অবিলম্বে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হককে বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার কমিটি খসড়া গঠনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এবং সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের এ দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিগত অনুমোদিত তিন কমিটির নেতৃবৃন্দ। গত ১২ মার্চ সিডনির ল্যাকেম্বাতে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
গত ৩ মার্চ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি অস্ট্রেলিয়া বিএনপির কমিটি খসড়া গঠনের জন্য রাশেদ দায়িত্ব দিয়েছেন। এ সংবাদ প্রকাশের পর অস্ট্রেলিয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।রাশেদকে দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এনামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফারুক খান এবং সাবেক সভাপতি দেলওয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী স্বপন বলেন, আমরা ১৯৯০ সাল থেকে এখানে বিএনপির কার্যক্রম শুরু করি। দলের দুর্দিনে আমরা দেশে-বিদেশে নানা কর্মসূচী পালন করেছি। রাশেদ কখনো বিএনপির কোনো কার্যক্রমে অংশ নেয়নি ।
তারা আরও বলেন, ২০০৯ সালে বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র যুগ্ম আহ্ববায়ক মো. মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফের হাত ধরে রাশেদুল হক বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়। কিন্তু সে কখনো দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি। এ পরিস্থিতিতে ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় বিএনপির হস্তক্ষেপে যথাক্রমে সাবেক আহ্বায়ক মো. দেলওয়ার হোসেনকে প্রধান উপদেষ্টা, সাবেক সভাপতি মনিরুল হক জর্জকে আহ্বায়ক, মো. মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, মো. কুদরত উল্যাহ লিটনকে যুগ্ন আহ্বায়ক ও মোহাম্মদ রাশেদুল হককে সদস্য সচিব করে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ দিন পর কেন্দ্রীয় আদেশের পর সকলে নতুন উদ্যমে সম্মিলিতভাবে কাজ শুরু করে। কিন্তু রাশেদুল হকের অসাংঠনিক এবং রাজনৈতিক আশ্রিত লোকজনের কাছ থেকে দলীয় শীর্ষ নেতার নামে চাঁদাবাজি ও অন্তর্ভুক্তহীন কর্মকাণ্ডের কারণে আবারও বিভাজন সৃষ্টি হয়।
তারা বলেন, সম্প্রতি আমরা জানতে পারলাম বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি একটি গ্রুপের নিষ্ক্রিয় নেতা রাশেদকে কমিটি গঠনের দায়িত্ব দিয়েছে। সে যেহেতু একটি গ্রুপ লালন করে ও কখনো কোন ইউনিটের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নেই এবং একারণে অন্যগ্রুপের সঙ্গে তার সাপে-নেউলে সম্পর্ক রয়েছে। ফলে তাকে এককভাবে দায়িত্ব দেওয়ায় অন্য দু’টি গ্রুপ তথা সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে এখানে যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতৃবৃন্দ রাশেদের মত অযোগ্যকে বাদ দিয়ে সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের দায়িত্ব দিয়ে কার্যকর একটি মহাদেশের কমিটি গঠনের দাবি জানান।