রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজাতে ৩৬০ কোটি টাকার ৫০ বছর মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনায় গ্রহণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্বের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে নেয়া হচ্ছে এই মাস্টারপ্ল্যান।
মাস্টারপ্ল্যান বিষয়ক কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মিজানুর রহমান বলেন, ৫০ বছর মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে আছে ১০ তলা দুটি আবাসিক হল, শিক্ষকদের জন্য ১০ তলা একটি আবাসিক ভবন, ২০ তলা একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ। এছাড়া ১০ তলা বিশিষ্ট একটি প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার চারপাশের দেওয়াল, ফুট ওভারব্রিজ এবং ড্রেনেজ প্রকল্পকে নেয়া হয়েছে মাস্টারপ্ল্যানের ভিতরে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এতদিন চলেছে পরিকল্পনাবিহীন। তাই সবকিছু ঢেলে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সাজাতে আমরা মাস্ট্যারপ্ল্যান হাতে নিয়েছি। আর এতে আমরা সরকারের সার্বিক সদিচ্ছার আশ্বাস পেয়েছি। ভর্তি থেকে শুরু করে নিয়োগ সব কিছুতে স্বচ্ছতা আনতে আমাদের হাতিয়ার হলো ডিজিটালাইজেশন।
দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড.শামসুজ্জোহার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর ও জোহা স্মৃতিস্তম্ভ। এই স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়কে এক কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক ড. সুখরঞ্জন সমাদ্দার, শহীদ ড. হাবিবুর রহমান ও মীর আব্দুল কাইয়ূমের স্মৃতিকে ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক। প্রায় ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এ স্মৃতিফলকটি।
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, ২০১৩ সালে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব নিই তখন চারদিকে ছিলো অব্যবস্থাপনা, নৈরাজ্য, অনুন্নয়ন ও ঋণের বোঝা। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে আনতে আমরা স্বচ্ছতা, যোগ্যতা এবং জবাবদিহিতার ওপর জোর দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কাজে ডিজিটালাইজেশনের প্রয়োগে আমরা হাতেনাতে পেয়েছি ফলাফল। আর এর ধারাবাহিকতায় মাস্টারপ্ল্যান হাতে নিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/২০ ডিসেম্বর, ২০১৬/ফারজানা