ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংগঠন 'বঙ্গবন্ধু পরিষদ' আবারও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ চার বছর পর গত ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে ৭৩ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয়। গত সোমবার কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কাজও শুরু করেছে। এদিকে আজ বুধবার একটি অংশ সাধারণ সভা আহ্বান করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে ২০১০ সালের কমিটির সর্বশেষ নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রুহুল কুদ্দুস মো. সালেহ এর নেতৃত্বে সাধারণ সভা করে একাংশ।
সভায় নির্বাচন কমিশন গঠনসহ চার দফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তারা। তিন সদস্য বিশিষ্ট এ নির্বাচন কমিশনকে আগামী এক মাসের মধ্যে বিবাদমান দু’গ্রুপের সাথে আলোচনা করে একটি ঐক্যবদ্ধ বঙ্গবন্ধু পরিষদ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও সভায় বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য পদ প্রদান। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষক ইউনিট ও কর্মকর্তা ইউনিটকে আলাদ করা হয়।
এদিকে, এর আগে দীর্ঘ চার বছর পর গত সোমবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিরর অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেক। এতে ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলজি বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানকে সভাপতি ও ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুজিববর্ষ পালনে নিজেদের নানা কার্যপরিকল্পনা ও সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নতুন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, 'আমাদেরকে কেন্দ্র থেকে দায়িত্ব দিয়েছে। নতুন কমিটি গঠন হলে পূর্বের কমিটি স্বাভাবিকভাবেই বাতিল বলে গণ্য হয়।' বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের নেতা অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, 'গণতান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে বিভক্তিও হয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবে মুজিববর্ষ পালনের লক্ষ্যে আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।'
বিডি-প্রতিদিন/শফিক