শিরোনাম
প্রকাশ: ১৪:১৯, মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২২

জিয়া বীরউত্তম মুক্তিযোদ্ধা, খালেদা জিয়া নন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অনলাইন ভার্সন
জিয়া বীরউত্তম মুক্তিযোদ্ধা, খালেদা জিয়া নন

করোনার মহাপ্রাদুর্ভাবের মধ্যেই ২০২১ পার করে এলাম। সবাই আশা করব করোনার ২০২১-এর চেয়ে ২০২২ সাল নিশ্চয়ই স্বস্তির ও আনন্দের হবে, হবে গণতন্ত্রের, মানুষের কল্যাণের। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের হুমকিতে আবার সারা পৃথিবী নড়েচড়ে উঠেছে। আমাদের দেশে ওমিক্রনের প্রভাব পড়বে কি না সে শুধু জগৎস্রষ্টা আল্লাহ রব্বুল আলামিনই জানেন। একজন মানুষ হিসেবে আশা করব আমরা ভালো থাকব, স্বস্তিতে থাকব। যদিও রাজনৈতিকভাবে দেশ তেমন স্বস্তিতে নেই, শান্তিতে নেই। কেন যেন সবাই লাগামহীন কথাবার্তা বলেন। কারও প্রতি কারও খুব একটা সমীহ বা সৌজন্য নেই। যে যেভাবে পারেন, যার মুখে যা আসে তা-ই বলেন। সবই কেমন যেন ফ্রিস্টাইল। আমি আন্তরিকভাবেই লিখেছিলাম, বেগম খালেদা জিয়া সত্যিই কি মুক্তিযোদ্ধা? নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলার তার কি কোনো সুযোগ আছে? তিনি নিশ্চয়ই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন, মুক্তিযোদ্ধা বলে তাঁকে সম্মানিত নয় নতুন প্রশ্নের মুখে ফেলা হচ্ছে। খুব সম্ভবত ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির এক মস্তবড় জনসভায় আমাকে অনেকটা ব্যঙ্গ করেই ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া ১ নম্বর নারী মুক্তিযোদ্ধা’। বিস্মিত না হয়ে পারিনি, আজকের ফখরুল ইসলাম আর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ফখরুল ইসলাম এক নন, এক অবস্থানেও নন। তাই কিছুদিন যাবৎ বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর তার চেষ্টা বা উদ্দেশ্য পুরোপুরি বুঝতে পারছি না। বেগম খালেদা জিয়া এক দিনের জন্যও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিলেন না। হ্যাঁ এটা ঠিক, বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়াউর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য দুবার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি যাননি বা যেতে পারেননি এটা ভিন্ন কথা। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তিনি যদি পা না বাড়িয়ে থাকেন সেটা কোনো দোষের নয়, তিনি পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন তাই তাঁর কিছুই করার ছিল না। অত বড় একটা পশুশক্তির হাতে যারা বন্দি ছিলেন তাঁরাই শুধু বলতে পারেন তাঁদের জীবন কতটা দুর্বিষহ। বেগম জিয়ার পাকিস্তান হানাদারদের হাতে বন্দি থাকাই প্রমাণ করে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে হঠাৎই জড়িয়ে পড়েছিলেন, তাৎক্ষণিকভাবে পরিবার-পরিজনের কথা, তাদের নিরাপত্তার কথাও ভাবার সুযোগ পাননি। অন্যদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মা-ভাই-বোনসহ আটক ছিলেন। আটক অবস্থাতেই সন্তান জন্ম দেন। আল্লাহর কি কুদরত, পাকিস্তান হানাদারদের হাতে বন্দি দুজন সম্মানিত মহিলা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। একেই বলে আল্লাহর কুদরত। কিন্তু বিএনপি মহাসচিব হঠাৎ বেগম খালেদা জিয়াকে কেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বানানোর চেষ্টা করছেন, তা-ও আবার ১ নম্বর নারী মুক্তিযোদ্ধা- এর কোনো মানে বুঝতে পারছি না। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা এটা ভাবীকালে কী করে প্রমাণ করা হবে বা করা যাবে বুঝতে পারছি না। তবে শত বছর পর বেগম খালেদা জিয়ার নাম যদি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ওঠে তাহলে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগবে তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন, কী অস্ত্রে যুদ্ধ করেছেন অথবা অস্ত্রশস্ত্র না নিয়েই যদি মুক্তিযুদ্ধে শরিক হয়ে থাকেন তাহলে সেটা কোথায়- নিশ্চয়ই জায়গাটি খোঁজার চেষ্টা হবে। কিন্তু যখন দেখা যাবে তিনি সব সময় ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন তখন আরও প্রশ্ন উঠবে তাহলে কি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টগুলো মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প ছিল? হ্যাঁ এটা ঠিক, পাকিস্তানি অফিসাররা কিছু কিছু বইপত্রে লিখেছেন যাতে অনেকটাই তখনকার অবস্থা বেরিয়ে এসেছে। কী এক পাকিস্তানি কর্নেল বা ব্রিগেডিয়ারের বই পড়েছিলাম। তার তিন-চার বছরের ছেলে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দিকে ‘জয় বাংলা, জয় বাংলা’ বলে বাড়িঘর মাথায় তুলত। এটা ঠিক, মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় ‘জয় বাংলা, জয় বাংলা’ স্লোগানে পূর্ব পাকিস্তানের আকাশ-বাতাস, নদী-নালা, খাল-বিল উত্তাল ছিল। যে জয় বাংলা ছিল বাঙালির শ্বাস-প্রশ্বাস। সঠিকভাবে চালাতে বা চলতে না পারার কারণে স্লোগানটি সমগ্র জাতির না হয়ে এখন একমাত্র আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগানে পরিণত হয়েছে। সেই স্লোগানও আবার আওয়ামী লীগের ভক্ত-অনুরক্ত-কর্মী বাহিনীর কণ্ঠে বুক উজাড় করা মনে হয় না। স্লোগান তুলতে হয় তাই তোলে। আমরা যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পাকিস্তানিদের পরাজিত করেছিলাম, বর্তমানে সেই জয় বাংলা পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান স্লোগান হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারাই ইদানীং যে দৃঢ়তার সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গে জয় বাংলা স্লোগান তোলে, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা তার চাইতে হাজার গুণ বেশি হৃদয়ের সব শক্তি একত্রিত করে জয় বাংলা স্লোগান দিতাম। আমাদের উচ্চারিত জয় বাংলা যেমন মাকে মনে করিয়ে দিত, তেমনি দেশ ও দেশের মাটিকে মনে করাত। সে ছিল খাঁটি সোনা। বিন্দুমাত্র খাদ ছিল না। যে সন্তান মাকে ভালোবাসে সে মায়ের জন্য যেমন সবকিছু ত্যাগ করতে পারে তেমনি প্রতিটি বাঙালি যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল তারা ওভাবেই দেশের জন্য ভাবত, অনুভব করত। তাই জয় বাংলায় অত শক্তি লুকিয়ে ছিল। এটা সত্য, সব সময় একই জিনিস একইভাবে থাকে না। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় ‘কানমে বিড়ি মুখে পান, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ ছিল পাকিস্তানের আপামর জনসাধারণের মুখের বুলি, আত্মার চিৎকার। কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরের মধ্যেই পূর্ব পাকিস্তানের আপামর জনসাধারণ ‘কানমে বিড়ি মুখে পান, লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ আত্মার এ চিৎকার ধুলোয় মিলিয়ে গিয়েছিল। কারণ পাকিস্তানিরা বাঙালির মায়ের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। মুখের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে না পারলেও তারা যে বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে তাতে বাংলা ভাষাভাষী সবার মনে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। যার প্রতিফলন ঘটেছিল ’৫৪-এর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। ওভাবে মাত্র ছয়-সাত বছরে পাকিস্তানিদের ভেসে যাওয়ার কথা ছিল না। অথচ ভেসে গিয়েছিল। প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ৯টি পেয়েছিল পাকিস্তান সমর্থকরা। বাদবাকি ২৯১টি পেয়েছিল যুক্তফ্রন্ট। সাধারণ মানুষের রায়কে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী কোনো সম্মান দেখায়নি। ভালোভাবে এক মাসও টিকতে পারেনি শেরেবাংলার মন্ত্রিসভা। ৯২(ক) ধারা জারি করে বাংলার বাঘ ফজলুল হকের মন্ত্রিসভা বাতিল করে দিয়েছিল। ঠিক একই রকম পদক্ষেপ নিয়েছিল ’৭০-এর নির্বাচনের পর। বাংলার সাধারণ মানুষের রায়কে পাকিস্তানিরা পদদলিত করেছিল। ’৭০-এর নির্বাচনের রায় পদদলিত করা বাংলার মানুষ মেনে নেয়নি। বিশেষ করে ছাত্র-যুবক, কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ।

গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার শেষ ধাপ হচ্ছে অসহযোগ। ব্রিটিশ ভারতে অসহযোগের ডাক দিয়েছিলেন ভারতপিতা মহাত্মা গান্ধী। আর পূর্ব পাকিস্তানে সফল অসহযোগ ডেকেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পৃথিবীর ইতিহাসে অমন অসহযোগ আর কোথাও কখনো হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে আসেনি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বপিত ছিল অনেক গভীরে। সূচনা হয়েছিল বঙ্গভঙ্গেরও কিছুটা আগে। সেটা মহিরুহের রূপ ধারণ করেছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবির মধ্য দিয়ে। এটা আরও শক্তিশালী হয়েছিল ’৫৪-এর তিন নেতা শেরেবাংলা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। ’৫৪-এর নির্বাচনের ফলাফল পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী সহজভাবে মেনে নেয়নি। নানা ছলাকলা করে ’৫৪-এর ভোটকে ধূলিসাৎ-চেষ্টার মধ্য দিয়ে ’৫৮-এর ২৭ অক্টোবর আইয়ুব খান পাকিস্তানের ক্ষমতা কেড়ে নেন। যে ইস্কান্দার মির্জা মার্শাল ল জারি করেছিলেন সেই ইস্কান্দার মির্জাকে আইয়ুব খান ইংল্যান্ডে হোটেলের ম্যানেজারির চাকরি দিয়ে পাকিস্তান থেকে বের করে দেন। আইয়ুব খান নানা ছলাকলা করে ‘বুনিয়াদি গণতন্ত্র’-এর নামে ১০ বছর পাকিস্তানের ক্ষমতা আঁকড়ে রাখেন। ’৬২ সালে সামরিক শাসন তুলে নিলে আবার ধীরে ধীরে মানুষ একত্রিত হতে থাকে, রাজনীতির বাতাস বইতে থাকে। এর মধ্যে ’৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা করেন। ছয় দফা দাবির সঙ্গে আওয়ামী লীগেরও অনেকে একমত ছিলেন না, বড় বড় নেতারা তো নয়ই। ছাত্র-যুবকরা ছয় দফাকে লতার মতো আঁকড়ে ধরে। পাকিস্তানের লৌহমানব আইয়ুব খানের সহ্যের সীমা পেরিয়ে যায়। তিনি বঙ্গবন্ধুকে বারবার গ্রেফতার করেন। কয়েক বছর জেলে থাকার পর ’৬৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হলে সাধারণ পোশাকে আর্মির গাড়ি এসে নেতাকে তুলে নিয়ে যায়। চার-পাঁচ মাস তাঁর কোনো খবর ছিল না। এ সময় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা রুজু করা হয়। প্রথমে বঙ্গবন্ধুর নাম না থাকলেও পরে তাঁকেই ১ নম্বর আসামি করা হয়। মামলা চলে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে। অন্যদিকে ছাত্র-যুবকরা দল বেঁধে রাস্তায় নামতে থাকে। আইনি লড়াই লড়তে ইংল্যান্ড থেকে আইনবিদ আনার চেষ্টা করা হয়। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সংগঠন রাস্তাঘাটে হাত পেতে টাকা তুলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে পাঠায় আগরতলা মামলার লড়াই করার জন্য। আমরা ছাত্র হিসেবে টাঙ্গাইল ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ৪০০ টাকা এবং জেলা আওয়ামী লীগ ১৭০০ টাকা কেন্দ্রীয় ফান্ডে জমা করে। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি বাংলাদেশের সূর্যসন্তান তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলা হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১১ দফা দাবি পেশ করে। এ ১১ দফা আর আওয়ামী লীগের ছয় দফা একাকার হয়ে যায়। সারা দেশে আকাশে বাতাসে মাঠে ময়দানে খালে বিলে নদীতে সাগরে আওয়াজ ওঠে- ‘শেখ মুজিবের মুক্তি চাই, আগরতলা মামলা মানি না মানব না’। ২০ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে আসাদের মৃত্যুর পর আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ’৯০-এ যেমন ডা. মিলনের মৃত্যু পুরো দেশকে জাগিয়ে দিয়েছিল তেমনি আসাদের মৃত্যুর পর সারা দেশ জ্বলে ওঠে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে প্যারোল দিয়ে আইয়ুব খান পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এক আলোচনার ব্যবস্থা করেন। তত দিনে বাংলার মানুষের হৃদস্পন্দন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্যারোলে গোলটেবিলে যেতে অস্বীকার করেন। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবসহ সবাইকে মুক্তি দিয়ে আগরতলা মামলা তুলে নেওয়া হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি রমনা রেসকোর্স ময়দানে ছাত্র-গণ আন্দোলনের মহানায়ক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক তোফায়েল আহমেদ বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। সেই থেকে শেখ মুজিব হলেন বঙ্গবন্ধু। তার কদিন পরই তিনি হন দেশের পিতা। ২৩ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁকে বঙ্গবন্ধু ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে এক নবজাগরণের সৃষ্টি হয়। আইয়ুব খান আর বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। উন্নয়নের দশক পালন করতে গিয়ে তীব্র আন্দোলনের মুখে পড়ে ২৪ মার্চ ’৬৯ সেনাপ্রধান ইয়াহিয়ার কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। ইয়াহিয়া খান বেতার ভাষণে বলেন, ‘আমি সৈনিক, আমার ক্ষমতার লোভ নেই। দুই বছরের মধ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যাব।’ না, তিনি ব্যারাকে ফিরে যাননি। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড তিনি বাংলার বুকে ঘটিয়েছিলেন।

ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান সরকার ’৭০-এ সাধারণ নির্বাচন করেছিল। সেখানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানে ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭টি পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। পশ্চিম পাকিস্তানে ৮১ আসন পেয়ে জাতীয় পরিষদে জুলফিকার আলী ভুট্টো হয়েছিলেন প্রধান বিরোধী দল। পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ, পশ্চিম পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি। জুলফিকার আলী ভুট্টো যেমন পূর্ব পাকিস্তানে একটি আসনও পাননি, তেমনি আওয়ামী লীগ পশ্চিম পাকিস্তানে কোনো আসন পায়নি। তাই বঙ্গবন্ধু বা আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেলেও একটা প্রশ্ন থেকে যায়। ইয়াহিয়া খান সংসদ অধিবেশন ডেকেও মাঝপথে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। এতে বাংলার মানুষ ফুঁসে ওঠে। শুরু হয় অসহযোগ, ঐতিহাসিক অসহযোগ। এমন অসহযোগ মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে ব্রিটিশ ভারতেও হয়নি। অসহযোগের চাপে ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তান আসেন। বারবার আলোচনায় বসে সময় ক্ষেপণ করেন। এর মধ্যেই ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এসব মাথায় রেখেই আলোচনা হচ্ছিল। ইয়াহিয়া খান কোনো একসময় এও বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের ভাবী প্রধানমন্ত্রী’। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ২৫ মার্চ ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তান থেকে পালিয়ে যান আর পাকিস্তানি হানাদাররা সাধারণ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত ছোটখাটো অনেক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বাঙালি সেনা ও অফিসাররা খুব অংশগ্রহণ করেনি। ২৫ মার্চ অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্ট তার উপনেতা বা টুআইসি জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রাম জেটিতে বাঁধা অস্ত্রবোঝাই সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে বলে। জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আদেশ মেনে অস্ত্র খালাস করতে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁকে সাধারণ বীর জনতার বাধা ঠেলে যেতে হচ্ছিল। তাই যাওয়ার গতি তেমন ছিল না। এ সময় অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টে খবর পৌঁছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে, ঢাকায় নির্বিচারে হত্যা চলছে। ইবিআরসি ক্যান্টনমেন্টে প্রশিক্ষণরত ১৫০০ রিক্রুটের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে। এসব শুনে খালেকুজ্জামান আর অলি আহমদ ছুটতে থাকেন জিয়াউর রহমানকে ফিরিয়ে আনতে। তাঁকে ফিরিয়ে আনলে একসময় তাঁর অধীন সেনারা পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘোষণা দেয়। ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতারে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি সেখানে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। সেই থেকে জিয়াউর রহমান এবং তাঁর সঙ্গীরা হন মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। তার পরের ইতিহাস খুব একটা ছোট নয়। রক্তক্ষয়ী ২৬৬ দিন ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর এই সময়ে বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দিজীবন কাটান। তাই ইচ্ছা করলেই তাঁকে বীর মুক্তিযোদ্ধা, ১ নম্বর নারী মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না। পেছনের ঘটনার সঙ্গে তাঁকে মেলাতে হবে। সঠিকভাবে মেলাতে না পারলে মুক্তিযোদ্ধা বলে, ১ নম্বর নারী মুক্তিযোদ্ধা বলে বরং বেগম খালেদা জিয়াকেই ছোট করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধকে হাস্যকর, খেলো করার চেষ্টা হচ্ছে। কাজটা মোটেই ভালো হচ্ছে না।

লেখক : রাজনীতিক।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার
শিবচরে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

জয়পুরহাটে স্বর্ণের দোকানে তল্লাশির সময় ধরা খেল ভুয়া ডিবি
জয়পুরহাটে স্বর্ণের দোকানে তল্লাশির সময় ধরা খেল ভুয়া ডিবি

৩৭ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮
পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩
মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব
মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২
ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস
ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি
চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত
টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা
বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম
দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের
‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস
ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা
মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান
সালমানের পাশে দাঁড়ালেন ইমরান

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি
সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি

শনিবারের সকাল

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান
বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান

পরিবেশ ও জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা