এবছরও পূজার আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে সুদূর মালয়েশিয়াতে বসবাসরত দুই বাংলার প্রবাসী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এ বছরও ষষ্ঠী পূজার দিন আনন্দ মেলার মধ্য দিয়ে প্রবাসী বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আয়োজনে মালয়েশিয়ার ব্রিকফিল্ড স্বামী বিবেকানন্দ আশ্রমে শুরু হয়েছে এ উৎসব। পূজা চলছে আরো অন্যান্য কয়েকটি স্থানেও।
ঢাক-ঢোলের বাজনা, কাঁসা, শাঁখের আওয়াজ এবং ভক্তদের উলুধ্বনিতে এখন মুখরিত দেশের ন্যায় মালয়েশিয়ার পূজা মণ্ডপগুলোও।
শনিবার পূজামণ্ডপ দেখতে আসেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। এসময় তাকে স্বাগত জানান পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানান। এসময় হাইকমিশনারের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের অন্যন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসব।
পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রবাসে পূজার আয়োজন করতে পেরে আমরা দারুণ খুশি। নব প্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বত্ত্বাকে তুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য। দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে হিংসা, লোভ ও ক্রোধরুপী ওসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। প্রতিবারের মত এবারো মালয়েশিয়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকল বয়সের মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হচ্ছে বড় এ উৎসব।
দুর্গোৎসব উপলক্ষে পূজার্চনা, পুষ্পাঞ্জলি, আরতি, প্রসাদ বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজন চলছে মণ্ডপগুলোতে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
