গত ১০ বছরের কূটনৈতিক তৎপরতায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের অবস্থান যে উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে, তা থেকে আরেক ধাপ উপরে উঠাতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাইলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের নতুন স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
২২ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ কীভাবে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে তা নিয়ে মতবিনিময় করেন রাবাব ফাতিমা।
গত বছরের কার্যক্রমের লিখিত ধারাবিবরণী উপস্থাপনের পর প্রদত্ত স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর আরও সাফল্যের সাথে জাতিসংঘে তুলে ধরতে স্থায়ী মিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
এসময় রাষ্ট্রদূত আগের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন এবং মাসুদ বিন মোমেনের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তাদের পথ ধরেই মিশনের সকলকে নিয়ে কাজ শুরু করেছি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিকীকরণে গত বছর অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ। এবারও রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেন-দরবারের তৎপরতা বাড়ানো হবে।
অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ এই শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকগণ রোহিঙ্গা ইস্যু, মুজিব বর্ষ উদযাপন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ও এসডিজি বাস্তবায়নসহ জাতিসংঘে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুজিব বর্ষের লোগো সম্বলিত একটি মগ ও স্থায়ী মিশন প্রকাশিত ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রকাশনা প্রদান করা হয় এবং বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়ন করা হয়।
গত ডিসেম্বরে জাপান থেকে নিউইয়র্কে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে বদলি হয়ে আসার পর এটাই হচ্ছে রাবাব ফাতিমার গণমাধ্যম কর্মীগণের সাথে প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাত। উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে গত কয়েক বছর ধরেই বছরের শুরুতে স্থায়ী মিশনের প্রধান শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। এবারেও এ কর্মসূচির সমন্বয় ঘটিয়েছেন মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূরএলাহি মিনা।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ