ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিক সুজনের রুম থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আরেফিন সিদ্দিক সুজন সূর্যসেন হলের ৩১৫ নম্বর রুমে থাকেন। ওই রুমসহ বেশ কয়েকটি রুম সুজনের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
রবিবার দিবাগত রাত ১২টার পর সূর্যসেন হলে অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযানের নেতৃত্ব দেন শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী এবং হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালসহ হলের আবাসিক শিক্ষক ও পুলিশের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, ছাত্রলীগ নেতা সুজনের নিজের রুম থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি রামদা, একটি খেলনা পিস্তল, ককটেল তৈরির সামগ্রী এবং ইয়াবা তৈরির প্যাকেট উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে। অভিযানের পর থেকেই সুজন পলাতক রয়েছেন।
এসময় হল থেকে সাত বহিরাগতকে আটক করে পুলিশ। হলটির ৩১৩ নম্বর রুম থেকে পাঁচ জন, ৩১৪ নম্বর রুম থেকে একজন এবং ১০১ নম্বর রুম থেকে একজনকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের তিনজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে। তারা হলেন- লিমন দাড়িয়া, মো. সানি ও মো. রিয়াজ। অন্যরা হলেন- মো. টিটন (খুলনা), মো. তপু হোসেন (মুন্সীগঞ্জ), ইমন হোসেন (সাতক্ষীরা) এবং মো. সজিব (মাদারীপুর)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী জানান, তিনদিন আগে তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে ওয়ারী থানা পুলিশ। তারা পুলিশকে জানায়, তাদের মূল হোতা কাশেম (ছদ্মনাম)। কাশেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে থাকেন। এর পর থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সূর্যসেন হলে নজরদারী রাখা হয়। এ কারণে গত তিন দিন কাশেম হলে আসছিল না। রবিবার কোতোয়ালী থানা পুলিশ কাশেমকে গ্রেফতার করে। কাশেমের কাছ থেকে সুজনসহ অন্যদের নাম বেরিয়ে আসে।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী আরও জানান, যেসব রুমে অভিযান চালানো হয়েছে সেসব রুমে আরও অস্ত্র গোলা-বারুদ ছিল বলে তথ্য ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কাশেমের গ্রেফতারের খবর জানার পর ওইসব অস্ত্র গোলা-বারুদ সরিয়ে ফেলা হয়।
শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, গ্রেফতারকৃতদের নামে ছিনতাই, চাঁদাবাজি এবং ডাকাতিসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা আছে। এর মধ্যে কাশেমের নামে ওয়ারী থানাতেই সাতটি মামলা আছে। সম্প্রতি দিনের বেলায় ঢাবি ক্যাম্পাসে গুলি করে যে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে তার সঙ্গে টিটন ও কাশেম জড়িত বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার