যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আগমন বাঙালি জাতির জন্য একটি বড় প্রেরণা হিসাবে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
সোমবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তারা। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানীর চেয়ারম্যান ড. শাজহান মাহমুদ, বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. এসএম জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, ভাস্কর শিল্পী রাশা বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মঞ্চের সহ-সভাপতি রোমান হোসাইন, আর সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন৷
ড. শাজহান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার পর মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তাকে থাকতে হয় পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে। এসময় প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয় মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে। তাঁর আগমনের দিনটি এখনও অনেকের মনে গভীর আনন্দের স্মৃতি হয়ে আছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর আগমন বাঙালি জাতির জন্য একটি বড় প্রেরণা হিসাবে কাজ করেছে।"
ভাস্কর শিল্পী রাশা বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, আন্দোলন ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার প্রশ্নে বাঙালি যখন বাস্তবতার মুখোমুখি- তখন পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যেদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবনবাজি রেখেছিলেন সেই মাটিতে পা দিয়েই আবেগে কেঁদে ফেলেন তিনি। বিমানবন্দরে লাখো জনতা অশ্রুসজল নয়নে বরণ করেছিলো তাকে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন