কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে (কুমেক) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ ছাত্র আহত হয়েছে। কলেজ হোস্টেলে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আজ থেকে আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুক্রবার ভোর থেকে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করেছে। এ ঘটনা তদন্তে কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের ডা. আবদুল হান্নান ও ডা.হাবিবুর রহমান পলাশ গ্রুপের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় আবাসিক হোস্টেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দফায় দফায় চলা ওই সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন ছাত্র আহত হয়। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় তৌফিক ও ইফরান নামের দুই ছাত্রকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের কমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরীর বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে হামলায় মারাত্মক আহত ৫ম বর্ষের ছাত্র তৌফিকের মৃত্যুর গুজব শুক্রবার সকালে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। তবে তৌফিকের বন্ধুরা জানান, তার অবস্থা সংকটাপন্ন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তৌফিককে ঢামেক থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. মহসিন উজ-জামান জানান, গভীর রাতে ছাত্ররা সংঘর্ষে লিপ্ত হলে কিছু ছাত্র আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা ও কুমিল্লায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ঘটনা তদন্তে কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম ও হোস্টেল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে সকল আবাসিক হোস্টেল ত্যাগ করেছে।
কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: সালাহউদ্দিন জানান, রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/৫ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল