রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় (শেকৃবি) এক বাক্-প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা বাদি হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মো. তাহের (৪৮) নামে একজনকে অভিযুক্ত করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেট থেকে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) ঘটনাটি কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পেছনে ঘটনাটি ঘটলে মেয়েটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তৎক্ষণাৎ সে বিষয়টি পরিবারকে জানাতে পারেনি। পরদিন ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী দাবিকারী আবু তালেব বাচ্চু ওই পরিবারকে জানালে মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ করেন। জানা যায়, অভিযুক্ত মো. তাহের মোহাম্মদপুর এলাকার হুমায়ূন রোডে থাকেন। ভুক্তভোগীর পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বস্তিতে ভাড়া থাকেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী বিশ্ববিদ্যালয়ের চামেলি ভবনের প্রহরী আবু তালেব বাচ্চু বলেন, ‘সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেখ হাসিনা হলের সামনে গাছ পরিষ্কার করার সময় তাহেরকে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পেছনে টিন ঘেরা জায়গায় যেতে দেখি। আমার সন্দেহ হওয়াতে সেখানে গিয়ে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখি। এ সময় তাহের আমার পা জড়িয়ে ধরে। আমি তখন নিরাপত্তা কর্মী আরিফ ভাইকে বলি। কিন্তু তখন সে পালিয়ে যায়।’
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রতিবন্ধী, কথা বলতে পারে না। চামেলি ভবনের গার্ড বাচ্চু আমাকে জানানোর পরে থানায় জিডি করেছি। স্যাররা এসে তাহেরকে ফার্স্ট গেট থেকে আটক করেছে।’
শেরেবাংলা নগর থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. লিটন মাতব্বর বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তাহেরকে আমরা আটক করেছি। প্রত্যক্ষদর্শী বাচ্চুর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছি। তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান আছে।’
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি আমরা। দেরিতে জানাজানি হওয়াতে অভিযুক্তকে আটক করতে বিলম্ব হয়েছে। ভুক্তভোগী ক্যাম্পাসের কেউ না, এখানে ভাড়া থাকে। আমরা চেষ্টা করছি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অপসারণের। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে আমরা আরও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের জন্য উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছি।’
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা