সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স'র উদ্যোগে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার রাতে দুবাইয়ে স্থানীয় একটি হোটেলের বল রুমে স্টেকহোল্ডারদের সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিমান এ্যাথিক্স কমিটির মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ। এসময় তিনি প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলেই টেকসই উন্নয়ন হবে। এটাই শুদ্ধাচার। এর ফলে নিজের শুদ্ধতার মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজে নিষ্ঠাবান হওয়া যায়। যা কর্মক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাই ও উত্তর আমিরাতের রিজিওনাল ম্যানেজার সাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, বিশেষ অতিথি দুবাই কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন।
শাকিল মেরাজ আরো বলেন, কারও কোন লাগেজ বিমান বন্দরে যথা সময়ে ডেলিভারি না হলে সেটা কুরিয়ারে করে যাত্রীর ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনলাইনে বাড়িতে বসেই বিমানের বোর্ডিং কার্ড পাওয়া যাচ্ছে। কেবিন ক্রুদের অনাকাঙ্খিত আচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া বিমান টিকেটের ভুয়া বুকিং বন্ধে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বক্তব্যে রাষ্ট্রদুত মো. আবু জাফর বলেন, বিমান আমাদের গর্বের একটা প্রতিষ্ঠান, কেবল সমালোচনা করলে হবে না, বিমানের পজিটিভ বিষয়গুলোও বলতে হবে। অনেক সমস্যা বিমানের আছে, সেসব চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান করতে হবে। মিস ম্যানেজমেন্ট কেন হচ্ছে সেসব চিহ্নিত করতে নজরদারি বাড়াতে হবে। সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় বিমান এক সময় লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
সভার বিশেষ অতিথি কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, আপনাদের বক্তব্যে ব্যক্তিগতভাবে আমি সন্তুষ্ট হলেও আরব আমিরাতে বসবাসরত ১০ লক্ষ বাংলাদেশি সন্তুষ্ট নন। অনলাইনে বিমানে টিকেট থাকে না। অথচ বিমানে উঠলে দেখা যায় অনেক সিট খালি। কেন সিট ফাঁকা থাকছে, এর জন্য দায়ী কারা, এতে কারা লাভবান হচ্ছে, এ বিষয়গুলো খুঁজে বের করতে হবে।
নৈশভোজের আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম