চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন স্থানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনাসমুহের নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা এসব ঘটনার উসকানিদাতা ও জড়িতদের দলীয় শাস্তির দাবি জানান।
প্রবাসী নেতৃবৃন্দের পক্ষে বিবৃতিদাতারা হলেন এসএম ইদ্রিছ, নূরুল আবছার, আহমেদ আলী জাহাঙ্গীর, দিদারুল আলম, মো. রাশু, শফিকুল ইসলাম, মীর কামাল, শহীদুল হক শাহেদ, শাহেদ আহমেদ, শৈবাল বড়ুয়া, হামিদ আলী, মামুনুর রশিদ, দেবাশীষ দাশ, মো. ইয়াকুব, আব্দুল মোতালেব, মো. জসিম উদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, ফারুক রেজা, আল আইন-এ অবস্থানরত আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, মো. জসিম উদ্দিন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নতুন হলেও এর তাৎপর্য ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। দেশব্যাপি আওয়ামী লীগের লাখ লাখ কর্মীরা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানিয়েছে। তবে দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হলেও এলাকার সব দলের সমর্থকরা, আত্মীয়তা, বাড়ি, পাড়া সুত্রে নিজ দলের পক্ষে দাঁড়াতে নাও পারে আবার নিজ দলের পরামর্শ বা উসকানিতে অপরাধ করে অন্য দলের কাঁধে দোষ চাপাতে চেষ্টা করবে। আমাদের প্রশ্ন জাগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যারা হামলা করেছে তারা কি সবাই আওয়ামী লীগের? এর নেপথ্যে উসকানিদাতারা কি দলের জন্য নিবেদিত ও পরীক্ষিত? ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিংসাত্মক হলে এর ফল কখনোই শুভ হতে পারে না। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা দলীয় অফিসে হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করছি আমরা, পাশাপাশি সকলকে সংযম প্রর্দশনেরও আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি ঢালাও অপপ্রচার না চালানোর আহ্বান জানিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতির পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বানও জানান প্রবাসী নেতৃবৃন্দ।’
বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা