স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও বিশ্ব পর্যটন সংস্থায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি মাদ্রিদে বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল জুরাব পোলোলিকাশভিলির সাথে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এসময় বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ও বিশ্ব পর্যটন সংস্থায় বাংলাদেশের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি রেদোয়ান আহমেদ, বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মেম্বার রিলেশন বিভাগের প্রধান বেকা জাকেলি এবং সংস্থার রিজিওনাল ডিপার্টমেন্ট ফর সাউথ এশিয়া এন্ড প্যাসিফিকের ডাইরেক্টর হ্যারি হোয়াং উপস্থিত ছিলেন।
পোলোলিকাশভিলি রাষ্ট্রদূতকে আসার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান। রাষ্ট্রদূতও সেক্রেটারি জেনারেলকে তাঁর সময় ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে পরিচয়পত্র পেশ করেন। বাংলাদেশের একজন সফল পর্যটন উদ্যোক্তা শহিদ হামিদকে বিশ্ব পর্যটন সংস্থার ওয়ার্ল্ড কমিটি অন ট্যুরিজম এন্ড এথিকসের অল্টারনেট মেম্বার নির্বাচিত করায় সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূত বিশ্ব পর্যটন সংস্থাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বিশ্ব পর্যটন সংস্থার বেস্ট ট্যুরিজম ভিলেজ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশের গ্রামীণ পর্যটন স্থাপনাগুলোর উন্নয়নের জন্য পরামর্শ প্রদানের আশ্বাস দেন এবং স্বাধীন নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেস্ট ট্যুরিজম ভিলেজ নির্বাচনের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেন। এবারের বেস্ট ট্যুরিজম ভিলেজ নির্বাচনে বেশীরভাগ গ্রামই ইউরোপ থেকে নির্বাচিত হয়েছে স্বীকার করে পোলোলিকাশভিলি বলেন পরবর্তী সংস্করনে বাংলাদেশের মত দেশ অন্তর্ভুক্ত করে আরও বেশি বৈচিত্রপূর্ণ গ্রামকে নির্বাচন করা হবে।
পোলোলিকাশভিলি আগামী ২৭ জুন থেকে ৩ জুলাই ২০২২ পর্যন্ত ইতালির সোরেন্তোতে আসন্ন গ্লোবাল ইয়ুথ ট্যুরিজম সামিট সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বাংলাদেশ থেকে তরুণ প্রতিনিধি পাঠানোর অনুরোধ করেন।
কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ ১৬ ডিসেম্বর 'বাংলাদেশের বিজয় দিবস' এবং ২৬ মার্চ 'স্বাধীনতা দিবস' উদযাপনের পটভূমিতে বিশ্ব পর্যটন সংস্থার ইউটিউব চ্যানেল, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য মাধ্যমে বাংলাদেশের কিছু প্রমোশনাল ভিডিও প্রচারের অনুরোধ জানান। সেক্রেটারি জেনারেল উল্লিখিত ভিডিওগুলি বিশ্ব পর্যটন সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রচার করারও প্রস্তাব করেন।
পর্যটনখাতে বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা করা হয়। সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগের জন্য টেকনিক্যাল ডিজাইনের প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। রেদোয়ান আহমেদ আহমেদ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার পর্যটনের উন্নয়ন ও বিনিয়োগের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলও গড়ে তুলছে।
পর্যটন খাতে বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ও বাংলাদেশের মাঝে ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বৈঠকটি শেষ হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন