বুয়েটে র্যাগিং নিষিদ্ধ, ছাত্র নির্যাতনে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত ও ক্যাম্পাসে আবরার ফাহাদের ভাস্কর্য নির্মাণসহ ৭ দফা দাবিতে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বুয়েটের প্রশাসনিক কার্যালয়ে উপাচার্যের কাছে দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেন তারা। এদিকে, আবরার হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার বাবা বরকতুল্লাহ।
শনিবার সকালে বুয়েটে শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার আবরার ফাহাদের স্মরণে ক্যাম্পাসে মিলিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে ক্যাম্পাসে এক মৌন মিছিল করেন তারা। মিছিল শেষে ৭ দফা দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত আবরার ফাহাদের পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা, আবরারের স্মৃতি রক্ষার্থে ক্যাম্পাসে তার স্মৃতি ভাস্কর্য নির্মাণ, তার নামে স্কলারশিপ চালু করা, বুয়েটের হলে সংঘটিত ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তি দেওয়া, ছাত্র নির্যাতনকারীদের নামের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ ও বয়কট, নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীদের বিচার ও আবরারকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা প্রভৃতি।
পরে উপাচার্য বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের থেকে তিন সপ্তাহের সময় নিয়েছি। আপ্রাণ চেষ্টা করছি তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের। সাবেক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোও প্রশাসন বিবেচনায় রাখবে।
এসময় আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, বিচারের যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। যারা অপরাধী, তাদের তো বহিষ্কার হওয়ার দাবি ছিল। সেটা মেনে নেয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন