জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে ১৭ মার্চ জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত শতাধিক শিশু অংশ নেয়। দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে শিশুরা বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনের আলোকে চিত্রাঙ্কন করে। ৬ জনকে প্রদান করা হয় বঙ্গবন্ধু ক্রেস্ট।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার জীবনাদর্শ তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশিত হয়। এতে জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৩ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা অর্জন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম -এর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আলোচনার সূত্রপাত করে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতাকে বছরের প্রতিটি দিনই স্মরণ করতে হবে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। এজন্য সারাবছরই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য তিনি প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি আহবান জানান।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাণী 'সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরি নয়' -এখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি। এই নীতির আলোকে স্থায়ী মিশন জাতিসংঘে অবদান রেখে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন তুলে ধরা হচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় ৩টি সংগঠনের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে। বীপার শিশুশিল্পীরা সঙ্গীত ও “জয় বাংলা, বাংলার জয়” গীতি আলেখ্য পরিবেশন করেন। আনন্দ ধ্বনি এবং বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতায়নের শিশুশিল্পীরা বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম নিয়ে কবিতা আবৃতি, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন