মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড বিগত কয়েকবছর ধরে স্কুল-কলেজগুলোর ফলাফলের উপর থানা ও প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক একটি গ্রেডিং ফলাফল প্রকাশ করে থাকে। এবারও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা-২০১৯ এর ফলাফল প্রকাশের পর বোর্ড থানাভিত্তিক এই ফলাফল প্রকাশ করে। এতে রাজধানীর ‘সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ’ গুলশান থানায় শীর্ষ স্থান অর্জন করে। শুধু জেএসসি-পিএসসি নয়, বৃত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির রেকর্ড রয়েছে। গত বছর গুলশান থানায় ৮৫ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৫-জনই ছিল সাউথ পয়েন্টের, এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে পেয়েছিল ১৮ জন।
জেএসসি-তে গুলশান থানার ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক পরীক্ষার্থী ছিল বনানী বিদ্যানিকেতনের; ৬৫৯ জন। পাস করেছে ৯৯.৭০% শিক্ষার্থী এবং জিপিএ পাঁচ পায় ৯৬ জন। শিক্ষার্থী সংখ্যায় ২য় অবস্থানে থাকা সাউথ পয়েন্ট স্কুলের শতভাগ শিক্ষার্থীই পাস করে এবং জিপিএ পাঁচ পায় ১৮০ জন। জিপিএ-৪ প্রাপ্তির দিক থেকেও সাউথ পয়েন্ট এগিয়ে; ৩৭৪ জন।
গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ হয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা-২০১৯ এর ফলাফল। এই উভয় পরীক্ষায়ই সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ’ বিগত বছরগুলোর মতো ভাল ফলাফল করেছে। এই দুই পরীক্ষায় সাউথ পয়েন্টের পরীক্ষার্থী ছিল ১৩৫৪ জন, শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৫৬ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর শতকরা ৬৩ ভাগ।
২০০৯ সালে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতিসহ উক্ত বছরেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯ম স্থান লাভ করে সাউথ পয়েন্ট। পিছিয়ে নেই এদের ইংরেজি মাধ্যম শাখাও। সর্বশেষ ২০১৯ ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায়ও ৭ বিষয়ের ৬টিতেই ‘এ স্টার ও একটিতে ‘এ গ্রেড এবং এ’ লেভেল পরীক্ষায় ৫ বিষয়ের মধ্যে ৩-টিতেই এ স্টার ও ২টিতে এ’ গ্রেড অর্জনসহ অভূতপূর্ব ফলাফল করে তারা।
উল্লেখ্য, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও উদ্যোক্তা- প্রকৌশলী এম এ রশিদ ও অধ্যক্ষ হামিদা আলী রাজধানীসহ দেশব্যাপী সবুজ মাঠবেষ্টিত খোলামেলা আদর্শ স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার এক মহাপরিকল্পনা নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ। ২০০২ সালে মাত্র ২০০ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে এখন প্রায় ১২০০০ ছাত্র-ছাত্রী এখানে পড়ালেখা করছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা