শিরোনাম
প্রকাশ: ০৮:১৯, শনিবার, ০২ এপ্রিল, ২০২২

শব্দদূষণ আর বায়ুদূষণ মেয়রদের সেরা অর্জন

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
শব্দদূষণ আর বায়ুদূষণ মেয়রদের সেরা অর্জন

ঢাকা। আমাদের প্রাণের ঢাকা। তীব্র যানজট, ঠাসা মানুষের চাপে দমবন্ধ জীবন। শ্বাস গ্রহণেই যেন মৃত্যুকে আলিঙ্গন। এর মধ্যে তীব্র শব্দের অত্যাচার। রাতের ঢাকায় ছিনতাইয়ের উৎসব। খানা-খন্দে আচমকা পড়ে সর্বনাশের শঙ্কা। রাস্তাঘাট, বাজারহাট, শপিং মল সর্বত্র মানুষের ভিড়। মানুষ মানুষের ওপর। তার পরও এ শহরেই আমরা আঁকড়ে থাকি। এ শহরে মরার মতো আমরা বেঁচে থাকি। কেউ চাকরির জন্য। কেউ চিকিৎসার জন্য। কেউ সন্তানের লেখাপড়ার জন্য। কেউ জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য নিজেকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে এ শহরে। ঢাকা নিয়ে মানুষ আর ভাবে না। ঢাকার উন্নতি, বাসযোগ্য নগরী গড়ে ওঠা ইত্যাদি নিয়ে কোনো স্বপ্নও দেখে না। এ শহরের আবর্জনা, দূষণ আর অস্থিরতাকে আলিঙ্গন করে বেঁচে থাকাই হলো পরম সৌভাগ্য।

সম্প্রতি আমাদের এ শহর বিশ্বের দুটি ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। বায়ুদূষণে আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছি। আর এবার শ্রেষ্ঠ হলাম শব্দদূষণে। সুইজারল্যান্ডের দূষণ রোধকারী প্রযুক্তি সেবাদাতা সংস্থা আইকিউ এয়ারের ‘বিশ্ব বায়ুদূষণ প্রতিবেদনে’ ঢাকা প্রায়ই শীর্ষে থাকে। শীর্ষস্থান ধরে রাখার জন্য দিল্লির সঙ্গে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা করে। কখনো দিল্লি প্রথম, কখনো ঢাকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা শীর্ষস্থান মোটামুটি পাকাপোক্তই করে ফেলেছে। অন্যদিকে ৬১টি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে শব্দদূষণে সম্প্রতি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে ঢাকা। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) ‘ফ্রন্টিয়ারস ২০২২ : নয়েস, ব্লেজেস অ্যান্ড মিসম্যাচেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ঢাকাকে শব্দদূষণের সেরা খেতাব দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ঢাকায় বেশির ভাগ সময় শব্দের মাত্রা থাকে সহনীয় মানের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। এটি নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে।’

দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে ঢাকাকে দুটি শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিয়েছে। এ স্বীকৃতি নিঃশব্দেই আমাদের আপ্লুত করেছে। এটি ঢাকা মহানগরীর দুই মহান ও কীর্তিমান মেয়রের অসাধারণ অর্জন। এজন্য আমরা তাঁদের সংবর্ধনা দিতেই পারি। ঢাকা মহানগরী বড় হয়েছে। এজন্য সরকার ঢাকাকে দুই ভাগে ভাগ করে দুটি সিটি করপোরেশন গঠন করেছে বেশ ক’বছর আগে। দুই সিটিতে দুই মেয়র। দুজনই দারুণ করিৎকর্মা। টেলিভিশনের সৌজন্যে প্রতিদিনই তাঁদের নানা কসরৎ জাতি প্রত্যক্ষ করে। ঢাকাবাসীর মলিন জীবনে দুই মেয়র কিছুটা হলেও বিনোদনের খোরাক। দুই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের কদিন আগেই এক অনুষ্ঠানে মেয়রদ্বয় নিজেরাই নিজেদের সফল বলে ঘোষণা করলেন। একজন মেয়র ঘোষণা করলেন, ‘আমরা দুই মেয়র মিলে শতভাগ সফল’। বাঃ বেশ! মেয়ররা যেমন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তেমনি স্বঘোষিতভাবেই নিজেদের শতভাগ সফল ঘোষণা করলেন। মেয়রদের এ সাফল্যের ঘোষণায় শিহরিত হয়ে আমি অনুভবের চেষ্টা করলাম মেয়রদের কাজ কী? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখলাম, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়াটা সবচেয়ে নিরাপদ, ঝুঁকিহীন ও কর্মহীন পদ। মেয়রদের প্রথম কাজ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে অতিষ্ঠ জনজীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তোলা। দ্বিতীয় কাজ হলো ব্যর্থতার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানো। এই যে বায়ুদূষণ কিংবা শব্দদূষণ এ নিয়ে মেয়ররা অবলীলায় বললেন বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতার জন্য এটা হচ্ছে। আমাদের কোনো দায় নেই। শুধু কথা আর আশ্বাস এবং কোনো বিষয়ে দায়িত্ব না নেওয়াই মেয়রদের কাজ। আমাদের দুই মেয়র নির্বাচনের সময় যেসব অঙ্গীকার করেছিলেন তার ১০ ভাগ বাস্তবায়নের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা তাঁদের নেই। আমাদের দুই মেয়রের কর্মধারা দুই ধরনের। একজন জনগণকে প্রতিপক্ষ এবং কখনোসখনো গিনিপিগ মনে করেন। জনগণকে ধমক দিয়ে ভয় দেখিয়ে বোঝাতে চান তিনি মেয়র। অন্যজন প্রশাসন এবং বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের জন্য ত্রাস। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে সাফল্য খুঁজে বেড়ান। এই যে কদিন পর ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হবে। নানা বেশে মেয়রদ্বয় মাঠে নামবেন। জনগণকে হুমকি দেবেন। নালা, আবর্জনা, খানাখন্দে গিয়ে ফটোসেশন করবেন। নিজেই ফগার মেশিন নিয়ে মডেল হবেন। (গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে) অথচ আবর্জনা, খাল, নোংরা নর্দমা ইত্যাদি পরিষ্কার করা সিটি করপোরেশনের রুটিন কাজ। মিরপুর, মোহাম্মদপুরের মতো মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত এলাকার কথা বাদ দিন। গুলশান, বনানীর মতো অভিজাত এলাকাগুলো এখন আবর্জনার ভাগাড়। এসব পরিচ্ছন্ন করার সময় নেই মেয়রদের। একজন এখন ব্যস্ত গাড়ির নম্বর প্লেট নিয়ে। জোড়-বিজোড় গাড়ি কবে কোনটা চলবে এমন অভাবনীয় আবিষ্কারের উন্মাদনায় কাঁপছেন আমাদের এক মেয়র মহোদয়। তাঁর আবিষ্কার এতই অভিনব যে তিনি নিজেই নিজেকে একটা পিএইচডি দিতে পারেন। ঢাকায় বিজোড় তারিখে যেমন ১, ৩, ৫ এসব দিনে বিজোড় সংখ্যার গাড়ি চলবে। যেমন ১৫, ১৭, ১৯ সিরিয়াল। অথচ উত্তর সিটি করপোরেশনের সেবার তালিকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের কোনো কথাই নেই। কিন্তু উনি জোড়-বিজোড় তত্ত্ব দিলেন ঢাকাবাসীকে। মেয়রের এ আবিষ্কারের পর বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন, ‘ভাই, আমার গাড়ি ২০ সিরিয়ালের, আমি ব্যাংকে চাকরি করি। আমার স্ত্রী চাকরি করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। ছেলে এবং মেয়ে দুজন দুই স্কুলে। আমি সকালে বাচ্চাদের স্কুলে নামাই, তারপর স্ত্রীকে নামিয়ে অফিসে যাই। ড্রাইভার ছেলেমেয়েকে দুপুরে বাসায় নিয়ে যান। তারপর স্ত্রীকে নিয়ে যান। সেখান থেকে গাড়ি এসে আমাকে নিয়ে যায়।’ তাঁর প্রশ্ন, বিজোড় দিনে আমি কী করব? গণপরিবহনের কী হাল তা কি মেয়র সাহেব জানেন? ব্যাংকার ভদ্রলোকের ওই প্রশ্নে আমি লা-জবাব। সাধারণ মানুষ যখন যানজটে নাকাল হয়, তখন আমাদের মহান মেয়রগণ বলেন, ‘এটা আমাদের কাজ নয়’। যখন রাতে ব্যস্ত সড়কে নিরীহ শিক্ষার্থী সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান তখন মেয়ররা নীরব। ভোরবেলায় ছিনতাইকারীদের ছুরিতে যখন নিরীহ নাগরিক মারা যান তখনো তাঁরা ভূমিকাহীন। বেপরোয়া চালকের হাতে যখন স্কুল শিক্ষার্থীর মা পিষ্ট হন তখন মেয়ররা নিশ্চিুপ। এ নীরবতার পক্ষে তাঁদের অকাট্য যুক্তি- ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব মেয়রদের নয়। সড়ক দুর্ঘটনাও মেয়রদের কাজের মধ্যে পড়ে না।’ অথচ দুই মেয়রই তাঁদের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ, বসবাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছিলেন। নিরাপদ শহর মানে কী? এমন একটি শহর যেখানে নারী-পুরুষ নির্ভয়ে চলাচল করতে পারবে। প্রাণভরে শ্বাস নিতে পারবে। কষ্টহীনভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচল করতে পারবে। শিক্ষা, চিকিৎসা নিয়ে বিচলিত হবে না। একজন মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারবে। আমি সাদামাটাভাবে এটাকেই নিরাপদ নগরীর প্রতিচ্ছবি মনে করি। নগরপিতা বা মেয়রের দায়িত্ব যদি নিরাপদ নগরী, বাসযোগ্য শহর বিনির্মাণ হয় তাহলে শহরের প্রতিটি নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা, জীবন-স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব মেয়রদের। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব মেয়রদের নয়। ভালো কথা। ফুটফুটে শিক্ষার্থী প্রীতি মারা গেলেন। মেয়র হিসেবে তাঁর কাছে যাওয়া, ওই পরিবারকে সহানুভূতি জানানো কি মেয়রের উচিত ছিল না? আমি ধন্যবাদ জানাই তথ্যমন্ত্রীকে অন্তত সেই মানবিকতাটুকু তিনি দেখিয়েছেন। সন্ত্রাস, ছিনতাই বন্ধ যেমন মেয়রের কাজ নয় তেমনি অন্যের জমিতে কী হচ্ছে তা দেখাও তো মেয়রের দায়িত্ব নয়। কিছুদিন আগে দেখলাম রেলের জমি নিয়ে এক মেয়রের নাটক। রেল কর্তৃপক্ষ এক জমি একটি প্রতিষ্ঠানকে লিজ দিয়েছেন। সে জমিতে কাজ থামিয়ে মেয়র মহোদয় বীরত্ব দেখালেন। রেলমন্ত্রীকে টেলিফোনে রীতিমতো ধমক দিয়ে বোঝালেন তাঁর কী ক্ষমতা। অথচ এই রেলমন্ত্রী যখন ছাত্রলীগ করতেন তখন মেয়র কী করতেন তার খবর হয়তো তিনি নিজেই জানেন না। আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীরা আসল আওয়ামী লীগকে যে পিষ্ট করছে এটি তার এক উদাহরণ। রেলমন্ত্রী আজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জন্য লড়াই করেছেন। আর গার্মেন্ট ব্যবসায়ী হঠাৎ আওয়ামী লীগার হয়ে মেয়র বনে গেছেন। মেয়রের ওই বীরত্ব দেখে আমার বেশ পুরনো হিন্দি ছবি ‘নায়ক’-এর অনিল কাপুরের কথা মনে পড়ল। আমাদের মেয়ররা যদি এভাবে সিনেমার মতো সব ঠিক করে দিতেন! আমাদের দুই মেয়রই অদ্ভুত। যখনই তাঁদের সমস্যার কথা বলবেন তখনই তাঁরা বলবেন, ‘এটা তো আমাদের ক্ষমতার মধ্যে না’। আবার জনগণকে নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাঁরা অবলীলায় জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছেন। যেমন ইউলুপ। মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে যদি আপনি গুলশান বা বনানীতে যেতে চান তাহলে আপনাকে নৌবাহিনীর সদর দফতর পেরিয়ে আবার ঘুরতে হবে। বনানী থেকে যদি আপনি বিমানবন্দরে যেতে চান তাহলে আপনাকে মহাখালী গিয়ে ইউলুপ ধরতে হবে। মহাখালী থেকে বনানী পর্যন্ত তীব্র যানজটের প্রধান কারণ এসব ইউলুপ। জনসম্পৃক্তহীন, জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না এমন ব্যক্তিই এ রকম জনবিরোধী কাজ করতে পারেন। এখন আবার গাড়ি চলার জোড়-বিজোড় নাটক মহানগরীর মানুষের জন্য নতুন বিপর্যয় ডেকে আনবে। আমাদের দুই মেয়র মাশাল্লাহ ধনাঢ্য। তাঁদের জোড়-বিজোড় সব ধরনের গাড়িই আছে। কিন্তু ওই ব্যাংকারের মতো হাজারো মানুষের কী হবে? উবার চালকদের কী হবে?

মেয়ররা কীভাবে নগর পরিচালনায় সিদ্ধান্ত নেন তার একটা চমৎকার উদাহরণ পাওয়া যায় লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের কাছ থেকে। সম্প্রতি সাদিক খান পুলিশ ও অপরাধ প্রতিরোধবিষয়ক একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল সময়ে কীভাবে পুলিশকে আরও সংবেদনশীল করা হবে। কীভাবে লন্ডনে অপরাধ কমানো হবে তার একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা করা হয়েছে ওই কৌশলপত্রে। সাদিক খানের এ পরিকল্পনা স্বপ্নে পাওয়া তাবিজের মতো উদয় হয়নি। এ পরিকল্পনা প্রণয়নে সাদিক খান ৪ হাজার লন্ডনবাসীর মতামত নিয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। লন্ডনের মেয়রের কার্যক্রমের পরিধি অনেক বিস্তৃত। মেয়রের অধীনে ১০ জন ডেপুটি মেয়র রয়েছেন। যাঁরা ১০টি মূল বিষয় দেখাশোনা করেন। পরিবেশ, আবাসন, আইনশৃঙ্খলা, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, গণপরিবহন ইত্যাদি। নগরের সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দায়িত্ব লন্ডন মেয়রের হাতে। সে তুলনায় ঢাকার দুই সিটি মেয়রের ক্ষমতা নিতান্তই দুধ-ভাত। এই ক্ষমতাহীনতার মধ্যে তাহলে তাঁরা স্বপ্নের ঢাকার গল্প শোনান কেন? কদিন আগে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণে শ্রেষ্ঠত্বের খেতাব পাওয়া দুই মেয়রকে এসব মাথায় রেখে কাজ করতে বললেন। কিন্তু অনুষ্ঠানেই দুই মেয়র অজুহাতের পাহাড় জমা করলেন। বললেন সমন্বয়হীনতার সেই পুরনো প্যাঁচাল। দুই মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাকায় জলাবদ্ধতা নিয়ে কথা হলো। মেয়ররা অভিযোগ নিজের ঘাড় থেকে নামিয়ে ওয়াসার কাঁধে তুলে দিলেন। দুই মেয়র জানালেন জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ খাল ভরাট। খালগুলো ওয়াসার নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খালগুলো দুই সিটি করপোরেশনে হস্তান্তরের সাহসী সিদ্ধান্ত নিলেন। সেই হস্তান্তরের আগেও একখণ্ড ‘খাল নাটক’ হয়ে গেল। মন্ত্রী ও মেয়ররা গেলেন খাল পরিদর্শনে। একটি খালের মর্মান্তিক মৃত্যু সরেজমিন প্রত্যক্ষ করলেন। আমরা ঢাকাবাসী আশায় বুক বাঁধলাম। এবার নিশ্চয়ই খাল উদ্ধার হবে। খালে নৌকা চলবে। ঢাকা শহরের কয়টা খাল উদ্ধার করেছেন মেয়ররা? আমাদের মেয়রদের ক্ষমতা নেই এ যেমন সত্যি, তার চেয়েও সত্যি ক্ষমতা পেলেও তাঁদের যোগ্যতার অভাব প্রকট হয়ে ওঠে। ঢাকা মহানগরীর প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন মোহাম্মদ হানিফ। ১৯৯৮ সালে ঢাকার অন্তহীন সমস্যা নিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলাম। এ সাক্ষাৎকারের আগে থেকেই মোহাম্মদ হানিফ নগর সরকারের কথা বলে আসছিলেন। ওয়াসা, রাজউক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সিটি করপোরেশনের অধীন আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মোহাম্মদ হানিফ বিএনপির পতন আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তিনি ‘জনতার মঞ্চ’ করার ক্ষেত্রে অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। বিপুল জনপ্রিয়তা, অসাধারণ বাগ্মিতার কারণে জনতার মঞ্চে মেয়র হানিফ ছিলেন অন্যতম আকর্ষণ। ১৯৯৪ সালে মেয়র হওয়ার মাত্র দুই বছরের মধ্যে মেয়র হানিফের দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। হানিফ আশা করেছিলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে হয়তো তাঁর নগর সরকারের দাবি মানা হবে। ওইদিন সাক্ষাৎকারে নগর সরকার না হওয়া নিয়ে হানিফ তাঁর হতাশার কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন তাঁর সীমাবদ্ধতা এবং সমন্বয়হীনতার কথা। কিন্তু এ সীমাবদ্ধতার মধ্যেও পুরান ঢাকায় মেয়র হানিফ বেশ কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন এনেছিলেন। ঢাকা শহরকে ভুতুড়ে নগরী থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দিয়েছিলেন। মেয়র হানিফের পর মেয়র হয়েছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। খোকাও ঢাকার জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। ’৯৬-এর নির্বাচনে ঢাকা মহানগরী থেকে তিনিই একমাত্র বিএনপি প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকা মহানগরীর মতো এত বিপুল জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত শহরে তিনি ছিলেন খণ্ডকালীন মেয়র। একদিকে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী অন্যদিকে ঢাকা সিটির মেয়র। এ দুই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো দিকেই মনোযোগ দিতে পারেননি।

এই সময়ে খোকার ক্যাডাররা সিটি করপোরেশনকে লুটপাটের আখড়া বানিয়েছিল। আওয়ামী লীগ আমলেও সাদেক হোসেন খোকা প্রায় দুই বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু মেয়র হিসেবে স্মরণীয় কিছু করতে পারেননি তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ঢাকাকে উন্নত ও গতিশীল করার জন্য একে দুই ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিশে^র অনেক বড় শহরেই এভাবে সিটি করপোরেশনকে ভাগ করা হয়েছে কাজের সুবিধার জন্য। যেমন দিল্লির তিনটি সিটি করপোরেশন করা হয়েছে। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব। সে আলোকেই ঢাকায় দুটি সিটি করপোরেশন করা হয়। সিটি করপোরেশন বিভক্ত হওয়ার পর নির্বাচনও হয়। উত্তরে আনিসুল হক, দক্ষিণে সাঈদ খোকন মেয়র নির্বাচিত হন। উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়ে আনিসুল হক প্রথম নগরবাসীর চোখ খুলে দিয়েছিলেন। স্বল্পসময়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন ক্ষমতা কিছু নয় আসল হলো উদ্ভাবনী চেষ্টা আর দক্ষতা। জনগণকে সম্পৃক্ত করা। জনগণের কথা ভাবা। এককভাবে নয়, অংশীজনকে নিয়ে পরিকল্পনা করা। স্বল্পসময়ে আনিসুল হক ঢাকাকে বদলে ফেলার কিছু দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছিলেন। তিনিই ঢাকার একমাত্র মেয়র যিনি সমস্যার উৎসমূলে গিয়ে তার সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন। তেজগাঁওয়ে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড দখলমুক্ত করা, ‘ঢাকা চাকা’র মাধ্যমে তিনি ঢাকার যানজট নিরসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর কিছু কিছু কাজ শেষ হলে অন্তত ঢাকা উত্তর পাল্টে যেত। যেমন কারওয়ান বাজার সরিয়ে নেওয়া, বৃক্ষায়ন ইত্যাদি। আনিসুল হক বলেননি এটা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে নয়। বরং তিনি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্বের ব্যাপ্তি বাড়িয়েছিলেন। আনিসুল হকের মৃত্যুর পর ঢাকা উত্তর নতুন মেয়র পায়। নতুন মেয়র বলেন, আনিসুল হকের অসমাপ্ত স্বপ্ন তিনি সমাপ্ত করবেন। করেছেন বটে। ‘ঢাকা চাকা’র ছোট সাইজের বাসের বদলে তিনি গুলশান-বনানীতে বিশাল সাইজের বাস নামিয়েছেন। এটাই এখন ওই এলাকায় যানজটের কারণ। দুই মেয়র এখন শব্দ আর বায়ু দূষণের মতোই আরেক নতুন অত্যাচার। এখন শব্দের অসহ্য অত্যাচার আর শ্বাস বন্ধ করা বায়ুদূষণের মধ্যে অসুস্থ আমরা প্রশ্ন করতেই পারি, এ শহরে আসলে মেয়রের দরকার কী?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮
পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩
মহাসড়কে ডাকাতির চেষ্টা, অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৩

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ
আ. লীগ নেতার চাঁদা আদায় আড়াল করতে বিএনপির নেতার নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
যুবদল নেতার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা
আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব
মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞান উৎসব

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২
ফরিদপুরে বাসচাপায় নিহত ২

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকদল কর্মীর খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস
ভিসাপ্রত্যাশীদের ফের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি
চীনের হাসপাতাল গাইবান্ধায় নির্মাণের দাবি

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ভোলায় মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত
টেক্সাস থেকে ভেনিজুয়েলানদের বহিষ্কার স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ
যাকে আল্লাহ বাঁচায়, তাকে কেউ রুখতে পারে না : কায়কোবাদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা
বাংলাবান্ধায় ১৪০ ফুট উঁচুতে উড়বে পতাকা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
দুর্ঘটনার পর ছাদহীন বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম
দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন: রফিকুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের
‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও নজর উপদেষ্টা আসিফের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস
ইতালির নাগরিকত্ব পাচ্ছেন জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ফ্রান্সেস মায়েস

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
ফেনীতে চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দায় কার? প্রশ্ন তুললেন ডা. শাহাদাত

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১
গাজীপুরে সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া একটি লেমুর উদ্ধার, গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডেমরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ডেমরায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান
ভয়ঙ্কর যে বোমা নিয়ে ইসরায়েলে ঝাঁকে ঝাঁকে নামল মার্কিন বিমান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি
খামেনিকে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’
‘প্রত্যেক ইসরায়েলি হয় নিজে সন্ত্রাসী, না হয় সন্ত্রাসীর সন্তান’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির
ইসরায়েলে পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুতির

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’
‌‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোর কাজ চলছে’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ
ফেসবুকে ভাইরাল সেই ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
শাহবাগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমিত সাহাকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন
গুগল ম্যাপে নিজের বাড়ির লোকেশন যুক্ত করতে যা করবেন

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা
মেঘনা গ্রুপের কাছে আটকে আছে তিতাসের ৮৬২ কোটি টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস
বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে তিন শর্ত দিলো হামাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, অর্ধেকই ভারতের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী
মাঝ আকাশে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা, প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালালেন যাত্রী

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান
‘ক্রিকেটাররা আমাকে নিজের অশ্লীল ছবি পাঠাত’, ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বার্তা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!
যে কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে আমেরিকা!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৃজিত মুখার্জি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি
সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও হাটে বিক্রি করেন শুঁটকি

শনিবারের সকাল

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান
বাঁশ হতে পারে দূষণ কমাতে সেরা সমাধান

পরিবেশ ও জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে নতুন অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না
সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা