চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হলের নাম মুছে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। গতকাল বুধবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির মুখপাত্র ড. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
এ ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং একই সাথে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে নামফলক অবিলম্বে পুণঃস্থাপনের দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নাম মুছে ফেলা একটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত সন্ত্রাসী ঘটনা। যা বাংলাদেশের রাজনীতির প্রতিহিংসাপরায়ণতারই সুস্পষ্ট প্রতিফলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নামকরণ বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ পর্ষদ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হয়ে থাকে এবং এটির পরিবর্তন, পরিমার্জন অবশ্যই প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এর ব্যত্যয় হওয়াটা একটি নৈরাজ্যকর এবং সন্ত্রাসী কর্ম হিসেবে ধর্তব্য।’
একই ঘটনার প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ যাকারিয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়।
অন্যদিকে একই ঘটনার প্রতিবাদে ৪৪ শিক্ষকের স্বাক্ষর সম্বলিত বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে জিয়া পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নানের স্বাক্ষর রয়েছে।
এদিকে নাম মুছে ফেলার ঘটনার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। বিবৃতিতে তারা এ ঘটনাকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার হলের’ নাম ফলক মুছে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া হলের নাম ফলকও উপড়ে ফেলা হয়। এ সময় খালেদা জিয়ার স্থলে বীর প্রতীক তারামন বিবির নামে হলটি নামকরণের দাবিও জানান ছাত্রলীগ নেতারা।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮/মাহবুব