জামায়াত-শিবির এবং বিএনপির একাংশকে উস্কে দিয়ে নিউইয়র্কে প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর সমাবেশে বাধা প্রদানের জন্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানকে দায়ী করে নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।
গত বুধবার সন্ধ্যায় ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবার’র ব্যানারে জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেনের পুত্র ফাহিম রেজা নূর। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরনবী কমান্ডার। মঞ্চে আরো উপবেশন করেন ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবার’র আহ্বায়ক শরাফ সরকার এবং আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভানেত্রী মোর্শেদা জামান।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় যে, ‘প্রখ্যাত কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরীর একটি বক্তব্যকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত করেছে জামাতী মিডিয়াগুলো। এরপর জামায়াত নিয়ন্ত্রিত দুটি মসজিদের মুসল্লীদের উস্কে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি। 'কেন ড. সিদ্দিকুর আত্মঘাতী এমন আচরণ করবেন-এ প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত, মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সন্তানদের সমন্বয়ে গঠিত ‘যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবার’-এর ব্যানারে নিউইয়র্কে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে নিয়ে বড় ধরনের একটি সমাবেশের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। সে সমাবেশে ড. সিদ্দিকুরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ, এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের রাজনৈতিক জীবন ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার মামলায় দণ্ডিত রিজভী আহমেদ সিজারের সংবাদ সম্মেলনকে প্রতিরোধ করার জন্যে আওয়ামী পরিবারের পক্ষ থেকে যখন সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছিল, সে সময় ড. সিদ্দিকুর তার কয়েকজন সমর্থকসহ বিএনপি সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাটের কাছে ধরনা দিয়েছিলেন আমাদেরকে পিটিয়ে হাত-পার ভেঙে দেয়ার জন্যে। বিষয়টি মিডিয়ার মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর আমরা ড. সিদ্দিকুরকে কাছে রাখতে ভয় পাই। সে সময়ে সকলে অনুধাবনে সক্ষম হই যে, ড. সিদ্দিকুর হচ্ছেন প্রবাসে জামায়াত-শিবির আর বিএনপির চর’।
'কেন তাকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি'-এ নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ এবং সে ক্ষোভ থেকেই আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর ওই সমাবেশ পণ্ড করার জন্যে জামায়াত-বিএনপির লোকদের উস্কে দিয়েছেন বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি’-বলেন কমান্ডার নূরনবী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, ‘ড. সিদ্দিকুরের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগে বিভক্তি রচিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিংহভাগ নেতা-কর্মী তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এমন লোককে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ জুলাই, ২০১৫/ রশিদা