। ১৯৬৮-এর ৩ জানুয়ারি শেখ মুজিবকে এক নম্বর আসামি করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হলো আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। ১৭ জানুয়ারি রাতে বঙ্গশার্দুল মুজিবকে মুক্তি দিয়ে জেলগেটে পুনরায় গ্রেফতার করে সেনানিবাসে আটক রাখা হয়। ষড়যন্ত্র মামলার বিচার শুরু হয় ১৯ জুন। এ সময় জেলে থেকেই শেখ মুজিব বাংলার মানুষের মুকুটহীন সম্রাটে পরিণত হন।

গণঅভ্যুত্থানে ১৯৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে মুজিবসহ ৩৪ জনকে মুক্তি দেয়া হলো। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে ঢাকা কারাগারে গুলিতে হত্যা করে পাকি সামরিক চক্র। ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ লোকের সমাবেশে শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ’৬৯-এর ৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দীর স্মরণসভায় পূর্ব পাকিস্তানের নামকরণ করেন বাংলাদেশ। ১৯৬৯-এর ২৫ মার্চ আইয়ুবের বিদায়ের পর জেনারেল ইয়াহিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর বড় অর্জন বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশে পরিণত করা। ’৭০-এর ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব বাংলায় ১৬৯ (১৬২+৭) আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬৭ (১৬০+৭) আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮টি পায় আওয়ামী লীগ। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে ইয়াহিয়ার সামরিক চক্র।

৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের কামান-বন্দুকের সামনে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনসহ সারা বাংলাদেশে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ানো হয়। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সামরিক চক্র বাংলার নিরস্ত্র মানুষের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। ওই রাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রবাসী সরকার শপথ গ্রহণ করে। শত্রুর হাতে বন্দী বঙ্গবন্ধু মুজিবকেই করা হয় রাষ্ট্রপতি। বঙ্গবন্ধুর নামেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও তাজউদ্দীন আহমেদ এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামদের যোগ্য পরিচালনায় ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর দেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে আসেন।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার মাত্র দশ মাসে জাতিকে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য সংবিধান উপহার দেয়। সরকার অল্প সময়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশের স্বীকৃতি আদায় করে। স্বাধীনতার শত্রুরা সাড়ে তিন বছরের মাথায় সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

জিয়ার সামরিক চক্র আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে ১৯৭৮ সালে বিএনপি গঠন করে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা তিনজনই জাতির পিতা হত্যার বিচার বন্ধ, স্থগিত ও আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করেন। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কামড়াকামড়ির মধ্যে দিল্লি প্রবাসী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হন। ১৭ মে দেশে ফিরে তিন ভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৩ মাসের মধ্যে ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর সেনাপ্রধান জিয়া উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। এরপর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির গদি ছিনতাই করে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। ঘাতক সর্দার জিয়া শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যা-ষড়যন্ত্রে মদদ দেননি, তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেন। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানের দালালদের ক্ষমতায় বসান। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করেন।

আমি মনে করি, ইতিহাস একদিন বলবে; মুক্তিযোদ্ধা জিয়া প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতাযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী ছিলেন। এটা যদিও এখন দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেছে এ বিষয়ে। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা তিনজনই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। এ তিন কুচক্রী মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানে পরিণত করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা নেতৃত্বে এসে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনেন। জিয়া-এরশাদ তো স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রায় পূর্ব পাকিস্তানে রূপান্তরিত করেছিল। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা আসলে জিয়ার বানানো পূর্ব পাকিস্তানেই ফিরে আসেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজনীতি করে বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগকে ভারতীয় কংগ্রেসের ধারায় ফিরিয়ে এনেছেন।

১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতীয় কংগ্রেস একাধারে ৩০ বছর ক্ষমতায় ছিল। কংগ্রেসের নেতৃত্বেই ভারত স্বাধীন হয়। স্বাধীনতাবিরোধী জিয়া চক্র বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সাড়ে তিন বছরের মাথায় রাষ্ট্রপিতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করে। শেখ হাসিনা জনক হত্যার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা ২০০৮ থেকে পর পর ৩ বার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এনেছেন। যদ্দুর জানা যায়, গণতান্ত্রিক বিশ্বে ভোটের মাধ্যমে এভাবে অন্য কোন নেতা শেখ হাসিনার মতো ৪ বার নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়নি।

আজকের এই বাংলাদেশ, বর্হিবিশ্বে আমরা গর্বিত জাতিতে পরিণত হয়েছি। বিশ্বের বুকে এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি যারা বলতো, তারাই এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করায় জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশীরা এখন মর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত হয়েছেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই। বিশ্ব মোড়লদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অর্থনৈতিক সক্ষমতার সফলতা দেখিয়ে চলছেন নিরন্তর। আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যে দলটি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের জন্য রাজনীতি করে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে যতদিন বাংলাদেশ, ততদিনই নিরাপদ এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। আমাদের সকলের উচিত শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করা।  আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক:
সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক ভোরের পাতা, দ্য পিপলস টাইম
সহ-সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ
সদস্য, কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
পরিচালক, এফবিসিসিআই
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ইরান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে
স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে

এই মাত্র | বাণিজ্য

কক্সবাজারে রাখাইনদের বর্ণিল বর্ষবরণ
কক্সবাজারে রাখাইনদের বর্ণিল বর্ষবরণ

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার
শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জয়পুরহাটে স্বর্ণের দোকানে তল্লাশির সময় ধরা খেল ভুয়া ডিবি
জয়পুরহাটে স্বর্ণের দোকানে তল্লাশির সময় ধরা খেল ভুয়া ডিবি

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮
পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩
মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব
মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২
ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস
ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি
চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত
টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা
বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম
দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের
‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস
ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা
মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি
সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি

শনিবারের সকাল

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান
বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান

পরিবেশ ও জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা