শিক্ষকদের মধ্যে কি সমস্যা, আমরা জানিনা। কিন্তু তাদের কারণে আজ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভুক্তভোগী। আমাদের শিক্ষার অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গেল, ক্লাস পরীক্ষা, গবেষণার কাজে বিঘ্ন ঘটল। এতে শিক্ষাবর্ষের সেশন জটের আশংকাও দেখা দিয়েছে। আবার এইভাবে হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে হল ত্যাগের নির্দেশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানা রকম সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। এরপরেও আমরা হল ছেড়ে যাচ্ছি। শুধু আমরা বলব, শিক্ষার্থীরাদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত এসব সমস্যা দূর করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হোক।
কর্তৃপক্ষের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর মঙ্গলবার সকালে হল ছেড়ে যাওয়ার প্রাক্কালে জামান, আব্দুল মান্নান, মোমিনসহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা এসব
কথা বলেন।
অপরদিকে এসময় উদ্ভূত পরিস্থিতির অজুহাত দিয়ে হাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের একাংশের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছাত্রলীগের নাহিদ আহমেদ নয়নের নেতৃত্বে এই মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ৪ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারী পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করে শিক্ষার্থীদের মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল নির্দেশ গত সোমবার ঢাকায় লিয়াজ অফিসে রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে নিশ্চিত করেন রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন খান।
উল্লেখ্য, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে প্রায় ১ মাস যাবত দিন ধরে ছাত্র ও শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে পক্ষে বিপক্ষে আন্দোলন করে আসছেন। ১৪ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক প্রকার অচালবস্থার সৃষ্টি হয়। ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার লাঞ্চিত, উপাচার্য অবরুদ্ধের মত ঘটনাও ঘটে। পরীক্ষা ক্লাস বন্ধসহ গত ২ ডিসেম্বর ইনক্রিমেন্টের দাবিতে আন্দোলনরত দুইজন সহকারী অধ্যাপককে সাময়িক বরখাস্ত করে হাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে গত সোমবার হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে ঢাকায় লিয়াজ অফিসে রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভুত পরিস্থিতি, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস, শীতকালীন ছুটি, যীশু খীষ্টের জন্ম দিন ও ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন উপলক্ষে ৪ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারী পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদেরকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। এর আগে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০১-১৯ শিক্ষা বর্ষের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনিদিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার